প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- পশ্চিমবঙ্গের ক্ষমতা তৃতীয়বারের জন্য দখল করার পর এবার পার্শ্ববর্তী রাজ্য ত্রিপুরার দিকে নজর দিতে শুরু করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। 2023 এর ত্রিপুরার বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল অবশ্যম্ভাবীভাবে সেখানে ভালো ফল করবে, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত ঘাসফুল শিবির। ইতিমধ্যেই পশ্চিমবঙ্গ থেকে একের পর এক তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা থেকে শুরু করে জনপ্রতিনিধিরা ত্রিপুরাতে গিয়ে নিজেদের শক্তি বৃদ্ধি করার চেষ্টা করছেন। আর এবার ত্রিপুরায় বিজেপি সরকারের প্রধান তথা সেখানকার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব ব্যাপক চাপে পড়ে গেলেন।

যেখানে তার বিধানসভা কেন্দ্রে ব্যাপক বিজেপি কর্মী গেরুয়া শিবির ছেড়ে যোগদান করলেন তৃণমূল কংগ্রেসে। স্বভাবতই বিজেপির পক্ষ থেকে ত্রিপুরাতে তৃণমূল কংগ্রেসকে গুরুত্ব দেওয়া না হলেও, যেভাবে সেই ত্রিপুরার বিজেপি সরকারের মুখ্যমন্ত্রীর বিধানসভা কেন্দ্রে ভাঙ্গনের মুখে পড়ে গেল ভারতীয় জনতা পার্টি, তাতে ত্রিপুরা নিয়ে যে বিজেপির চিন্তা বাড়ছে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

সূত্রের খবর, সোমবার ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের নিজের বিধানসভা কেন্দ্র বনমালীপুর থেকে প্রায় 670 জন বিজেপি কর্মী দলবদল করেন। যেখানে তারা প্রত্যেকেই তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে যুক্ত‌ হন। আর তাদের হাতে দলের পতাকা তুলে দেন তৃণমূল নেত্রী সুজাতা মন্ডল, জয়া দত্ত, পারমিতা সেন সহ অন্যান্যরা। স্বভাবতই বিজেপির মুখ্যমন্ত্রীর নিজের গড়ে যেভাবে গেরুয়া শিবিরের ভাঙন ধরল, তাতে রীতিমতো উজ্জীবিত ঘাসফুল শিবির।

ইতিমধ্যেই এই ব্যাপারে বিজেপিকে কড়া বার্তা দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। এদিন এই প্রসঙ্গে তৃণমূল নেত্রী পারমিতা সেন বলেন, “বিজেপির ভিত যে ত্রিপুরায় নড়ে গিয়েছে, এই যোগদান পর্বই তার প্রমাণ। মুখ্যমন্ত্রী নিজের কেন্দ্রের কর্মীদেরই ধরে রাখতে পারছেন না। 2023 সালের ললাট লিখন এখন থেকেই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে।” বিশেষজ্ঞদের মতে, এখন তৃণমূলের প্রধান টার্গেট ত্রিপুরা।

সেখানে বিজেপিকে ক্ষমতাচ্যুত করে 2023 সালে সেই রাজ্যের ক্ষমতার নিজেদের দখলে আনতে এখন থেকেই সেখানকার মাটি কামড়ে পড়ে থাকছেন তৃণমূলের নেতা নেত্রীরা। বিভিন্ন দল থেকে আশা নেতা কর্মীদের স্বাগত জানাচ্ছে ঘাসফুল শিবির। আর তার মাঝেই বিপ্লব দেবের নিজের গড়ে ভাঙ্গন ধরিয়ে তৃণমূল প্রতিপক্ষ বিজেপির কাছে নিজেদের শক্তি জানান দেওয়ার চেষ্টা করল বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।