প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – সোশ্যাল মিডিয়ার পোস্ট ঘিরে অশান্তির আগুন জ্বলে উঠেছে বেঙ্গালুরুতে। এবং সেই অশান্তি রাজপথে নেমে এসেছে। অশান্তির কারণে ইতিমধ্যেই পুলিশের হাতে প্রাণ গেছে দুজনের। সম্প্রতি ব্যাঙ্গালোরের কংগ্রেস বিধায়কের আত্মীয়ের করা সোশ্যাল পোস্ট ঘিরে শুরু হয় তুমুল অশান্তি। অশান্তি এত বৃহৎ আকার নেয় যে পুলিশকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে আসরে নামতে হয়। ঘটনার সূত্রপাত হয় মঙ্গলবার সকালে। কংগ্রেস বিধায়ক শ্রীনিবাস মূর্তির ভাগ্নে নবীন একটি বিতর্কিত পোস্ট করেন বিখ্যাত সোশ্যাল মিডিয়া ফেসবুকে।

ঝড়ের গতিতে পোস্টটি শেয়ার হতে থাকে এবং এই পোস্ট ঘিরে তুমুল বিতর্ক শুরু হয় নেটদুনিয়ায় প্রায় সাথে সাথেই। বেঙ্গালুরু শহরের ডিজে হাল্লি এবং কেজি হাল্লি এলাকায় ব্যাপক বিক্ষোভ শুরু করে উত্তেজিত জনতা। বিধায়কের বাড়ির সামনেও ভিড় জমিয়ে বিক্ষোভ শুরু হয়। বাড়ি লক্ষ্য করে ইঁট, পাথর, কাঁচের বোতল ছুড়তে শুরু করে বিক্ষোভকারীরা। দু-তিনটি গাড়িতে আগুন লাগিয়েও দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ আসলে পুলিশের সঙ্গে খণ্ডযুদ্ধ বেধে যায় উত্তেজিত জনতার।

পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশ গুলি চালায়। সেই গুলিতেই দুজন নিহত হয় বলে জানা গেছে। অন্যদিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গিয়ে প্রায় 60 জন পুলিশ কর্মী আহত হয়েছেন বলে খবর। তবে এই ঘটনা প্রথমিকভাবে জনরোষ থেকে ঘটছে বলে মনে হলেও এর পেছনে অন্য ষড়যন্ত্র দেখছেন তদন্তকারীরা। আর তদন্তে উঠে এসেছে ইসলামিক মৌলবাদী সংগঠন পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়ার নাম। ইতিমধ্যে এই সংগঠনের রাজনৈতিক শাখা সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টি অফ ইন্ডিয়ার একজন সদস্য পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে বলে জানা গেছে।

পুলিশ দাবি করেছে, হিংসায় ইন্ধন যুগিয়েছে এসডিপিআই। এসডিপিআই দলটি আত্মপ্রকাশ করে 2009 সালে নয়াদিল্লিতে। পরের বছর নির্বাচন কমিশনে নথিবদ্ধ হয় এই দলটির নাম। কেরল ও কর্নাটকে লাভ জিহাদ থেকে শুরু করে বিভিন্ন সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপে জড়িত এই সংগঠনটি বলে বহুদিন ধরেই অভিযোগ রয়েছে। অন্যদিকে কোন পোস্ট থেকে এই অশান্তির সূত্রপাত, তা এখনো পরিষ্কার হয়নি অনেকের কাছেই। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, পোস্টে যাই থাক না কেন বোঝাই যাচ্ছে সেটি খুব একটি স্বস্তিজনক পোস্ট নয়।

আপাতত এই বৃহৎ আকারের অশান্তি পেছনে আর কি কি কারণ থাকতে পারে এবং কে এই অশান্তির পেছনের মূল পান্ডা, তা নিয়ে ইতিমধ্যে তদন্তে নেমেছে পুলিশ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনলেও এলাকা এখনো রীতিমতো থমথমে হয়ে রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। যেকোন মুহুর্তে আবার অশান্তি শুরু হতে পারে বলে আশংকা প্রকাশ করছে স্থানীয়রা। তবে এলাকায় এখনও পুলিশি টহল চলছে বলে জানা গেছে। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা চলছে বলে খবর।