এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > ঠেলার নাম বাবাজি, আদালতে ছুটলেন মমতা ঘনিষ্ঠ! উজ্জীবিত বিজেপি!

ঠেলার নাম বাবাজি, আদালতে ছুটলেন মমতা ঘনিষ্ঠ! উজ্জীবিত বিজেপি!


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-এই রাজ্যে নিয়ম কানুন বলতে কিছু নেই। পুলিশ প্রশাসন সবটাই চলছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথামত। এমনকি নির্বাচনেও সেই পুলিশ প্রশাসনের দ্বারাই ভোটকে প্রহসনে পরিণত করা হয়। বিরোধীদের তোলা এই অভিযোগ নতুন কিছু নয়। তবে সদ্য সমাপ্ত পঞ্চায়েত নির্বাচনে আদালত অবমাননার অভিযোগে রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহা ভেবেছিলেন, তিনি হয়তো ছাড় পেয়ে যাবেন। কিন্তু আইন, আদালত সবকিছুর ঊর্ধ্বে। তাই শেষ পর্যন্ত আদালতের দরজায় যেতে বাধ্য হলেন রাজ্যের বর্তমান নির্বাচন কমিশনার। আর এই দৃশ্য দেখে রীতিমত উজ্জীবিত বিরোধী দল বিজেপি।

প্রসঙ্গত, বেশ কিছুদিন আগেই আজকের তারিখ দিয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশনারকে আদালতে হাজিরা হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। আর সেই মতই আজ প্রধান বিচারপতির বেঞ্চের কাছে নির্দিষ্ট সময়ে হাজিরা দেন রাজিব সিনহা। বিরোধীদের অভিযোগ, এছাড়া তো তার কাছে কোনো উপায় ছিল না। তিনি তো আদালতের নির্দেশকে অবমাননা করেছেন। তাই এবার তার ফল তাকে পেতেই হবে। এবার দেখুন, ঠেলা কাকে বলে। ভেবেছিলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত তার মাথার ওপর রয়েছে। তাই তিনি সবকিছু করতে পারেন। কিন্তু কিন্তু বিচার ব্যবস্থার কাছে কেউ ছাড় পায় না। অন্যায় করলে শাস্তি পেতেই হবে। তাই মুখে বড় বড় কথা বললেও, নির্বাচনকে প্রহসনে পরিণত করার পরেও আদালতে যেতে বাধ্য হলেন রাজ্যের নির্বাচন কমিশনার।

বিজেপির দাবি, এই রাজ্যে নির্বাচন একটাও সুষ্ঠুভাবে হয় না। কেন্দ্রীয় বাহিনী ছাড়া নির্বাচন পরিচালিত করা কার্যত অসম্ভব। তবুও রাজ্য নির্বাচন কমিশনের ওপর ভরসা রাখা হয়েছিল। কিন্তু তারা আদালতের নির্দেশকে অমান্য করে ভোটকে প্রহসনে পরিণত করেছেন। তাই শেষ পর্যন্ত নির্বাচন কমিশনারকেও আদালতে আসতে হলো। সত্যিই, এই দিন দেখতে হবে রাজ্যের মানুষকে, তা কেউ ভাবতে পারেনি। কিন্তু এত কিছুর পরেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তার দলদাস লোকেদের লজ্জা বলতে কিছু নেই। কিন্তু বিচারব্যবস্থার একের পর এক নির্দেশ প্রমাণ করে দিচ্ছে, শাসকের আইন শেষ কথা বলে না। আইনের শাসন যে বাংলায় কিছুটা হলেও রয়েছে, তা আবার স্পষ্ট হয়ে গেল বলেই দাবি গেরুয়া শিবিরের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, পঞ্চায়েত নির্বাচনে যদি নির্বাচন কমিশন একটু কড়া মনোভাব নিত, যদি তারা সরকারের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিয়ে বুঝিয়ে দিত যে, তারা নিরপেক্ষ, তাহলেই আর কোনো অসুবিধা ছিল না। কিন্তু এই নির্বাচন কমিশনারের সেটা করার মত মেরুদন্ড ছিল না। তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আশ্রয় নিয়ে ধন্য হয়েছেন। তাই তার দলদাস হয়ে শেষ দিন পর্যন্ত তিনি প্রমাণ করে গিয়েছেন, গণতন্ত্র এই রাজ্যে সুরক্ষিত থাকবে না। তাই হাতেনাতে তার ফল পেতেই হল। শেষ পর্যন্ত আদালতের দরজায় গিয়ে নাস্তানাবুদ হলেন রাজীব সিনহা। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!