প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – রাজ্যে হু হু করে বাড়ছে করোনার সংক্রমণ। সম্প্রতি রাজ্যের মোট করোনা সংক্রমণ ৩ লক্ষের গণ্ডি অতিক্রম করেছে। আবার করোনায় মোট মৃত্যুর সংখ্যাও প্রায় ৬ হাজারের কাছাকাছি পৌঁছে গেছে। রাজ্যের রাজনৈতিক মহলে করোনা তার থাবা বিস্তার করেছে। রাজ্যের শাসক দল ও বিরোধী দলের একাধিক নেতাকর্মী করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। গত শুক্রবার রাতে রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষের করোনা আক্রান্ত হবার কথা জানা যায়।

প্রসঙ্গত বেশ কিছুদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। গত সোমবার থেকেই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। জ্বর আসায় একাধিক রাজনৈতিক অনুষ্ঠান বাতিল করেন তিনি। এরপর তিনি করোনা সন্দেহে তাঁর স্যাম্পেল টেস্ট করান। গত শুক্রবার তাঁর রিপোর্ট পজেটিভ আসে। সেদিন রাতেই ধুম্ জ্বরে আক্রান্ত হন তিনি। তাঁকে ভর্তি করা হয় সল্টলেকের আমরি হাসপাতালে।

হাসপাতালে ভর্তির সময় তিনি ১০২° জ্বরে আক্রান্ত ছিলেন। তবে, সে সময় আমরি হাসপাতালের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল যে, রাজ্য সভাপতির শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা পর্যাপ্ত। সেই সঙ্গে তাঁর শরীরে কোন কোমরবিডিটিও নেই। কিন্তু এরপরই তাঁর ফুসফুসে সংক্রমণের কথা জানা যায়।

গতকাল শনিবার হাসপাতালের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, তাঁর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল। জ্বর নেমে গেছে। তাপমাত্রা স্বাভাবিক তাঁর। তবে তাঁর ফুসফুসে সংক্রমণ আছে। তাঁর সিটি স্ক্যান করানো হয়েছিল গতকাল। যার রিপোর্ট এখনো এসে পৌঁছায়নি। তাই করোনা আক্রান্ত হয়ে, তাঁর ফুসফুসের সংক্রমণ কতটা ছড়িয়ে পড়েছে, সে বিষয়ে এখনও চিকিৎসকেরা জানতে পারেন নি। ফলে উদ্বেগে আছেন চিকিৎসকেরা। রিপোর্ট পেলেই তাঁর চিকিৎসার বিষয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ নেবেন হাসপাতালের চিকিৎসকেরা।

ইতিপূর্বে বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়, রাজ্য বিজেপির মহিলা মোর্চার সভানেত্রী অগ্নিমিত্রা পল, বিজেপি নেতা জয় শঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় সহ বেশ কিছু বিজেপির নেতা নেত্রী করোনা সংক্রমিত হয়েছেন। কিছুদিন আগেই রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের নিরাপত্তাকর্মী, গাড়ির চালক করোনা সংক্রমিত হন। এরপরই দিলীপ বাবুর করোনা সংক্রমনের খবর সামনে আসতেই তাঁর শরীর-স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বেগে আছেন বিজেপির সদস্যরা। বিজেপির পক্ষ থেকে সবসময় তাঁর শারীরিক অবস্থার বিষয়ে খোঁজ নেয়া হচ্ছে। তিনি দ্রুত সুস্থ হয়ে ফিরে আসুন রাজনৈতিক অঙ্গনে এটাই সকলের কামনা।