এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > মমতা পুলিশের মামাবাড়ির আবদার, আদালতে ছুটলেন সুকান্ত! আশাবাদী বিজেপি!

মমতা পুলিশের মামাবাড়ির আবদার, আদালতে ছুটলেন সুকান্ত! আশাবাদী বিজেপি!


 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- বিভিন্ন কর্মসূচিতে বারবার করে বাধা পেয়ে বিরোধীরা আদালতে গিয়ে প্রমাণ করে দিয়েছে যে, এই রাজ্যের পুলিশ দলদাসের মত কাজ করছে। কিন্তু তারপরেও তাদের শিক্ষা হয় না। সব জায়গায় বিরোধীদেরকে আটকাতে হবে। অথচ সন্দেশখালিতে মূল অভিযুক্তকে এই পুলিশ ধরতে পারছে না। তাই মানুষের দাবি তুলে ধরতে আজ থেকে তিন দিনব্যাপী মেয়ো রোডে বিক্ষোভ কর্মসূচি করার পরিকল্পনা নিয়েছিল বিজেপি। সেনাবাহিনীর তরফে তারা অনুমতিও পেয়ে গিয়েছিল। কিন্তু পুলিশ তাদের অনুমতি দেয়নি। তাই শেষ পর্যন্ত আইনের দরজায় পৌঁছে গেল সুকান্ত মজুমদারের নেতৃত্বাধীন বঙ্গ বিজেপি। বিজেপি কর্মীরা আশা করছেন যে, আবার আদালতে তরফে তাদের সবুজ সংকেত দেওয়া হবে এবং তারপরেই তারা এই সন্দেশখালীর ঘটনা নিয়ে তাদের যে কর্মসূচি, সেই কর্মসূচি পালন করবে। আর তখন আচ্ছা মত কানমলা খাবে এই ফ্যাসিস্ট প্রশাসন।

প্রসঙ্গত, বিজেপির পরিকল্পনা ছিল যে, আজ থেকে আগামী 28 তারিখ পর্যন্ত তারা মেয়ো রোডে সন্দেশখালি নিয়ে বিক্ষোভ কর্মসূচি করবেন। আর সেই মতই তারা প্রস্তুতি নিয়েছিলেন। কিন্তু সকাল থেকেই এই রাজ্যের মমতা পুলিশ বিজেপির এই কর্মসূচিকে আটকানোর জন্য সেখানে পৌঁছে যায়। প্রচুর পুলিশ থেকে শুরু করে ফোর্স নামানো হয়। এমনকি প্রিজন ভ্যান পর্যন্ত নিয়ে আসা হয়। তবে এই প্রশাসনের সঙ্গে অযথা তর্কে না জড়িয়ে একেবারে সঠিক কাজটাই করেছে ভারতীয় জনতা পার্টি। কলকাতা হাইকোর্টে পৌঁছে গিয়ে তারা এই ব্যাপারে সুবিচারের প্রার্থনা করেছে। বিজেপির একটাই প্রশ্ন যে, এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী একটি কারণে এই মেয়ো রোডে 12 দিন ধর্না করেছিলেন, সেখানে বসে ছিলেন। তাই তার ক্ষেত্রে যদি পুলিশ অনুমতি দিতে পারে, তাহলে কেন বিজেপি এত বড় স্পর্শকাতর ঘটনা নিয়ে আন্দোলন করলেও, তাদেরকে অনুমতি দেওয়া হবে না? স্বাভাবিক ভাবেই আজ বিজেপির দায়ের করা এই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে শুনানি না হলেও, আগামীকাল শুনানি হবে বলে খবর।

পর্যবেক্ষকদের মতে, বিজেপি কোনো অবাস্তব বিষয় নিয়ে আদালতে যায়নি। আর অতীতের অভিজ্ঞতা বলছে যে, আদালত এই ব্যাপারে বিজেপির পক্ষেই সায় দেবে। কারণ বিরোধী রাজনৈতিক দলের গণতান্ত্রিক অধিকার রয়েছে কর্মসূচি করার। সেখানে সন্দেশখালি জ্বলছে, মুখ্যমন্ত্রী যাচ্ছেন না, পুলিশের কোনো হেলদোল নেই, অথচ সেই বিষয় নিয়ে বিরোধীরা আন্দোলন করতে পারবে না, এটা কেমন কথা? তাই শেষ পর্যন্ত পুলিশের বাধাকে উপেক্ষা করে আদালতে গিয়ে বিজেপি যদি এই আন্দোলনের ব্যাপারে সবুজ সংকেত নিয়ে আসতে পারে, তাহলে উচিত শিক্ষা দেওয়া সম্ভব হবে এই দলদাস প্রশাসনকে। মুখ পুড়বে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই সবেধর নীলমণি পুলিশ প্রশাসনের। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!