এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > গতকাল তৃণমূল বিধায়ককে ফোন করে সাবধান করেছিলেন মুকুল রায়, ফাঁস করলেন বিধায়ক নিজেই

গতকাল তৃণমূল বিধায়ককে ফোন করে সাবধান করেছিলেন মুকুল রায়, ফাঁস করলেন বিধায়ক নিজেই


গতকাল পঞ্চম দফার ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। আর সেই পঞ্চম দফার মধ্যে ছিল বারাকপুর লোকসভা কেন্দ্র। যার দিকে চোখ ছিল গোটা রাজ্যের।আর এদিন নিজের ছেলেকে তথা বীজপুরের বিধায়ক শুভ্রাংশু রায়কে ফোন করে সাবধান করে দেন মুকুল রায়। এইদিন তিনি ঝামেলার আশঙ্কা থেকে গতকাল ছেলে শুভ্রাংশু রায়কে ফোন করেছিলেন বলে জানিয়েছেন খোদ বিজ্পুরের বিধায়ক।

কেননা সেখানে অনেকগুলি ফ্যাক্টর কাজ করেছে। যা দিকে অশান্তির চূড়ান্ত হবে সম্ভাবনা ও ছিল। কেননা এই কেন্দ্রে জোর যুদ্ধ দুই হেভিওয়েট প্রার্থীর একদিকে রয়েছেন – তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়া তৃণমূলের অন্যতম ভোট ম্যানেজার তথা এবারের বিজেপি প্রার্থী অর্জুন সিং। আর অন্যদিকে রয়েছেন তৃণমূলের হেভিওয়েট দীনেশ ত্রিবেদী।

আর এবারের লোকসভা কেন্দ্র দুই দলের কাছে প্রেস্টিজ ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছে। কেননা অর্জুন সিং বরাবর তাঁর পুরোনো দল তৃণমূলের কাছে ব্যারাকপুরের লোকসভা আসনের টিকিট দাবি করেছিলেন কিন্তু তাঁকে না দিয়ে তৃণমূল নেত্রী দীনেশ ত্রিবেদীকে টিকিট দেয় অন্যদিকে তাই নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে নেত্রী তাঁকে ও দীনেশ ত্রিবেদীকে একসাথে নিয়ে বৈঠক করে দীনেশ ত্রিবেদীকে সমর্থনের কথা বলেন এতে প্রথেমে রাজি হলেও পরে দল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন আর বিজেপির টিকিট পান। আর তার পরেই এই নিয়ে তাঁকে গদ্দার আখ্যা দেন তৃণমূল। ফলে এখন অর্জুন সিং যদি না জিততে পারেন তাহলে তৃণমূলের তরফ থেকে প্রচার ওরা হবে যে তিনি জিততে পারবেন না জেনেই নেত্রী তাঁকে টিকিট দেননি। বিজেপিতে গিয়ে টিকিট পেয়েও কিছু কাজ হলো না। অন্যদিকে না জিতলেও বিজেপিতে তাঁর রাজনৈতিক জীবনে ইতি ঘটার সম্ভাবনা। ফলে নিজের সর্বশক্তি দিয়ে তিনি যে লড়বেন তা কারুর অজানা ছিল না।

আর তৃণমূলের ক্ষেত্রেও নিজের দলের লোককে জেতানো অন্যতম লক্ষ হয়ে দাঁড়িয়েছিল। কেননা তারা বিজেপি তথা অর্জুন সিং ‘গডডার এর কাছে হারতে রাজি নয়. অর্জুন সিং কে কোনোমতেই তৃণমূল নেত্রীর দূরদর্শিতা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে দিতে রাজি নয় ফলে তারাও যে সর্বশক্তি প্রয়োগ করবে তও নিশ্চিত ছিল। ফলে মহাযুদ্ধের আশঙ্কা ছিল এখানে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিকে ভোট শুরু হতেই দেখা যায় ব্যারাকপুরের রাজা তথা অর্জুন সিং তৃণমূল কর্মীদের সাথে বার বার ঝামেলায় জড়িয়েছেন। পুলিশের সঙ্গে হাতাহাতিতে নাক ফেটেছে তাঁর। আর তার পরেই মুকুল বাবু নিজের ছেলেকে ফোন করেন। কেননা মুকুল রায় বিজেপিতে গেলেও বার বার তাঁর বিরুদ্ধে আঙ্গুল ওঠা স্বত্বেও তিনি দাবি করেছেন তিনি তৃণমূলের আছেন ও থাকবেন। আর ব্যারাকপুরের তৃণমূল প্রার্থী দীনেশ ত্রিবেদীকে জেতাতে প্রাণপাত করবেন। আর তাই এদিন মুকুলবাবু ব্যারাকপুরে অশান্তি শুরু হতেই তৃণমূল নেতাকে ফোন করে সাবধান করেন। এই নিয়ে শুভ্রাংশু বলেন, “বাবা ফোন করে কোনও ঝামেলাতে জড়াতে মানা করেন ।”

সাথেই তিনি আরো দাবি করেন যে, “বাবা ছেলের কোনও লড়াই নেই । বাবা কখনও বীজপুরে রাজনীতি করেননি । বাবা নিজের জায়গায় রাজনীতি করেন। আর আমি এখানে। প্রতিটি ব্যক্তি কারোর না কারোর সন্তান হয় । আমি এখানে জন্মেছি, বড় হয়েছি, পড়াশোনা করেছি । অবশ্য রাজনীতি করার জন্য আমার বাবা 1992 সাল থেকে এখানে থাকতেন না । কলকাতায় থাকতেন । এখানকার মানুষ আমাকে ব্যক্তিগত ভাবে চেনে ও বোঝে ।”

এদিকে ব্যারাকপুর কেন্দ্রে বিজেপির তৃণমূলের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অভিযোগ এনে পুনর্নির্বাচনের দাবি নিয়েও মুখ খোলেন শুভ্রাংশু রায়। তিনি বলেন, “আমি এখনও সেরম কিছু দেখিনি । দেখার আগে আমি কোনও মন্তব্য করব না । মানুষ উৎসবের মেজাজে ভোট দিচ্ছে । 23 তারিখ রেজ়াল্ট বেরোলে সবাই জানতে পারবে । বীজপুরে কোনও অশান্তির খবর আমার জানা নেই।” বিজেপি প্রার্থী অর্জুন সিংয়ের প্রসঙ্গ উঠলে তিনি হেসে বলেন, “প্রতিটি প্রার্থীই শক্তিশালী। সে প্রার্থী হয়েছে মানেই তো সে শক্তিশালী ।”

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!