এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > ত্রিপুরায় বসে বিপ্লব দেব সরকারের ওপর চাপ বাড়াচ্ছে তৃণমূল, এক্ষেত্রে অস্ত্র আইপ্যাক কর্মীদের আটক

ত্রিপুরায় বসে বিপ্লব দেব সরকারের ওপর চাপ বাড়াচ্ছে তৃণমূল, এক্ষেত্রে অস্ত্র আইপ্যাক কর্মীদের আটক


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – একুশের বিধানসভা নির্বাচন জেতার পর থেকেই তৃণমূলের লক্ষ্য দিল্লি চলো। অন্যদিকে এর পাশাপাশি তৃণমূল বিভিন্ন রাজ্যে নিজেদের সংগঠন বাড়াতে চাইছে এবং সেক্ষেত্রে নেতৃত্ব দিচ্ছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এই সংগঠন বাড়ানোর কাজে তৃণমূল প্রথম পা বাড়িয়েছে ত্রিপুরার দিকে। প্রসঙ্গত, ত্রিপুরায় 2023 এ বিধানসভা নির্বাচন। তার আগেই ত্রিপুরাতে পায়ের তলার জমি শক্ত করতে তৃণমূল মরিয়া। ত্রিপুরায় সমীক্ষা চালাতে গিয়েছিলেন প্রশান্ত কিশোরের আইপ্যাক টিমের 23 জন সদস্য। কিন্তু তাঁরা সেখানে গিয়ে আগরতলা পুলিশের হাতে আটক হন। কার্যত তাঁদের হোটেলে নজরবন্দি করে রাখা হয়। অভিযোগ ওঠে, করোনাবিধি ভঙ্গের।

এই পরিস্থিতিতে তৃণমূল নেত্রীর নির্দেশে আগরতলা পৌঁছে গিয়েছেন একের পর এক হেভিওয়েট তৃণমূল নেতা নেত্রী। সেখানে গিয়ে তাঁরা রীতিমতো বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছেন। কার্যত সাংবাদিক সম্মেলন করে তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন। বুধবার বাংলা থেকে ব্রাত্য বসু ও মলয় ঘটক এবং ঋতব্রত ব্যানার্জি ত্রিপুরা পৌঁছেছেন। বৃহস্পতিবার ত্রিপুরা পৌঁছেছেন ডেরেক ও’ব্রায়েন এবং কাকলি ঘোষ দস্তিদার।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অন্যদিকে বুধবার যখন বাংলার দুই মন্ত্রী ও নেতা ত্রিপুরা বিমানবন্দরে পা দেন। তখন তাঁদেরকেও প্রথমে আটকে দেওয়া হয়। পরে অবশ্য তাঁদের ছেড়ে দিয়েছে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। কিন্তু এই হেনস্থার বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ করেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দিল্লি থেকে। যেভাবে ত্রিপুরায় তৃণমূল নেতারা ক্রমাগত বিপ্লব দেব সরকারের ওপর চাপ বাড়াচ্ছেন তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলের একাংশের অনুমান, তৃণমূল এককথায় বিজেপির একনায়কতন্ত্র ও জোর-জুলুমের ঘটনাকে জনসমক্ষে তুলে ধরতে চাইছে। এক্ষেত্রে আইপ্যাক সংস্থার কর্মীদের আটক করার ঘটনা তাঁরা উদাহরণ হিসেবে পেশ করছেন।

কার্যত এই ঘটনাকে পাথেয় করে তৃণমূল ত্রিপুরা সরকারের স্বৈরাচারের উদাহরণ তুলে ধরছেন। ঠিকঠাকভাবে এই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা গেলে ত্রিপুরার মাটিতে তৃণমূলের সংগঠন অনেকটাই শক্তপোক্ত হবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। আপাতত তৃণমূলের লক্ষ্য, ত্রিপুরায় বিজেপির বিরুদ্ধে  সুর চড়ানো। কার্যত এক্ষেত্রে আইপ্যাক কর্মীদের আটক করা বিজেপির দিকেই বুমেরাং হয়ে আসবে নাতো? এখন সেই প্রশ্নই রাজনৈতিক মহলের আনাচে-কানাচে। আপাতত অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ত্রিপুরা যাওয়ার পর পরিস্থিতি কোন দিকে মোড় নিচ্ছে, সে দিকেই নজর রাখছে ওয়াকিবহাল মহল।

আপনার মতামত জানান -

ট্যাগড
Top
error: Content is protected !!