এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে আঘাত, মমতার যন্ত্রণা বাড়িয়ে পাশে দাঁড়ালেন শুভেন্দু!

গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে আঘাত, মমতার যন্ত্রণা বাড়িয়ে পাশে দাঁড়ালেন শুভেন্দু!

 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- এই রাজ্যে যারাই তৃণমূলের বিরুদ্ধে কথা বলবে, তাদেরকেই জেলে পুরে দেওয়ার চেষ্টা করবে প্রশাসন। গণতন্ত্রকে এই রাজ্যের সরকার অনেক দিন আগেই হত্যা করেছে। তবে গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভকে কোনোমতেই বাগে আনতে পারছিল না। ইউটিউবার থেকে শুরু করে প্রতিবাদী সাংবাদিকদের কণ্ঠরোধ করার বহু চেষ্টা করেও এই সরকার বারবার ব্যর্থ হয়েছে। তবে সাম্প্রতিককালে সন্দেশখালি নিয়ে খবর করতে গিয়ে গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভের ওপর যে আঘাত এই রাজ্যের শাসক দলের পক্ষ থেকে এসেছে, তা মারাত্মক। তবে সেখানেও এই ফ্যাসিস্ট প্রশাসন সফলতা পাচ্ছে না। সন্তু পান যেমন জামিন পেয়ে গিয়েছেন, ঠিক তেমনই সুমন দেকে কাবু করার চেষ্টা করেও আজ পুলিশি তদন্তে আদালতের স্থগিতাদেশের কারণে মুখ পুড়েছে রাজ্য সরকারের। তবে বরাবরই এই রাজ্যের ফ্যাসিস্ট শাসকের এই ধরনের চেষ্টার বিরুদ্ধে প্রতিবাদীদের পাশে থাকতে দেখা গিয়েছে শুভেন্দু অধিকারীকে। আজ আদালত সুমন দের পাশে থেকে যে নির্দেশ দিয়েছে, তার পরে আরও একবার রাজ্যকে কটাক্ষ করেছেন বিরোধী দলনেতা।

প্রসঙ্গত, আজ কলকাতা হাইকোর্টের পক্ষ থেকে সুমন দের বিরুদ্ধে যে পুলিশের তদন্ত করার চেষ্টা হচ্ছে, তাতে স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়। আর এর ফলেই আরও একবার চাপে পড়ে এই রাজ্যের প্রশাসন। স্পষ্ট হয়ে যায় যে, প্রতিহিংসার কারণেই এই রাজ্যের পুলিশ এবং সরকার এই ধরনের কাজ করছে। আর তার পরিপ্রেক্ষিতেই আদালতের এই নির্দেশকে হাতিয়ার করে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি সেখানে লেখেন, “গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভের ওপর পশ্চিমবঙ্গ সরকারের এই আক্রমণ ভোঁতা হয়ে গিয়েছে। কলকাতা হাইকোর্টের এই নির্দেশকে স্বাগত জানাই।” অনেকে বলছেন, যেখানেই প্রতিবাদীরা আক্রান্ত হচ্ছেন, সেখানেই পৌঁছে যাওয়া বিরোধী দলনেতার কাজ। আর সেটাই করছেন শুভেন্দু অধিকারী। ইউটিউবার থেকে শুরু করে প্রতিবাদী সাংবাদিক, যারাই এই সরকারের দ্বারা আক্রান্ত, যাদের কন্ঠরোধ করা হচ্ছে, তাদের পাশে দাঁড়িয়ে শুভেন্দুবাবু প্রমাণ করছেন যে, বিচারব্যবস্থা সবসময় মানুষের পাশে আছে। তাই আদালতের নির্দেশকে হাতিয়ার করে আরও একবার এই সরকারের যে মুখ পুড়েছে, সেটা স্পষ্ট করে দিলেন তিনি।

পর্যবেক্ষকদের মতে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভেবেছিলেন, তার কাছে পুলিশ আছে, সুতরাং সবকিছু আছে। কিন্তু মানুষ যে তার বিরুদ্ধে চলে গিয়েছে, এটা অন্তত এবার মাথায় ঢুকিয়ে নেওয়া উচিত এই রাজ্যের পুলিশ মন্ত্রীর। সব কিছুকে এভাবে কিনে নেওয়া যায় না। আজকে কিছু প্রতিবাদী মানুষ বেঁচে আছে জন্যেই সন্দেশখালির মত জায়গাতেও তৃণমূলের বিরুদ্ধে আওয়াজ উঠছে। আর তাতে সাহস পেয়ে গিয়েছেন রাজ্যের অত্যাচারিত প্রতিবাদী জনসাধারণ। তাই আগামী দিনে গোটা রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় এই সন্দেশখালি ছায়া দেখতে পাওয়া যাবে। স্বাভাবিকভাবেই তাতে ভয় পেয়ে গিয়ে এখন গণতন্ত্রের ওপরেও আঘাত আনতে শুরু করেছে এই রাজ্যের প্রশাসন। তবে সেখানেও তারা যে পরিমাণ প্রত্যাঘাত পেলেন কলকাতা হাইকোর্টের পক্ষ থেকে, তাতে প্রবল উচ্ছসিত এই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!