এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > ফের সংবাদমাধ্যমের বড় জয়, মমতা পুলিশকে চরম ধাক্কা আদালতের!

ফের সংবাদমাধ্যমের বড় জয়, মমতা পুলিশকে চরম ধাক্কা আদালতের!


 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- সন্দেশখালি এই শাসকদলের এতটাই গলার কাটা হয়ে গিয়েছে যে, সাংবাদিকরা পর্যন্ত এখন মুখ খুলতে পারছেন না। একটু সুযোগ পেলেই তৃণমূল কংগ্রেস এবং তাদের প্রশাসন দলদাসের মত আচরণ করে প্রতিবাদী সাংবাদিকদের কন্ঠ রোধ করতে চাইছে। তবে অনুপ্রাণিত মিডিয়াদের একজন, দুজন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই পুলিশের ভয়ে ভীত হয়ে থাকতে পারেন। কিন্তু সবাই মেরুদন্ড বিক্রি করে দেয়নি। তাই সন্তু পানকে গ্রেপ্তার করে যেমন দীর্ঘদিন হাজতে রাখতে পারেনি প্রশাসন, ঠিক তেমনই এবিপি আনন্দের সাংবাদিক সুমন দের ক্ষেত্রেও বড় জয় পেল গণতন্ত্র এবং গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভ। সন্দেশখালি কাণ্ডে এই সুমন দের বিরুদ্ধেও এফআইআর দায়ের করেছিল পুলিশ। কিন্তু আজ কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি কৌশিক চন্দ যে স্থগিতাদেশ দিয়ে দিলেন, তারপর মুখ পুড়লো এই রাজ্যের প্রশাসনের।

প্রসঙ্গত, যারাই তৃণমূলের বিরুদ্ধে কথা বলবে, যারাই এই শাসকদলের অন্যায়ের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলবে, তাদেরকেই জেলে ঢোকানোর চেষ্টা অনেকদিন ধরেই ছিল। তবে সন্দেশখালি নিয়ে খবর করতে গিয়ে কিছুদিন আগেই গ্রেফতার হয়েছিলেন সাংবাদিক সন্তু পান। যার বিরুদ্ধে সকলেই গর্জে উঠেছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আদালত তাকে জামিন দিয়ে দেয়। আর এই ঘটনার পরেই খবর পাওয়া গিয়েছিল যে, এবিপি আনন্দের সাংবাদিক সুমন দের ক্ষেত্রেও একই পদ্ধতি অবলম্বন করতে চাইছে এই রাজ্যের পুলিশ। তবে আজ কলকাতা হাইকোর্টে বিচারপতি কৌশিক চন্দ পুলিশের সেই চেষ্টাতে স্থগিতাদেশ দিয়ে দিলেন। জয় হল গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভের।

প্রমাণ হয়ে গেল যে, এই রাজ্যের পুলিশের  গা জোয়ারি সব জায়গায় খাটবে না। সাংবাদিক এবং সংবাদ মাধ্যমকে তাদের বলার স্বাধীনতা দিতে হবে, খবর করতে দিতে হবে। অযথা যদি প্রতিহিংসা ভাবে এই রাজ্যের প্রশাসন কারওর ওপর গাজোয়ারি করতে আসে, তাহলে তার ফল পেতে হবে তাদের। কিছু ক্ষেত্রে সংবাদ মাধ্যমের ভুল হতেই পারে। কিন্তু সেই ভুল যদি সাথে সাথে স্বীকার করে নেওয়া হয়, তাহলে সেটা ইচ্ছাকৃত ভুল হিসেবে গণ্য হয় না। এক্ষেত্রে পুলিশ ভেবেছিল যে, কিছু একটা করে সুমনদেরকে হেনস্থা করা যাবে। কিন্তু সবকিছু বুঝে আদালত যে স্থগিতাদেশ দিয়েছে, তাতে আরও একবার স্পষ্ট হয়ে গেল যে, এই রাজ্যে প্রশাসনের কাছে আইনের বিচার পাওয়া না গেলেও, শেষ রাস্তা বিচার ব্যবস্থা।

পর্যবেক্ষকদের মতে, সকলেই এই সরকারের বিরুদ্ধে এখন এক ছাতার তলায় আসতে শুরু করেছে। গণতন্ত্রের সবকটা স্তম্ভকে এরা ভেঙে দিতে চেয়েছিল। তবে সবাইকে কবজা করে নিতে পারলেও একমাত্র ব্যতিক্রম সংবাদ মাধ্যম। গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভ আজও মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে। আর সেই কারণে তাদেরকে দমন করা সম্ভব হয়নি বুঝেই সন্দেশখালি নিয়ে যে করেই হোক প্রতিবাদী সাংবাদিকদের কণ্ঠরোধ করার চেষ্টা হচ্ছে। তবে আদালত বিচার ব্যবস্থাকে সঠিক জায়গায় নিয়ে গিয়েছে বলেই সাংবাদিকরা এখনও বলার সুযোগ পাচ্ছেন। তাই হাজার প্রতিহিংসার ছক কষেও শেষ পর্যন্ত ব্যর্থ হচ্ছে এই রাজ্যের ফ্যাসিস্ট প্রশাসন। জয় হচ্ছে গণতন্ত্রের। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!