এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > ধুপগুড়িতে পরাজিত বিজেপি, কোন জাদুতে জয় পেলেন মমতা! মোহভঙ্গের আশঙ্কা তুঙ্গে!

ধুপগুড়িতে পরাজিত বিজেপি, কোন জাদুতে জয় পেলেন মমতা! মোহভঙ্গের আশঙ্কা তুঙ্গে!


 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের পর অবশেষে ধূপগুড়ি বিধানসভা কেন্দ্রে জয়লাভ করলো তৃণমূল কংগ্রেস। জয়ী হলেন তৃণমূলের প্রার্থী নির্মলচন্দ্র রায়। পরাজিত হলেন নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিজেপি প্রার্থী তাপসী রায়। 2021 সালে যে কেন্দ্র তৃণমূলের হাতছাড়া হয়েছিল, বিধানসভা উপনির্বাচনে তা পুনরুদ্ধার করতে পেরে রীতিমতো খুশি ঘাসফুল শিবির। তবে দুই বছর আগে নিজেদের জেতা আসন কেন ধরে রাখতে পারল না বিজেপি? আর দুই বছরের মধ্যে এমন কি হলো, যেখানে জয় পেয়ে গেল রাজ্যের শাসক দল! ইতিমধ্যেই তা নিয়ে শুরু হয়ে গিয়েছে চর্চা।

প্রসঙ্গত, এদিন বিধানসভা উপনির্বাচনে তৃণমূলের জয় আসতেই উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েছে ঘাসফুল শিবির। তবে প্রথম থেকেই বিশেষজ্ঞরা বলছিলেন, যে দলই এখানে জয়লাভ করুক না কেন, তাদের মার্জিন খুব একটা বেশি হবে না। হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের মধ্যে দিয়েই জয়লাভ করবে শাসক অথবা বিরোধী। এদিকে ফলাফল সামনে আসার পরেই তৃণমূল নেতৃত্ব দাবি করছে, তাদের উন্নয়নমূলক প্রতিশ্রুতি জেরেই মানুষ তাদের উপর ভরসা রেখেছেন। অন্যদিকে বিজেপির বক্তব্য, উপনির্বাচনে যে দল রাজ্যের ক্ষমতায় থাকে, তার দিকেই সমর্থন যায় সাধারণ মানুষের।

তাই এই উপনির্বাচনের ফলে যেহেতু রাজ্যের ক্ষমতার পট পরিবর্তন হবে না, সেই কারণে কিছু ভোটের এদিক-ওদিক হয়ে যাওয়ার জেরে এই কেন্দ্র ধরে রাখতে পারল না তারা। তবে বিরোধীরা এটাও বলছে, যে প্রতিশ্রুতি দিয়ে তৃণমূল এই কেন্দ্রে জয় ছিনিয়ে নিয়ে এলো, সেই প্রতিশ্রুতি পূরণ হবে তো! নাকি মোহভঙ্গ হবে সাধারণ মানুষের? কেননা এর আগেও মুখ্যমন্ত্রী ধুপগুড়িকে মহকুমা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কিন্তু তা পূরণ হয়নি। ফলে এবার তা পূরণ হওয়া নিয়ে যথেষ্ট সংশয় রয়েছে বলে দাবি একাংশের।

বলা বাহুল্য, ধুপগুড়ি বিধানসভা উপনির্বাচনের প্রচারে এসে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন 31 ডিসেম্বরের মধ্যে ধুপগুড়িকে মহকুমা করে দেওয়া হবে। আর সেই প্রতিশ্রুতি দিয়েই তৃনমূল ভোটবাক্সে বাজিমাত করেছে। কিন্তু এবার শাসকদলের দায়িত্ব, সেই প্রতিশ্রুতি পূরণ করা। যদি তা না করা হয়, তাহলে সাধারণ মানুষকে টুপি পড়ানোর কৌশল সামনে চলে আসবে। যার জবাব আগামী দিনে পেয়ে যাবে রাজ্যের শাসক দল। কারণ, একটা নির্বাচন দিয়ে তৃণমূলের রাজনৈতিক বৈতরণী পার হবে না। আগামী দিনে রয়েছে লোকসভা এবং তারপর রয়েছে আবার পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচন। তাই শাসকদলের উন্নয়নে নিজেদের ভাসিয়ে নিতে এখানকার মানুষ তৃণমূল নেতার প্রতিশ্রুতিতে হয়তো বিশ্বাস করেছেন। তবে সেই বিশ্বাসভঙ্গ যদি হয়, তাহলে তার ফল তৃণমূলের জন্য অত্যন্ত মারাত্মক হবে। অন্তত তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!