এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > মোদী মমতার সভা মাতালো ঘূর্ণিঝড় ফনী – তোপ পাল্টা তোপে জমজমাট বাংলার রাজনীতি

মোদী মমতার সভা মাতালো ঘূর্ণিঝড় ফনী – তোপ পাল্টা তোপে জমজমাট বাংলার রাজনীতি

ঘূর্ণিঝড় ফনী নিয়ে জোর তরজা শুরু হয়েছে রাজ্যে -কেন্দ্রে। ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন অনেক মানুষ। আর এই নিয়েই এবার জোর তরজা শুরু তৃণমূল বিজেপিতে। এদিন ঝাড়গ্রামে মোদী মমতার সভায় এই বিষয়েই দোষারোপ পাল্টা দোষারোপ চললো। ঘূর্ণিঝড়ে বাংলায় কেমন ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা জানতে প্রধানমন্ত্রীর তরফ থেকে রাজ্যপালকে ফোন করে জানতে চাওয়া হয় আর তার পরে রাজ্যপাল ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করে এসে রিপোর্ট পেশ করেন। সেই নিয়ে রাজ্যে শোরগোল পরে যায় রাজ্য জুড়ে। তৃণমূলের তরফ থেকে দাবি তোলা হয় যে কেন্দ্র রাজ্যকেও নিজেদের প্রতিনিধির মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করতে চাইছে। তারা প্রশ্ন তোলে মুখ্যমন্ত্রী থাকতে কেন রাজ্যপালকে ফোন করা হলো।

এই নিয়ে বিজেপির তরফ থেকে জানানো হয় যে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে মুখ্যমন্ত্রীকে ফোন করা হলেও তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। বার বার মুখমন্ত্রীর দপ্তর থেকে বলা হয়েছে মুখ্যমন্ত্রী এখন ব্যাস্ত রয়েছে সময় মতো তিনি ফোন করবেন। কিন্তু আর যোগাযোগ করা হয়নি মুখ্যমন্ত্রীর তরফ থেকে। এর পরেও আরো ২-৩ বার ফোন করা হয় প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে। কিন্তু যোগাযোগ না হওয়ায় বাধ্য হয়ে রাজ্যপালকে ফোন করা হয়।

এই নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বা রাজ্য সরকার বা তৃণমূলের তরফ থেকে কোনো সরকারি পতিক্রিয়া পাওয়া না গেলেও এদিন মুখ্যমন্ত্রীকে তোপ দেগে মোদী তাঁর সভা থেকে দাবি করেন যে, দিদিকে ফোন করা স্বত্বেও তিনি ফোন তোলেন নি পাশাপাশি ঘূর্ণিঝড়ে রাজ্যের খাতির পরিমান নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সাথে অন্যরাজ্য তথা উড়িষ্যা সমেত ক্ষতিগ্রস্ত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও প্রতিনিধিদের সাথে বৈঠক হয় এদিন। কোন রাজ্য কতটা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে সেই অনুযায়ী রিপোর্ট নিয়ে ক্ষতিপূরণ দেবে কেন্দ্র। কিন্তু এদিনের বৈঠকে আমন্ত্রণ জানানো স্বত্তেও রাজ্যের তরফ থেকে নির্বাচনে ব্যাস্ত থাকার অজুহাত দেখিয়ে বৈঠকে অনুপস্থিত ছিল রাজ্য।

যা নিয়েও এদিন তোপ দাগতে দেখা যায় প্রধানমন্ত্রীকে তিনি বলেন, রাজ্যের ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের নিয়ে কোনো চিন্তা নেই দিদির। তাঁর চিন্তা শুধু ভোট নিয়ে। তাই মানুষের পশে দাঁড়ালেন না বৈঠকে যোগ না দিয়ে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন সেই নিয়েও পাল্টা মুখমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীর উদেশ্যে তোপ দেগে বলেন যে, “আমরা কি চাকরণব্যাকর নাকি যে যেখানে খুশি ডেকে পাঠাবে আর আমাদের যেতে হবে.ইটা যদি শুধু প্রশাসনিক বৈঠক হতো তাহলে যেতাম,কিন্তু মোদী ওখানে সভা করতে এসে প্রশাসনিক মিটিং ডেকেছে তাই ওখানে কেন যাবো ” তাছাড়া এদিন তিনি আরো দাবি করেন যে “তাঁকে এড়িয়ে রাজ্যের মুখ্য সচিবের সঙ্গে আলোচনা করতে চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।রাজ্যকে সাহায্যের বিষয় কেন মুখ্য সচিবকে জানাবেন প্রধানমন্ত্রী। ”

এদিন তিনি আরো অভিযোগ করেন যে, আগের বন্যার পর প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেছিলেন, কিন্তু একটা পয়সাও কেন্দ্র সাহায্য করেনি। মোদীকে খোঁচা দিয়ে মমতা বলেন, আগে বাংলায় বন্যার সময় কোথায় ছিলেন তিনি? মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, ফণীতে বাংলায় যা ক্ষতি হয়েছে তা রাজ্য সরকার সামলে নিতে পারবে। মোদী সাহায্যের নাম করে ছবি তুলে নাটক করবেন বলে প্রধানমন্ত্রীকে তীব্র কটাক্ষ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মোদীকে নিশানা করে মমতার পাল্টা কটাক্ষ, ওনার এক্সপেয়ারি ডেট পেরিয়ে গেছে। ওনার কাছ থেকে টাকা নেব কেন?

আর এদিনের এই টার্যায় বেশ জমজমাট ভোটার প্রচার। কিন্তু কার কত জনগণ বিশ্বাস করলো তা বজায় যাবে ২৩ সে মে ভোটের বাক্স খোলার পর।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!