প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- পাকিস্তান যে ভারতকে সমস্যায় ফেলতে নানাভাবে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে, সে কথার প্রমাণ পাওয়া গেছে বহুবার। তবে সেই সঙ্গে আন্তর্জাতিক গোষ্ঠীর সঙ্গে হাত মিলিয়ে বাংলাদেশের ওপর নতুন করে সমস্যা তৈরি করার দিক থেকেও যে পাকিস্তান পিছিয়ে নেই সেই কথা সম্প্রতি সামনে এসেছে। এ বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে সম্প্রতি ১৯৯১ সালের নির্বাচনের আগে পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থার পক্ষ থেকে বিএনপিকে ৫ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছিল। যা কিনা পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থার প্রাক্তন প্রধান আদালতে জবানবন্দিতে বলেছেন বলে জানা যায়। তারা বাংলাদেশকে অস্থির করার জন্য যে এখনও নানা ষড়যন্ত্র করছে সে খবরও সামনে এসেছে।

শুক্রবার বন্দরনগর চট্টগ্রামে এক অনুষ্ঠানে তথ্যমন্ত্রীর বলা কথার পরিপ্রেক্ষিতেই নতুন করে জল্পনা শুরু হয়েছে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, আগেও খন্দকার মোশতাক ও জেনারেল জিয়াউর রহমান পাকিস্তান ও কিছু আন্তর্জাতিক গোষ্ঠির সঙ্গে যোগসাজস করে যে জাতিরজনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানকে হঠিয়ে ক্ষমতা দখল করেছিলেন, সে কথা সকলের জানা। এবার সেই একই পথে বিএনপি ও জামাতে ইসলামি যে হাঁটতে চলেছে সেই কথা পরিষ্কার হয়ে গেছে আবার।

অন্যদিকে, বিদেশে বসে বিএনপির ষড়যন্ত্রের একই অভিযোগের কথা বলতে শোনা গেছে আওয়ামি লিগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রীকে। তাঁর কথাতেও উঠে এসেছে বর্তমান পরিস্থিতির কথা। তাঁর কথায় করোনা মহামারীর সময় বিএনপি-জামাত জনগণের পাশে না দাঁড়িয়ে অবৈধ ভাবে ক্ষমতায় আসার জন্য ফন্দি এঁটে বেড়াচ্ছে। আর যৌথভাবে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখলের সেই ষড়যন্ত্রেরই তথ্য গোয়েন্দা সংস্থা ফাঁস করেছে বলে জানা গেছে। অন্যদিকে বিএনপি সম্পর্কে আরো শোনা যায় যে, সমস্যা তৈরি করাই বিএনপির রাজনৈতিক দর্শন। বিএনপির নেতারা বিদেশে বসে একদিকে যেখানে বাংলাদেশ সরকার পতনের জন্য ষড়যন্ত্র করেন, আবার সেখানেই দেশে নির্বাচনে অংশগ্রহণের কথা বলেন। এটা তাঁদের রাজনীতির অংশ।

জানা যায়, বিএনপি নাকি বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা ও আওয়ামি লিগের রাজনৈতিকভাবে মোকাবেলা করতে ব্যর্থ হয়ে ক্রমাগতভাবে ষড়যন্ত্রের পথ বেছে নিয়েছে বলেই তথ্য সূত্রে খবর পাওয়া গেছে। পাকিস্তনি গোয়েন্দা ও গোয়েন্দা সংস্থার সাথে বিএনপির যে দহরম-মহরম সেটা বহু পুরনো ব্যাপার। তবে সেই যোগসাজশ যে আবার শুরু হয়েছে, তার প্রমাণ স্বরূপ উঠে এসেছে পাকিস্তানি গোয়েন্দাদের সাথে মধ্যপ্রাচ্যের বৈঠক। সৌদি আরবের জেদ্দায় বিএনপি-জামাত পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই’র সঙ্গে গোপন বৈঠক করছে বলে জানা গেছে। আর এখানেই প্রশ্ন উঠেছে যে, করোনা ভাইরাসে সারা বিশ্বের মানুষ যখন শঙ্কিত-উদ্বিগ্ন হয়ে আছে, সেই সময়ে বিএনপি জনগণের পাশে না দাঁড়িয়ে দেশে-বিদেশে ষড়যন্ত্রের বৈঠক করে বেড়াচ্ছে। এর থেকে নিন্দনীয় কিছু হতে পারে না।