গুন্ডারাজ থেকে মুক্তি কবে? মমতাকে প্রাক্তন করলেই অল ক্লিয়ার! পারেন বটে শুভেন্দু! তৃণমূল বিজেপি রাজনীতি রাজ্য September 24, 2023 প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- শুভেন্দু অধিকারী বিরোধী দলনেতা হওয়ার পর থেকেই তৃণমূল সরকারকে কার্যত নাস্তানাবুদ হতে হচ্ছে। শুধুমাত্র সংখ্যার জোরে ক্ষমতা দখল করলেই যে শাসক শেষ কথা বলে না, তা বুঝিয়ে দিচ্ছেন শুভেন্দু অধিকারী। লড়াই আন্দোলন, সভা, সমিতি, মিটিং মিছিলের মধ্যে দিয়ে বারবার তিনি একটাই কথা তুলে ধরছেন যে, রাজ্যের এই সরকারকে বিদায় জানাতে হবে। তা না হলে বেকার সমস্যা বাড়বে। বাড়বে আর্থিক বঞ্চনা, গুন্ডারাজ। তাই এই সমস্ত কিছুকে যদি দমন করতে হয়, তাহলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী করা ছাড়া আর কোনো বিকল্প নেই। আর বর্তমানে শিক্ষায় যখন চরম নৈরাজ্য চলছে, যখন অধ্যক্ষরা ইস্তফা দিতে বাধ্য হচ্ছেন, তখন আরও একবার সেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী করার কথা বললেন শুভেন্দু অধিকারী। যা দেখে বিশেষজ্ঞরাও বলছেন যে, যদি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তার সরকারকে বিদায় জানাতে হয়, তাহলে এই অসম্ভব কাজ করতে পারবেন একমাত্র শুভেন্দু অধিকারী। প্রসঙ্গত, এদিন যোগেশচন্দ্র ল কলেজের অধ্যক্ষের হতাশা নিয়ে শুভেন্দুবাবুকে প্রশ্ন করা হয়। আর সেই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে তিনি বলেন, “রাজ্যে গুন্ডারাজ চলছে। যদি একে বিদায় জানাতে হয়, তাহলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী করতে হবে। তা না হলে কোনো উপায় নেই। নন্দীগ্রাম গোটা রাজ্যকে পথ দেখিয়েছে। আগামী দিনে সারা বাংলাকে সেই পথে হাঁটতে হবে।” বলা বাহুল্য, তৃণমূল সরকার রাজ্যে বিপুল আসন নিয়ে তৃতীয়বার ক্ষমতায় এলেও নন্দীগ্রামে জিততে পারেননি স্বয়ং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুভেন্দু অধিকারীর কাছে পরাজিত হতে হয়েছে তাকে। আর তাতেই তার আরও রাগ এই শুভেন্দুবাবুর প্রতি। কিন্তু শুভেন্দুবাবুও ছেড়ে দেওয়ার পাত্র নন। তিনি শপথ নিয়েছেন যে, এই তৃণমূল সরকারকে বিদায় দিয়েই তিনি শান্ত হবেন। ফলে কেস দিয়ে, মিথ্যে মামলা দিয়ে তাকে আটকানোর চেষ্টা করলেও, সব চেষ্টা ব্যর্থ হচ্ছে শাসক শিবিরের। শুভেন্দু অধিকারীর ভেতরেও জেদ চেপেছে যে, এই সরকারকে বিদায় জানাতেই হবে। তাই আবারও তিনি সেই কথা সাধারণ মানুষের সামনে তুলে ধরলেন। বিরোধীদের দাবি, গোটা রাজ্যে শিক্ষা ব্যবস্থা থেকে শুরু করে শিল্প, চাকরি সব ভেঙে পড়েছে। বেকাররা কাঁদছে। শিক্ষক সমাজ তৃণমূলের দাদাদের ভয়ে কার্যত গুটিসুটি হয়ে বসে রয়েছেন। কিন্তু সেদিকে নজর দেওয়ার মতো সময় নেই মুখ্যমন্ত্রীর। তিনি বিরোধী নেতাকে দমনপীরণ নীতি দিয়ে আটকে রাখতে ব্যস্ত। তবে এসব কিছুকে পরোয়া করেন না শুভেন্দু অধিকারী। তার প্রধান টার্গেট এই সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করা। নিজে ক্ষমতায় বসার জন্য নয়, বরঞ্চ বাংলার মানুষকে পরিত্রান দেওয়ার জন্যই যে তৃণমূলকে সরাতে হবে, তা বারবার বুঝিয়ে দিচ্ছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। পর্যবেক্ষকদের মতে, বিগত বাম সরকারের আমলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখে আলিমুদ্দিন স্ট্রিটের নেতারা ভয় পেতে শুরু করেছিলেন। তারা বুঝে গিয়েছিলেন, যদি কেউ তাদের সরাতে পারে, তাহলে সেটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তাদের সেই ভাবনাই বাস্তবায়িত হয়েছে। আর বর্তমানে তৃণমূল সরকার এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মনেও ভয় ধরেছে এই শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে। যে সমস্ত জায়গায় আঘাত করে তৃণমূলকে জব্দ করতে হয়, ঠিক সেই সমস্ত জায়গায় আঘাত করে তৃণমূলের চোখে সর্ষেফুল পাকিয়ে দিচ্ছেন বিরোধী দলনেতা। এমন একজন ভদ্রলোক, যিনি নিজের কোনো পিছুটান রাখেননি। সমাজসেবার মধ্যেই নিজেকে ব্রতী রেখেছেন। বারবার আদালতে গিয়ে তার বিরুদ্ধে তথ্য প্রমাণ দিয়েও কোনো লাভ করতে পারছে না শাসক দল। সেখানেও বারবার কানমোলা খেতে হচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেসকে। কিন্তু তারপরেও তাদের লজ্জা নেই। কারণ তারা শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে পেরে উঠছে না। তাই তাকে যে করেই হোক ফাঁসাতে হবে। তবে শুভেন্দু বাবুও বুঝিয়ে দিচ্ছেন, তৃনমূল যদি বুনো ওল হন, তাহলে তিনি বাঘা তেঁতুল। তাই আবারও সেই শুভেন্দু অধিকারী আওয়াজ তুললেন পরিবর্তনের। দাবি করলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে যে করেই হোক প্রাক্তন করতে হবে। তাহলেই গুন্ডারাজ থেকে মুক্তি পাবে এই রাজ্য। দিনের শেষে তেমনটাই দাবি রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের। আপনার মতামত জানান -