এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > মমতার জন্য চরম লজ্জিত বাংলা! দেশবিরোধী বলে সোচ্চার হলেন শুভেন্দু!

মমতার জন্য চরম লজ্জিত বাংলা! দেশবিরোধী বলে সোচ্চার হলেন শুভেন্দু!


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-কেন্দ্রের সঙ্গে রাজ্য সরকারের রাজনৈতিক মতপার্থক্য থাকতে পারে। কিন্তু দেশের যখন উন্নতি হবে, দেশ যখন বিপদে পড়বে, তখন সবার তো একসাথে থাকা উচিত। কিন্তু সেটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় করেন না। প্রতি পদে পদে তিনি প্রমাণ করে দিচ্ছেন, দেশের উন্নতি তিনি সহ্য করতে পারেন না। এবারেও তাই করেছেন। যার কারণে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু যে বাংলায় জন্মগ্রহণ করেছেন, সেখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মত মুখ্যমন্ত্রী, বলা ভালো দেশবিরোধী নেত্রীকে দেখে রীতিমত তেড়েফুড়ে উঠেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। দেশ বিশ্বকাপ পায়নি, সবাই আপসেট, সবাই দুঃখিত। কিন্তু সেই সময় রাজনীতি করে কেন এই স্টেডিয়ামে হল, কেন ওই স্টেডিয়ামে হলো না, এরকম নানা প্রশ্ন করে কেন্দ্রীয় সরকারকে কটাক্ষ করে নিজের দেশবিরোধী মনোভাবের পরিচয় দিচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। আর সেই প্রসঙ্গেই বলতে গিয়ে শুভেন্দু অধিকারী একের পর এক দৃষ্টান্ত টেনে ধরে বুঝিয়ে দিলেন, এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী কতটা দেশের বিপক্ষে!

প্রসঙ্গত, এদিন বিশ্বকাপ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যের পরেই তাকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন রাজ্যে বিরোধী দলনেতা। তিনি বলেন, “এই মুখ্যমন্ত্রী দেশবিরোধী মুখ্যমন্ত্রী। তিনি দেশের উন্নতি সহ্য করতে পারেন না। এখন যখন বিক্রম গিয়েছে, তখন তিনি বলছেন, বিক্রম নাকি ওখানে গিয়ে ঘুমোচ্ছে। এর আগে পাকিস্তানে যখন স্ট্রাইক করা হয়েছিল, তখন এই মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, প্রমাণ কোথায়, কি করে বুঝব, ওখানে গিয়ে ভেতরে স্ট্রাইক করা হয়েছে? নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর মাটিতে এই ধরনের মুখ্যমন্ত্রী, সত্যিই আমাদের লজ্জা হয়।” একাংশ বলছেন, এই প্রথম তো নয়। সত্যিই তো, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারবার দেশের যখন উন্নতি হচ্ছে, দেশ যখন এগিয়ে যাচ্ছে, তখন তিনি তার বিরোধিতা করছেন। আসলে তিনি কেন্দ্রের বিরোধিতা করতে গিয়ে বারবার নিজের দেশ বিরোধী মনোভাবের পরিচয় দিচ্ছেন। আর তাতেই হাতিয়ার পেয়ে যাচ্ছে বিজেপি। তাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যত কম মুখ খুলবেন, ততই তার পক্ষে ভালো। তিনি যদি এভাবেই লাগাতার দেশের সম্পর্কে মন্তব্য করতে থাকেন, তাহলে তার দেশপ্রেম মনোভাব নিয়েই প্রশ্ন উঠবে। বাংলার মাটিতে প্রমাণ হয়ে যাবে যে, রাজনৈতিক শত্রুতার ঊর্ধ্বে উঠে দেশকে কখনও আপন করে নিতে পারছেন না তৃণমূল নেত্রী। তাই মুখ্যমন্ত্রী নিজের ভালো কবে বুঝবেন, সেটাই লাখ টাকার প্রশ্ন। অন্তত তেমনটাই মনে করছেন সমালোচকরা।

ইতিমধ্যেই গোটা বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ করতে শুরু করেছে বিজেপি। তাদের দাবি, এই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তো অনেক বড় বড় দাবি করে বলেন যে, বাংলা থেকে নাকি সবথেকে বেশি স্বাধীনতা সংগ্রামী রয়েছে। তাহলে সেই মাটি থেকে তিনি কি করে দেশবিরোধী মন্তব্য করছেন? একবারও তার লজ্জা হচ্ছে না এই ধরনের কথা বলতে? সব বিষয়েই কেন তাকে শত্রুতা করতে হবে! কেন তাকে রাজনৈতিক কথা বলতে হবে! যিনি একটা সেকেন্ড রাজনীতি ছাড়া বাঁচেন না, তার মুখ থেকে এই ধরনের কথা বের হবে, সেটাই তো স্বাভাবিক। দেশের উন্নতি নয়, নিজের পরিবারের উন্নতি এবং নিজের উন্নতিতেই সবথেকে বেশি ব্যস্ত এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। তাই রাজনীতি করার নামে আখের গোছানোর কারণেই তিনি দেশবিরোধী কথা বলে ফেলছেন বলেই দাবি গেরুয়া শিবিরের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, এখনও সময় আছে, গঠনগত বিরোধিতা করুন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুধুমাত্র বিজেপি কেন্দ্রে আছে বলে দেশের উন্নতি হলেই বিজেপিকে আক্রমণ করবেন, এই প্রবণতা বন্ধ করুন। তা না হলে দেশের উন্নতির সময় তিনি যখনই মুখ খুলবেন, তখনই তার মুখ দিয়ে বেরোবে দেশবিরোধী কথা। আর সব থেকে বেশি যে বাংলা স্বাধীনতা সংগ্রামী দিয়েছে, সেই বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর মুখ থেকে অন্তত এই ধরনের বক্তব্য আশা করে না গোটা দেশ। নিজের সর্বনাশ তো করছেনই। পাশাপাশি এই সংস্কৃতির বাংলা, সৌহার্দের বাংলা, সৌভাতৃত্বের বাংলাকে তিনি দেশের সামনে লজ্জিত করছেন। শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্যের পর তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!