তৃণমূলকে ঠেকাতে ফের তিন দলীয় মহাজোট বিশেষ খবর রাজ্য December 28, 2017 বর্তমানে রাজ্য-রাজনীতিতে প্রাপ্ত ভোট এবং আসন সংখ্যার নিরিখে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের বিরোধিতা করতে গেলে তিন প্রধান বিরোধী দল বিজেপি, বামফ্রন্ট ও কংগ্রেসকে এক ছাতার তলায় আসতেই হবে তার প্রমান বারবার দিয়ে যাচ্ছে বেলডাঙা পুরসভা। কিছুদিন আগেই পুরসভার একটি মিটিংকে ঘিরে তপ্ত হয়ে ওঠে স্থানীয় রাজনীতি এবং তৃণমূলের তথা পুরসভার চেয়ারম্যান ভরত ঝাওরের ‘দুর্নীতির’ বিরুদ্ধে বেলডাঙার মানুষের ‘স্বার্থে’ সেদিন তিন বিরোধী দলই ঘোষণা করে এবার এক হয়ে লড়বেন। সেটা যে কথার কথা ছিল না আবারো প্রমান করলেন বিরোধীরা। গত মঙ্গলবার পূর্ব নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বোর্ড মিটিং না হওয়ায় এবং পুরসভার চেয়ারম্যান ভরত ঝাওরের ক্রমাগত হয়রানি করার অভিযোগ তুলে তিনদলের কাউন্সিলারা মহাজোট বেঁধে পুরসভা থেকে ওয়াক আউট করেন। তাঁদের অভিযোগ দুপুর আড়াইটাতে মিটিং ডেকে বিকেল ৪ টেতেও চেয়ারম্যান নিজেই পুরসভায় গরহাজির ছিলেন। বিরোধীদের অভিযোগ ইটা শুধু প্রথমবার নয়, এইভাবেই সাধারণ মানুষের পরিষেবা ব্যাহত করে দিনের পর দিন চেয়ারম্যান তাঁর মর্জিমাফিক ও একতরফাভাবে পুরসভা চালানোর চেষ্টা করছেন। আর তাই বেলডাঙা পুরসভার ‘স্বার্থ’ রক্ষার্থে কংগ্রেসের দুজন, বিজেপির তিনজন এবং সিপিএমের একজন কাউন্সিলার এক হয়ে এই শাসকবিরোধী বৃহত্তর মহাজোট করার কথা জানান। আগামীদিনে এই বৃহত্তর মহাজোটই এক হয়ে বৃহত্তর বিরোধিতার পথে চলবে বলেও কাউন্সিলরদের তরফে জানা গেছে। তাঁরা আরও জানিয়েছেন, শহরবাসীর স্বার্থে ও চেয়ারম্যানের একনায়কতন্ত্র দূর করতেই একসঙ্গে আন্দোলন করা হচ্ছে ও ভবিষ্যতে হবে। যদিও বেলডাঙা পুরসভার চেয়ারম্যান ভরত ঝাওর বিরোধীদের সব দাবি উড়িয়ে দিয়ে বলেছেন, উন্নয়নে বাধা দিতেই বিরোধীরা মহাজোট করেছে। বেলডাঙার নাগরিকরা ওদের পাশে নেই। তবে, দমকল কেন্দ্র স্থাপন নিয়ে জরুরি প্রশাসনিক মিটিং সেরে পুরসভায় আসতে দেরি হয়েছে। তাই বোর্ড মিটিং করা হয়নি। তিনি আরও বলেন, প্রশাসনিক মিটিং সেরে যখন পুরসভায় আসি, তখন মিটিং করার মতো সদস্য সংখ্যা পুরসভায় ছিল। তবু আমরা মিটিং করিনি। কারণ আমি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সৈনিক। বিরোধীদের মর্যাদা দিতে শিখিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাই মিটিং করিনি। অথচ, রাজনীতি করার উদ্দেশ্যে নীতি, আদর্শ বিসর্জন দিয়ে কংগ্রেস, বিজেপি ও সিপিএম এখানে মহাজোট গড়েছে। আপনার মতামত জানান -