সপাটে থাপ্পর, ফের আদালতের নির্দেশে ঘুম উড়লো মমতার! কটাক্ষ সুকান্তর! তৃণমূল বিজেপি রাজনীতি রাজ্য February 26, 2024 প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- তৃণমূলের পক্ষ থেকে এতদিন এমন ভাব দেখানো হচ্ছিল, যেন আদালত বারণ করে রেখেছে শেখ শাহজাহানকে গ্রেফতার করার ক্ষেত্রে। কিন্তু আদালতের পক্ষ থেকে এরকম কিছুই বলা হয়নি। তৃণমূল একটা মিথ্যে কথা বলে হাওয়া গরম করার চেষ্টা করছিল, যাতে শাহাজাহানকে গ্রেফতার করা না যায়। কিন্তু আজ আদালত যে নির্দেশ দিয়ে দিল, তারপর একটাই প্রশ্ন উঠেছে যে, এবার তৃণমূল কত তাড়াতাড়ি শাহজাহানকে গ্রেফতার করে, সেটাই দেখতে হবে। অনেক তো বড় বড় কথা বলেছিলেন তৃণমূলের যুবরাজ। আজকে আদালতের বক্তব্যের পর তিনি ক্ষমা চাইবেন তো? ক্ষমা চাওয়ার মত মুখ আছে তো তার! তবে কলকাতা হাইকোর্টের পক্ষ থেকে শাহজাহানকে গ্রেপ্তার করার নির্দেশ দেওয়ার পাশাপাশি যে নোটিশ জারি করা হলো, তারপর এটাকে রাজ্য পুলিশের ব্যর্থতা হিসেবেই তুলে ধরা হচ্ছে। আর সেই কথা বলতে গিয়েই এই রাজ্যের দলদাস প্রশাসনকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। প্রসঙ্গত, এদিন এই বিষয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে একটি প্রশ্ন করা হয়। আর সেই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে তিনি বলেন, “আদালত লুক আউট নোটিশ জারি করেছে। মানে পুলিশের ব্যর্থতা। পুলিশ আবার সপাটে থাপ্পড় খেয়েছে। আর আদালতকে কেন গ্রেপ্তার করার নির্দেশ দিতে হবে? পুলিশের তো উচিত, এই শাহাজাহানকে গ্রেপ্তার করা।” একাংশের মতে, আসলে শাহজাহানকে যাতে ধরা না যায়, তার জন্যই এতদিন কানামাছি ভো ভো খেলছিল এই রাজ্যের পুলিশ। সেই কারণেই তো গতকাল যুবরাজ একটা আলটপকা মন্তব্য করে বসেছিলেন যে, আদালত নাকি শাহজাহানকে গার্ড করছে। কিন্তু আজ আদালত যা বলে দিল, তারপর তো বোঝা গেল যে, আদালতের পক্ষ থেকে সেরকম কিছুই এতদিন বলা হয়নি। আসলে একটা নাটকের চেষ্টা করে যাতে শাহজাহানকে ধরা না যায়, সেই রকমই একটা ব্লু প্রিন্ট তৃণমূলের দলদাস পুলিশ তৈরি করে রেখেছিল। কিন্তু এখন তাদের সব চেষ্টা ব্যর্থ হয়ে গেল। হাজার নাটক করার দিন শেষ। এবার সামনাসামনি খেলতে হবে এই রাজ্যের পুলিশকে। এরপরেও যদি তারা শাহজাহানকে গ্রেফতার করতে না পারে, তাহলে বুঝে নিতে হবে যে, এতদিন তারা কি করছিল! পর্যবেক্ষকদের মতে, এই রাজ্যের পুলিশ খুব ভালো মতই জানে যে, শেখ শাহজাহান কোথায় রয়েছে। তাই এখন তৃণমূল নেতারা বলছেন যে, সাত দিনের মধ্যে শাহজাহানকে ধরে দেখিয়ে দেবে রাজ্য পুলিশ। কিন্তু এতদিন তারা ধরেনি কেন? আসলে এই পুলিশের ইচ্ছে ছিল না। এমন পর্যায়ে এদের সাহস পৌঁছে গিয়েছে যে, আদালতকে অপমান করতেও এরা দুবার ভাবছে না। আর সবটাই করা হয়েছে শাহজাহানকে রক্ষা করার জন্য। কিন্তু আজ আদালত যেভাবে মাস্টারস্ট্রোক দিয়েছে, তাতে হয়ত তৃণমূল নেতারাও এটার জন্য প্রস্তুত ছিলেন না। তাই এখন আর কিছু করার নেই। কোনো বিকল্প রাস্তা তাদের কাছে খোলা নেই। যে করেই হোক, রাজ্য পুলিশকে গ্রেফতার করতেই হবে শেখ শাহজাহানকে। তা না হলে আদালতের কাছে পরবর্তী আরও একটি থ্যাতানি খাওয়ার জন্য তৈরি থাকুক নবান্ন। সুকান্ত মজুমদারের বক্তব্যের পর তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা। আপনার মতামত জানান -