এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > আদালতে ধাক্কা খেতেই মমতাকে চাঁচাছোলা আক্রমণ, আসর জমালেন শুভেন্দু!

আদালতে ধাক্কা খেতেই মমতাকে চাঁচাছোলা আক্রমণ, আসর জমালেন শুভেন্দু!


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-শেষ পর্যন্ত ন্যায়ের পক্ষেই রায় দিলো আদালত। কলকাতা হাইকোর্ট বুঝিয়ে দিল, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তার পুলিশ শত চেষ্টা করেও গণতন্ত্রকে আটকাতে পারবে না। এই রাজ্যে আদালতের জন্যেই বহাল থাকবে গণতন্ত্র। বিজেপির সভা আটকাতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চেষ্টার শেষ ছিল না। কিন্তু আজ প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে গিয়ে তারা মুখ থুবড়ে পড়ল। এদিন বিচারপতি একটি তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য করেছেন। আর সেই মন্তব্যকে হাতিয়ার করেই সভায় অনুমতি পাওয়ার পর রীতিমত পিসি-ভাইপোকে মোক্ষম জবাব দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

প্রসঙ্গত, সিঙ্গল বেঞ্চে ধাক্কা খাওয়ার পরে এদিন ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয় রাজ্য সরকার। আর সেখানেই প্রধান বিচারপতি স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দেন, যদি এভাবেই বিজেপির সভা আটকাতে হয়, তাহলে 21 জুলাইয়েও সভা করা যেন বন্ধ করে তৃণমূল। অর্থাৎ আইন সবার জন্য সমান, এটা বুঝিয়ে দেন প্রধান বিচারপতি। আর তাতেই রাজ্যের মুখ কার্যত শুকিয়ে যায়। শেষ পর্যন্ত বিজেপিকে সভা করার অনুমতি দেন প্রধান বিচারপতি। আর এরপরেই উচ্ছ্বসিত হয়ে এক্স হ্যান্ডেলে পাল্টা রাজ্যকে এবং শাসক দলকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি দাবি করেন, একুশে জুলাই যে ধর্মতলায় সভা হয়, সেটাকে তৃণমূল নিজেদের সম্পত্তি বলেই মনে করে। পাশাপাশি বিচারব্যবস্থা যেভাবে বিজেপির পক্ষে রায় দিয়েছে, তাতেও সন্তোষ প্রকাশ করেন বিরোধী দলনেতা। পিসি-ভাইপোকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, “এই রাজ্যে পুলিশকে এভাবেই দলতন্ত্রের কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে।”

ইতিমধ্যেই গোটা বিষয়ে বিজেপির পক্ষ থেকেও তৃণমূলকে লাগাতার আক্রমণ করা হচ্ছে। গেরুয়া শিবিরের দাবি, এত কিছুর পরেও যদি লজ্জা না হয়, তাহলে আর তৃণমূলকে কিছু বলার নেই। আসলে এরা দুইকান কাটা। তাই বারবার ধাক্কা খাওয়ার পরেও বিজেপিকে আটকানোর চেষ্টা করছে। 21 জুলাই তারা ধর্মতলায় সভা করতে পারবে, কিন্তু বিরোধীরা সভা করতে পারবে না। এক আজব আইন তৃণমূলে এই রাজ্যের বুকে প্রতিষ্ঠা করছে। তাই বিচার ব্যবস্থা তাদের মুখে ঝামা ঘষে দিয়েছে বলেই দাবি পদ্ম শিবিরের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, বিজেপিকে সভা করার অনুমতি দিলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সকলেই ভালো বলতেন। পাশাপাশি বিজেপিও এই দাবি করতে পারত না যে, এই রাজ্য গণতন্ত্র নেই। কিন্তু এই সামান্য অনুমতিটা না দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিরোধীদের কাছে তো বটেই, রাজ্যের মানুষের কাছে তো বটেই, এমনকি আদালতের কাছেও প্রবল ধাক্কা খেলেন। আদালতও বুঝে গেল যে, কিভাবে বিরোধীদের কণ্ঠরোধ করা হচ্ছে। তাই সুযোগ পেয়ে শুভেন্দু অধিকারীও এই শাসকের বিরুদ্ধে সোচ্চার হলেন। আর হেরে গিয়ে পর্যদুস্ত হওয়ার পর শাসকের এই সমস্ত কথা হজম করা ছাড়া আর কোনো উপায়ও নেই। পুলিশ দিয়ে সর্বস্ব পরিচালনা করা, এই মনোভাবের জন্যই ভয়ানক দশা হয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশাসনের। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!