গভীর সঙ্কটে দেশ? দুঃস্বপ্নের দিন আরও আসা বাকি? আশঙ্কা বাড়াচ্ছেন খোদ মোদী ঘনিষ্ঠ শীর্ষকর্তা জাতীয় বিশেষ খবর May 23, 2020 করোনা ভাইরাসকে আটকাতে অনেকদিন হয়ে গেল দেশের বিভিন্ন ক্ষেত্র বন্ধ রয়েছে। লকডাউন ঘোষণা করায় অর্থনৈতিক মেরুদণ্ড ভেঙে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। বর্তমানে চতুর্থ দফার লকডাউন চলছে গোটা ভারতবর্ষে। অর্থনৈতিক পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে এই চতুর্থ দফার লকডাউনে বেশ কিছু ক্ষেত্র খুলে দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে সরকার। কিন্তু তারপরেও দীর্ঘদিন ধরে বাজার বন্ধ থাকায় আদৌ কিভাবে এক লহমায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাবে, তা নিয়ে চিন্তায় রয়েছেন অর্থনীতিবিদরা। তবে সেই চিন্তা কমাতে চতুর্থ দফার লকডাউন ঘোষণার আগেই কুড়ি লক্ষ কোটি টাকার আর্থিক প্যাকেজের ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। যার পরেই একাংশ মনে করেছিল, এবার হয়ত ধীরে ধীরে ভারতের অর্থনৈতিক চাকা ইতিবাচক দিকে ঘুরতে শুরু করবে। তবে বিরোধীরা প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণায় তেমনভাবে কোনো আশা দেখতে পাননি। প্রথম থেকেই তারা এটাকে চমক বলে দাবি করে এসেছে। আর এবার প্রধানমন্ত্রী কুড়ি লক্ষ কোটি টাকার আর্থিক প্যাকেজ ঘোষণা করলেও, তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করলেন খোদ রিজার্ভ ব্যাংকের গভর্নর শক্তিকান্ত দাস। সূত্রের খবর, এদিন রিজার্ভ ব্যাংকের মনিটারি পলিসি কমিটির বৈঠকের পর ধুকতে বসা অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে একগুচ্ছ প্যাকেজের কথা ঘোষণা করেন শক্তিকান্ত দাস। আর তার পরেই তিনি বলেন, “চলতি আর্থিক বছরের শেষে জিডিপি বৃদ্ধির হার হতে চলেছে নেগেটিভ। অর্থাৎ শূন্যের নিচে যা গভীর সংকটেরই বার্তা।” পাশাপাশি রিজার্ভ ব্যাংকের পক্ষ থেকে এটাও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে, এখনই মুদ্রাস্ফীতির হার কমার কোনো সম্ভাবনা নেই। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - আর এর ফলে একাংশ মনে করছে যে, দেশের সর্বোচ্চ রিজার্ভ ব্যাংক এই বার্তা দিয়ে কার্যত বুঝিয়ে দিল যে, প্রধানমন্ত্রী কুড়ি লক্ষ কোটি টাকার আর্থিক প্যাকেজ ঘোষণা করে দেশের অর্থনীতিকে সচল করতে চাইলেও, এখনই এর কোনো সুফল সারা দেশে আসবে না। জানা গেছে, এদিন রিজার্ভ ব্যাংকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ব্যাংক ও আর্থিক সংস্থা থেকে গ্রহণ করা ঋণ পরিশোধের মাসিক কিস্তি আরও তিন মাস পর্যন্ত ঋণ গ্রহীতারা স্থগিত রাখতে পারে। অর্থাৎ আগামী 31 আগস্ট পর্যন্ত লোন পরিশোধ স্থগিত রাখা যাবে। এদিন এই প্রসঙ্গে রিজার্ভ ব্যাংকের গভর্নর শক্তিকান্ত দাস বলেন, “বকেয়া সুদ লোন গ্রাহকদের উপর এক ধাক্কায় চাপানো চলবে না। আগামী 31 মার্চ পর্যন্ত ধাপে ধাপে তা আদায় করবে ব্যাংক।” বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এমনিতেই লকডাউনের কারনে দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি গভীর সংকট জনক অবস্থায় রয়েছে। কিভাবে এই পরিস্থিতি থেকে বের হওয়া যাবে, তা নিয়ে চিন্তায় প্রত্যেকে। তাই এই পরিস্থিতিতে মানুষকে কিছুটা দিশা দেখাতে এবং দেশের উন্নতি সাধনের জন্য কুড়ি লক্ষ কোটি টাকার আর্থিক প্যাকেজের ঘোষণা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। যাতে আশার আলো দেখতে পেয়েছিলেন অনেকেই। কিন্তু এবার যেভাবে এই আর্থিক প্যাকেজ ঘোষণা সত্ত্বেও, রিজার্ভ ব্যাংকের গভর্নর আশঙ্কার কথা শোনালেন, তাতে আদৌ সুদিন আসবে কিনা, তা নিয়ে চিন্তায় রয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। অর্থাৎ করোনা আবহে এবং লকডাউনের জেরে ক্রমশই গভীর অর্থনৈতিক সঙ্কটের দিকে এগোচ্ছে দেশ। সবকিছুই প্রায় বন্ধ থাকায় একদিকে কমেছে আয়, অন্যদিকে করোনা মোকাবিলায় লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়েছে ব্যয়! আর তাই আগামী দিন কার্যত দুঃস্বপ্নের হতে চলেছে বলে জানিয়ে দিলেন স্বয়ং আরবিআই গভর্নর। এখন শেষ পর্যন্ত গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, তার দিকেই নজর থাকবে অর্থনীতিবিদদের। আপনার মতামত জানান -