এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > মা-বোনেরা উচ্ছন্নে যাক, সন্দেশখালি নিয়ে ডোন্ট কেয়ার রাজ্য? বুঝিয়ে দিলেন অধ্যক্ষ!

মা-বোনেরা উচ্ছন্নে যাক, সন্দেশখালি নিয়ে ডোন্ট কেয়ার রাজ্য? বুঝিয়ে দিলেন অধ্যক্ষ!


 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- এই রাজ্য সরকার সব সময় অপরাধীদের আড়াল করতে চায়। শাহজাহানের ঘটনা এবং সন্দেশখালির মা-বোনেদের বিক্ষোভ বারবার সেই দিকেই ইঙ্গিত করছে। এত কিছুর পরেও রাজ্য পুলিশ গ্রেপ্তার করতে পারছে না শেখ শাহজাহানকে। অথচ এই পুলিশ দিয়ে বারবার বিরোধীদেরকে বিভিন্ন জায়গায় হেনস্থা করা হয়। স্বাভাবিক ভাবে বোঝাই যাচ্ছে যে, যে শাহজাহানের বিরুদ্ধে এত অভিযোগ, তাকে পেছন থেকে আড়াল করতে চাইছে তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব এবং এই রাজ্যের প্রশাসন। কিন্তু মুখে তৃণমূল কংগ্রেস বলছে যে, তারা এই ধরনের ঘটনাকে প্রশ্রয় দেয় না। তবে সত্যিই কি তারা সন্দেশখালি নিয়ে চিন্তিত! নাকি সবটাই নাটক চলছে? তৃণমূল কংগ্রেস এবং এই রাজ্যের প্রশাসন যে সন্দেশখালি নিয়ে বিন্দুমাত্র চিন্তিত নয় এবং এই বিক্ষোভ থেকে শুরু করে মা-বোনেদের হাহাকারকে যে হালকা ভাবেই নিচ্ছে এই রাজ্য, তা স্পষ্ট করে দিলেন রাজ্য বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। তার বক্তব্যের পরে অনেকেই প্রশ্ন করছেন যে, এটা কি একজন অধ্যক্ষের মন্তব্য হতে পারে? কিন্তু কি এমন বললেন রাজ্য বিধানসভার অধ্যক্ষের!

প্রসঙ্গত, এদিন এই বিষয়ে রাজ্য বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়কে সাংবাদিকরা একটি প্রশ্ন করেন। আর সেই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে তিনি এমন একটা মন্তব্য করেন, যাতে মনে হয় যে, সন্দেশখালিতে যেন কিছুই হয়নি। রাজ্য সরকার যেন সবকিছু কন্ট্রোল করে নিয়েছে। কিন্তু কোথায় রাজ্য, কোথায় এই রাজ্যের পুলিশ! এটা তো সকলেই দেখতে পাচ্ছেন। এতদিন ধরে অপরাধীরা সন্দেশখালিতে ঘুরে বেড়ানো সত্ত্বেও, তাদের বিরুদ্ধে প্রচুর অভিযোগ আসা সত্ত্বেও পুলিশ পদক্ষেপ নেয়নি। আর সেই কারণেই আজকে সাধারণ মানুষ রাস্তায় বেরিয়ে পড়েছেন। আর তখন পুলিশের হুঁশ ফিরেছে। কিন্তু এতদিন যদি পুলিশ পদক্ষেপ নিত, তাহলে এই ধরনের ঘটনা ঘটত না।

কিন্তু তারপরেও রাজ্য বিধানসভার অধ্যক্ষ বললেন, “সন্দেশখালিতে যা হয়েছে, তার জন্য প্রশাসন প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিচ্ছে। আমার মনে হয় কিছুদিনের মধ্যেই এই সন্দেশখালির ঘটনা স্থিমিত হয়ে যাবে।” আর এখানেই প্রশ্ন যে, এটাকে কি কোনো রাজনৈতিক ইস্যু পেয়ে গিয়েছেন তৃণমূলের নেতারা? তারা কি ভাবছেন যে, মা-বোনেরা যে হাহাকারের কথা বলছেন, সেটা সবটাই নাটক! আসলে তারা তো ক্ষমতা ধরে রেখেছেন। তাই মাতৃশক্তির কষ্ট, জমি লুটের কষ্ট তারা বুঝবেন কি করে? সেই কারণে তৃণমূল নেতাদের মতই বিধানসভার অধ্যক্ষের মুখ থেকেও একটা জঘন্য মন্তব্য শুনতে হলো রাজ্যবাসীকে বলেই মনে করছেন একাংশ।

পর্যবেক্ষকদের মতে, বিধানসভার অধ্যক্ষ পদটা নিরপেক্ষ। কিন্তু তৃণমূল আমলে সেই পদটাকে দলীয় পদে পরিণত করেছেন বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। বিধানসভার ভেতরে স্পিকারের চেয়ারে বসে তিনি তো নিরপেক্ষতা অবলম্বন করেনইনি। উল্টে তার একের পর এক মন্তব্যের মধ্যে দিয়ে বারবার প্রমাণিত হয়েছে যে, তিনি শুধুমাত্র শাসক দলের অধ্যক্ষ হয়েই থেকে গিয়েছে। আজকে সন্দেশখালিতে এত বড় ঘটনা ঘটে যাওয়ার পরে তৃণমূল নেতাদের মতই মন্তব্য করতে দেখা গেল বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়কে। আসলে তৃণমূল বিধায়ক হওয়ার পর স্পিকারের চেয়ারে বসতে গেলে যে নিরপেক্ষতা অবলম্বন করতে হয়, সেটা হয়ত বিমানবাবু ভুলে গিয়েছেন। তাই চোখ কান সবকিছু বন্ধ করে সন্দেশখালির ঘটনাকে হালকা হিসেবেই প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা করলেন বিধানসভার স্পিকার। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!