মমতার গ্যাস বেলুনের হাওয়া শেষ! সুকান্তর চ্যালেঞ্জ অ্যাকসেপ্ট করুন, সোচ্চার বিজেপি! তৃণমূল বিজেপি রাজনীতি রাজ্য November 24, 2023 প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-তিনি নাকি সততার প্রতীক! অথচ এই সততার প্রতীকের নামাবলী গায়ে নিয়ে গোটা রাজ্যে যে চুরির রাজত্ব তৈরি করেছেন মুখ্যমন্ত্রী, তাতে অতিষ্ঠ সাধারন মানুষ। বিরোধীদের বক্তব্য এমনটাই। কিন্তু কথায় আছে, চোরের মায়ের বড় গলা। তাই চুরি করে তার দলের মন্ত্রীরা যখন জেলে যাচ্ছেন, তখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দায় চাপাচ্ছেন বিরোধীদের ওপর। তিনি আবার হুঁশিয়ারি দিচ্ছেন যে, এবার নাকি তার দলের কাউকে গ্রেফতার করলে, তিনি পাল্টা বিরোধীদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেবেন। তবে সেই সমস্ত অভিযোগ কোথা থেকে জোগাড় করবেন মুখ্যমন্ত্রী? যদি বিরোধীদের কেউ কোনো দুর্নীতির সঙ্গে জড়িতই না থাকেন! তার ক্ষমতা আছে তো এই রাজ্যের বিজেপির যিনি সভাপতি, সেই সুকান্তবাবুর বিরুদ্ধে কেস করে পদক্ষেপ নেওয়ার? এদিন বিধানসভার বাইরে সাংবাদিক বৈঠকে বিজেপির রাজ্য সভাপতি যে কথা বললেন, তাতে চরম ফাঁপরে পড়ে গেলেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান। প্রসঙ্গত, এদিন বিজেপির রাজ্য সভাপতিকে এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হয়। আর সেই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে তিনি বলেন, “যদি মুখ্যমন্ত্রীর দম থাকে, তাহলে আমাকে অ্যারেস্ট করে দেখান। আমার বিরুদ্ধে কেস করে দেখান। আমি বা আমার পরিবার, বাবা-মা, আমার সাথে যারা থাকেন, তাদের সম্পত্তি বেড়েছে, এরকম কোনো প্রমাণ দেখান। শুরুটা বিজেপির রাজ্য সভাপতিকে দিয়ে করুন। তাহলেই বুঝব, ওনার কত ক্ষমতা।” অর্থাৎ সুকান্তবাবু একটা জিনিস স্পষ্ট করে দিলেন যে, তিনি আর যাই হোক, দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত নন। মুখ্যমন্ত্রী অনেক বড় বড় কথা বলতে পারেন, সততার প্রতীকের লেখা নিজের ছবির নিচে লাগিয়ে নিজের সততার প্রমাণ দিতে পারেন। কিন্তু বাস্তবে যে তিনি এবং তার দলের নেতারা চুরি, দুর্নীতিতে হাত পাকিয়ে ফেলেছেন, এটা রাজ্যের মানুষ জানে। তাই বিরোধীদের দিকে আঙুল তোলার আগে তিনি নিজের পরিবার এবং নিজের দলের দিকে নজর দিন। তাহলেই রাজ্যের মানুষ পরিত্রাণ পাবে বলেই দাবি সমালোচকদের। বিজেপির দাবি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তো একটু সুযোগ পেলে ছাড়েন না। তাহলে সুকান্ত মজুমদার তো বলে দিলেন যে, দুর্নীতির ঘটনায় আপনি তো গ্রেপ্তার করবেন, তাহলে গ্রেপ্তার করুন বিজেপির রাজ্য সভাপতিকে। ক্ষমতা আছে তো এই কাজ করার? কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তার দলের নেতারা যে দুর্নীতির জড়িত, এই খবর বিজেপির কাছেও আছে। আর সেই কারণেই আজকে মন্ত্রীরা জেলে যাচ্ছেন। কিন্তু তারপরেও লজ্জা নেই মুখ্যমন্ত্রীর। তিনি আবার নিজেদের চুরি ঢাকতে বিজেপির ঘাড়ে দায় চাপাচ্ছেন। তাই চুরি করে এত বড় বড় কথা আর যাই হোক, মুখ্যমন্ত্রীর কাছে শোভা পায় না বলেই দাবি গেরুয়া শিবিরের। পর্যবেক্ষকদের মতে, বিজেপির রাজ্য সভাপতি একদম মোক্ষম জবাব দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রীকে। তার কাছে পুলিশ আছে, প্রশাসন আছে, ক্ষমতার অপব্যবহার করতে মুখ্যমন্ত্রীর জুড়ি মেলা ভার, এটা সকলেই জানেন। তাই এতই যখন পুলিশ তার কাছে আছে, তখন তিনি গ্রেপ্তার করুন বিজেপির রাজ্য সভাপতিকে! চুরি করে তার নেতারা জেলে থাকবে, আর সৎ ব্যক্তিদের তিনি গ্রেপ্তার করবেন, যারা দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বলবে তাদের তিনি হাতকড়া পড়াবেন, এটা কোন ধরনের আইন? এ কোন আইনের শাসন বাংলায় প্রতিষ্ঠা করতে চাইছেন! মুখ্যমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার যে চ্যালেঞ্জ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দিলেন, তাতে তার এখন ফাপড়ে পড়ার মত অবস্থা। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা। আপনার মতামত জানান -