প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – রাজ্য রাজনীতিতে নির্বাচনের সময় যত এগিয়ে আসছে, ততই শাসক-বিরোধী তরজা পারদ বাড়তে শুরু করেছে। একে অপরের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক আক্রমণ করতে গিয়ে কখনও কখনও ব্যক্তিগত আক্রমণ পর্যন্ত করতে শুরু করেছেন। আর এই পরিস্থিতিতে এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামের অর্থ তুলে ধরে তার শরীরে বিন্দুমাত্র দয়া নেই বলে তাকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি তথা সাংসদ দিলীপ ঘোষ।

যেখানে রাজ্যের আইন শৃংখলার কথা তুলে ধরে তৃণমূল সরকারকে কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে দেখা গেল বঙ্গ বিজেপির সভাপতিকে। বর্তমানে রাজ্যের গণতন্ত্র বিপন্ন, সেই বিষয়টি তুলে ধরে সবথেকে বেশি তৃণমূলকে আক্রমণ করতে দেখা যাচ্ছে বিজেপিকে। প্রতিটি সভা থেকেই বিজেপি নেতারা তৃণমূলের বিরুদ্ধে আইন শৃঙ্খলার অবনতি সহ একাধিক বিষয়ে সরব হতে শুরু করেছেন। আর এবার সরাসরি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামের অর্থ তুলে ধরে তাকে আক্রমণ করে রীতিমত শোরগোল তুলে দিলেন দিলীপ ঘোষ।

জানা যায়, শুক্রবার উত্তর 24 পরগনা জেলার সোদপুরের নাটাগড়ের চা চক্রে যোগ দেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। আর সেখানেই বিভিন্ন বিষয়ে তৃণমূল সরকারকে আক্রমণ করেন তিনি। আর তারপরেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামের অর্থ তুলে ধরে তাকে আক্রমণ করতে দেখা যায় মেদিনীপুরের বিজেপি সাংসদকে।

দিলীপ ঘোষ বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে বাংলার সুশাসন প্রতিষ্ঠিত হতে পারে না। নামে মমতা, তবে তার বঙ্গবাসীর জন্য কোনো মায়া, মমতা নেই। বাংলার এত মানুষ মারা যায়, খুন হন, আইন শৃংখলার অবনতি। কোনোদিন ওনাকে ক্ষমা চাইতে দেখেছেন! যার মধ্যে দয়া মায়া নেই, তার হাত দিয়ে সুশাসন প্রতিষ্ঠা পেতে পারে না।”

অর্থাৎ দিলীপ ঘোষ এই বক্তব্যের মধ্য দিয়ে বঙ্গবাসী তথা বিজেপি কর্মীদের আবেগকে বৃদ্ধি করার চেষ্টা করলেন। তিনি বুঝিয়ে দিতে চাইলেন যে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তার সরকারের আমলে রাজ্যের আইন শৃংখলার যথেষ্ট অবনতি রয়েছে। একাংশ বলছেন, বিজেপির পক্ষ থেকে প্রতিটি সভায় দাবি করা হয়, তাদের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা করছে তৃণমূল কংগ্রেস। এমনকি তাদের অনেক নেতাকর্মীকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেওয়া হয়েছে বলেও শাসকদলের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলে ভারতীয় জনতা পার্টি।

তবে এত কর্মীর মৃত্যু হলেও পুলিশ প্রশাসন যে সেই ব্যাপারে নীরব, এই অভিযোগ বারবার তুলতে দেখা গেছে গেরুয়া শিবিরের নেতাদের। আর এই পরিস্থিতিতে রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধানের উচিত যে, সকল দলের প্রতি রাজধর্ম পালন করা এবং সেই কাজটি যে তিনি কোনোমতেই করছেন না, তা নিজের বক্তব্যের মধ্য দিয়ে বুঝিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলেন দিলীপ ঘোষ। অর্থাৎ বিজেপির রাজ্য সভাপতি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম তুলে ধরে তার কাজের মধ্যে দিয়ে প্রমাণ হয়ে যাচ্ছে তার কোনো মায়া মমতা নেই বলে দাবী করার চেষ্টা করলেন। যা নির্বাচনের আগে তৃণমূল দল এবং প্রশাসনকে চাপে ফেলবে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।