এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > বিদ্যাসাগরের জন্মদিনে মূর্তিভাঙা প্রসঙ্গ ফিরিয়ে বিধানসভার আগে বিজেপির অস্বস্তি বাড়ালেন মমতা

বিদ্যাসাগরের জন্মদিনে মূর্তিভাঙা প্রসঙ্গ ফিরিয়ে বিধানসভার আগে বিজেপির অস্বস্তি বাড়ালেন মমতা


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – গতকাল বিদ্যাসাগরের জন্মদিন উপলক্ষে কলকাতায় বিদ্যাসাগরের বসতবাড়িতে তাঁর দ্বিশত জন্মবার্ষিকীর অনুষ্ঠান পালিত হল রাজ্য শিক্ষা দপ্তরের ব্যবস্থাপনায়। গতকাল বিদ্যাসাগরের দ্বিশত জন্মবার্ষিকীর এই সরকারি সমাপ্তি অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা সচিব মনিশ জৈন। অনুষ্ঠানের সঞ্চালনা করেন অধ্যাপক অভীক মজুমদার। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সব্যসাচী বসু রায়চৌধুরী সহ রাজ্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন উপাচার্য। সেইসঙ্গে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ, উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ, প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন। এই অনুষ্ঠানের শুরুতে টেলিফোনে প্রারম্ভিক ভাষণ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

অন্যদিকে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার বীরসিংহ গ্রামে বিদ্যাসাগরের দ্বিশত জন্মবার্ষিকীর সমাপ্তি অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হলো। গত এক বছর ধরে চলা বিদ্যাসাগরের দ্বিশত জন্মবার্ষিকী উদযাপন অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হলো। এই সমাপ্তি অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যের ইংরেজি মাধ্যম স্কুল গুলিকে বাংলার মনীষীদের জীবনী ও কর্ম ও সমাজে তাঁদের অবদানের কথা গ্রন্থাকারে প্রকাশ করার নির্দেশ দিলেন। প্রসঙ্গত ‘আমাদের বিদ্যাসাগর’ নামে একটি বই ইতিমধ্যেই রাজ্য স্কুল শিক্ষা দপ্তর প্রকাশ করেছে। শিক্ষামন্ত্রী জানালেন এই বইটি ইংরেজি মাধ্যমের স্কুলের শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে পৌঁছে দেবার দায়িত্ব নেবে রাজ্য সরকার। বিদ্যাসাগরের নামে সাইন্স অলিম্পিয়াড শুরু হতে চলেছে এ বছর থেকেই। নবম ও দশম শ্রেণীর মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীরা ১০০০ টাকা করে বৃত্তি পাবে এই প্রকল্পে। আবার বর্ণপরিচয় এর প্রথম ও দ্বিতীয় ভাগ প্রত্যেকটি স্কুলে বিলি করা হলো বিনামূল্যে।

গতকাল বিদ্যাসাগরের বসতবাড়িতে তার দ্বিশত জন্মবার্ষিকী অনুষ্ঠানে সরাসরি নাম নিয়েও মুখ্যমন্ত্রী কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে সমালোচনা করলেন। কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্য সরকারের উপর বলপূর্বক কিছু নীতি চাপিয়ে দিয়েছে দিয়েছে বলে তিনি অভিযোগ করলেন। গতকাল বাংলার সমাজে ও সংস্কৃতিতে বিদ্যাসাগরের অবদান স্মরণ করার সঙ্গে সঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারের চাপিয়ে দেয়া বিভিন্ন নীতি-নিয়ম নিয়ে অভিযোগ জানালেন মুখ্যমন্ত্রী। এ প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী জানালেন, ” ইতিহাস ভুলিয়ে দেওয়া হচ্ছে। আমাদের এর বিরুদ্ধে জাগ্রত থাকতে হবে। বেশ কিছু ইংরেজি মাধ্যম স্কুল আছে যেখানে মনীষীদের জীবনী তুলে ধরা হচ্ছে না। তা তুলে ধরতে হবে।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সঙ্গে গতকাল শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ও সরাসরি নাম না করে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে একাধিক বক্তব্য প্রকাশ করলেন। যেখানে তিনি বললেন, ” এরা শুধু মূর্তি ভাঙছে না। বাংলার সংস্কৃতি, মর্যাদা, ঐতিহ্য এবং অহংকারকে দুরমুশ করছে। ধর্মান্ধতায় এমন কিছু সিদ্ধান্ত নিচ্ছে যাতে বাংলার সংস্কৃতি মুছে ফেলা যায়। রামমোহন, বিদ্যাসাগর, রবীন্দ্রনাথ, বঙ্কিম, নজরুলকে ভুলিয়ে দিতে চাইছে। এই মুছে দেওয়ার চেষ্টার বিরুদ্ধে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কন্ঠ মেলাতে হবে।”

এরপরই দেশের স্বাধীনতা আন্দোলনে বাংলা ও বাঙালির সংগ্রামের ইতিহাস স্মরণ করিয়ে দিয়ে শিক্ষামন্ত্রীকে বলতে শোনা গেল, ” নতুন করে ইতিহাস লেখার চেষ্টা হচ্ছে। বাংলাকে দাবিয়ে রাখা যায়নি। যাবেও না। শুধু রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে দেখে বাংলাকে বাঁচানো যাবেনা। বাংলাকে বাঁচাতে হলে আমাদের একত্রিত হতে হবে। বিদ্যাসাগরের জন্মদিনে সেটাই আমাদের অঙ্গীকার এবং প্রতিজ্ঞা।”

গতকাল মুখ্যমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রীর পাশাপাশি বহু বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে সমালোচনা করলেন। সাহিত্যিক আবুল বাশার ও অধ্যাপক সুরঞ্জন দাস রাজ্যের উপরে বলপূর্বক কেন্দ্রীয় সরকারের চাপিয়ে দেওয়া নীতির বিরুদ্ধে সমালোচনা করলেন। এরপর সাহিত্যিক শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় ও শিল্পী শুভাপ্রসন্ন বিদ্যাসাগরের অবদান বিষয়ে সংক্ষেপে বক্তব্য প্রকাশ করলেন। গতকাল বিদ্যাসাগরের জন্মদিন উপলক্ষে টুইট করেও কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে সমালোচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে তিনি গতবছরে বহিরাগতদের হাতে বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙার প্রসঙ্গ উত্থাপন করেন।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!