এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > শুভেন্দুকে দরাজ সার্টিফিকেট, ফের বড় পদক্ষেপ রাজ্যপালের! নাস্তানাবুদ মমতা!

শুভেন্দুকে দরাজ সার্টিফিকেট, ফের বড় পদক্ষেপ রাজ্যপালের! নাস্তানাবুদ মমতা!


 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- বৃহস্পতিবার রাজ্য বিধানসভায় বাংলা দিবসের প্রস্তাব নিয়ে আলোচনায় কার্যত রাজ্য সরকারকে ধুয়ে দিয়েছেন বিরোধী দলনেতা। এই অধিবেশনের লাইভ সম্প্রচার হওয়ার কারণে বিরোধী দলের নেতাকর্মীটা তো বটেই, শাসক দলের নেতাকর্মীরাও আড়ালে আবডালে শুভেন্দু অধিকারীর কথা শুনে হাসতে শুরু করেছিলেন। অনেকেই বলছিলেন, সহসা বিধানসভার অধিবেশন এভাবে দেখার সৌভাগ্য সাধারন মানুষের হয় না। কিন্তু এদিনের সরাসরি সম্প্রচার বুঝিয়ে দিল, বিধানসভার ভেতরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কিভাবে কুপোকাত করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। সমস্ত ইতিহাসকে গুলিয়ে দিয়ে নিজেদের মতো করে পয়লা বৈশাখ বাংলা দিবস পালন করার জন্য প্রস্তাব বিধানসভায় পাস করেছে রাজ্য।

আর তারপরেই রাজ্যপালের কাছে গিয়ে তার বিরোধিতা জানিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী সহ বিরোধী বিধায়করা। বাইরে বেরিয়ে এসে বিরোধী দলনেতা দাবি করেছেন, বিধানসভার ভেতরে বিরোধী দলের পক্ষ থেকে রাজ্যের প্রস্তাবের বিরোধিতা করে যে সমস্ত যুক্তি দেওয়া হয়েছে, তাকে সাধুবাদ জানিয়েছেন রাজ্যপাল। আর শুভেন্দুবাবুর এই বক্তব্যে যে রাজ্যপালকে নিয়ে আরও নাস্তানাবুদ হতে চলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তাতে নিশ্চিত একাংশ।

প্রসঙ্গত, এদিন বিধানসভায় রাজ্য নিজেদের মতো করে পয়লা বৈশাখ বাংলা দিবস পালন করার প্রস্তাব পাস করে। তবে তার বিরোধিতা করে শুভেন্দু অধিকারী বক্তব্য রাখার সময় জানিয়ে দেন, রাজ্য প্রস্তাব পাস করতেই পারে। তবে রাজ্যপাল তাতে সায় দেবেন না। এক্ষেত্রে শুভেন্দুবাবু যুক্তি দেন যে, ইতিমধ্যেই রাজভবনের পক্ষ থেকে 20 জুন এই পশ্চিমবঙ্গ দিবস পালন করা হয়েছে। তাই তাকে অমান্য করে রাজ্য সরকার কোনোমতেই একটি পৃথক দিনকে ঠিক করে বাংলা দিবস পালন করতে পারেন না। তা সাংবিধানিকভাবে অবৈধ। পরবর্তীতে বিরোধী বিধায়কদের নিয়ে মিছিল করে রাজ্যপালের কাছে গিয়েও সেই কথা তুলে ধরেন বিরোধী দলনেতা। আর তাতে আরও চাপে পড়ে যায় রাজ্য সরকার।

একাংশের মতে, বিরোধী দলনেতার সঙ্গে রাজ্যপাল কি আলোচনা করেছেন, তা কারওর জানার কথা নয়। তবে বাইরে বেরিয়ে এসে শুভেন্দু অধিকারী এক বাক্যে জানিয়ে দিয়েছেন যে, রাজ্যপাল বিধানসভার ভেতরে তাদের ভূমিকা প্রশংসা করেছেন। বাংলা দিবসকে যেভাবে একতরফা তারিখ নিয়ে প্রস্তাব পাস করেছে রাজ্য সরকার, তার বিরোধিতা যেভাবে করেছে বিজেপির পরিষদীয় দল, তাতে বিরোধী দলের ভূমিকায় রাজ্যপাল যে খুশি, তা স্পষ্ট করেছেন বিরোধী দলনেতা। অনেকে বলছেন, শুভেন্দু অধিকারী আর যাই হোক, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মত নন। তিনি অন্তত সাংবিধানিক প্রধানের মতো ব্যক্তির সঙ্গে দেখা করে তার মুখের ওপর নিজের কোনো কথা চাপিয়ে দিয়ে তা সকলের সামনে ব্যাখ্যা করবেন না।

রাজ্যপাল সাংবিধানিক প্রধান। তাই তিনি যা বলেছেন, সেই কথাই বাইরে বেরিয়ে এসে সকলের সামনে উল্লেখ করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। আর ইতিমধ্যেই রাজ্যপাল রাজভবনে 20 জুন পশ্চিমবঙ্গ দিবস পালন করেছেন। তাই তিনি যে রাজ্যের এই সিদ্ধান্তে খুশি হবেন না, সেই ব্যাপারে দ্বিমত নেই বিশেষজ্ঞদের মধ্যেও। পর্যবেক্ষকদের মতে, উপাচার্য নিয়োগকে কেন্দ্র করে এমনিতেই রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। আর তার মধ্যেই আগুনে ঘি ঢেলে দিল রাজ্য সরকার। সাংবিধানিক প্রধানের নির্দেশকে কার্যত অমান্য করে নিজেদের মতো করে বাংলা দিবস পালনের তারিখ ঘোষণা করে দিল। ফলে এর ফল রাজ্যকে মারাত্মকভাবে চোকাতে হতে পারে। নাস্তানাবুদ হতে পারেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তার সরকার। অন্তত তেমনটাই মনে করছেন রাজনৈতিক মহল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!