এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > দিদিমনির সাহস নেই? ‘পেটোয়া’ শিক্ষকদের দিয়ে রাজভবন ব্লকের চক্রান্ত মমতার!

দিদিমনির সাহস নেই? ‘পেটোয়া’ শিক্ষকদের দিয়ে রাজভবন ব্লকের চক্রান্ত মমতার!


 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- রাজ্যপাল উপাচার্য নিয়োগ করেছিলেন, তাই নিয়ে কতই না হুমকি, হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনকি তিনি এটাও বলেছিলেন যে, প্রয়োজনে তিনি নাকি রাজভবনের সামনে ধরনা দেবেন! তবে কোথায় গেল মুখ্যমন্ত্রীর সেই হুমকি এবং সেই ধরনা? না, মুখ্যমন্ত্রী দিলেন না। কিন্তু নিজের দলের শিক্ষক, অধ্যাপকদের দিয়ে রাজভবনের সামনে অবস্থান বিক্ষোভ করালেন। আর এই ব্যাপারে সোচ্চার হয়ে বিরোধীরা প্রশ্ন করছে, তাহলে কি সব জারিজুরি চুপসে গেল? ভয় পেয়ে গেলেন বাংলার অগ্নিকন্যা?

প্রসঙ্গত, আজ সকাল থেকেই রাজভবনের সামনে তৃণমূল সরকারের আমলে নিযুক্ত উপাচার্যদের সংগঠনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন শিক্ষক, অধ্যাপকরা বিক্ষোভে সামিল হয়েছেন। যেখানে তাদের মূল অভিযোগ, রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করছেন রাজ্যপাল। জানা গিয়েছে, রাজভবনের উত্তর দিকের গেটের সামনে এই প্রতিবাদ বিক্ষোভ সংগঠিত করা হয়েছে। যেখানে রয়েছেন সুবোধ সরকার, ওমপ্রকাশ মিশ্রের মত ব্যক্তিরা। তবে এভাবে সাংবিধানিক প্রধানের দরজার সামনে কেউ বিক্ষোভে বসতে পারে কিনা, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন একাংশ।

বলা বাহুল্য, সম্প্রতি উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে মন্তব্য করে চরম হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি জানিয়ে দিয়েছিলেন, এভাবেই যদি চলতে থাকে, তাহলে তিনি রাজভবনের সামনে গিয়ে ধরনায় বসবেন। পাল্টা বৃহস্পতিবার সকালে দিল্লি থেকে ফিরে রাজ্যপাল জানিয়ে দিয়েছিলেন, যদি মুখ্যমন্ত্রী ধরনা দিতে চান, তাহলে রাজভবন তাকে স্বাগত জানাবে। আর রাজ্যপালের এই মন্তব্যেই কি চুপসে গেলেন বাংলার অগ্নিকন্যা! কেননা সাংবিধানিক প্রধানের বিরুদ্ধে যদি লাগাতার এভাবেই হুমকি, হুঁশিয়ারি দিতে শুরু করেন প্রশাসনিক প্রধান, তাহলে তার ফল মারাত্মক হতে পারে, তা হয়তো বুঝতে পেরেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই শেষ পর্যন্ত নিজের ধরনায় না বসে নিজের “পেটোয়া” শিক্ষকদের অবস্থান-বিক্ষোভে শামিল করিয়েছেন। অন্তত তেমনটাই দাবি করছে বিরোধীরা।

পর্যবেক্ষকদের মতে, মুখ্যমন্ত্রী মুখে যাই বলুন না কেন, যতই রাজ্যপালকে হুঁশিয়ারি দিন না কেন, তিনিও খুব ভালো করে জানেন, সাংবিধানিক প্রধানের ক্ষমতা। তাই হয়তো শেষ পর্যন্ত ধরনার হুঁশিয়ারি দিয়েও, তা থেকে নিজেকে সরিয়ে নিতে বাধ্য হলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে তিনি যে সমস্ত শিক্ষক অধ্যাপকদের সেই ধরনাতে সামিল করালেন, তাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে কি একবারও চিন্তা করেছেন বাংলার প্রশাসনিক প্রধান? যদিও বা বিক্ষোভরত অধ্যাপক এবং শিক্ষকরা বলতেই পারেন, তারা রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থাকে স্বচ্ছ করতেই পথে নেমেছেন। তবে রাজ্যপাল যদি তাদের বিরুদ্ধে রাজভবন ব্লক করার চক্রান্তের অভিযোগ আনেন, তখন এই সমস্ত বড় বড় বুলি শিক্ষক মহাশয়দের থাকবে তো? প্রশ্ন তুলছে সমালোচক মহল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!