এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > বিজেপি-যোগেই কি নারদ-মুক্তি? মুকুল-শোভন নিয়ে ইডির পদক্ষেপে চূড়ান্ত বিতর্ক সোশ্যাল মিডিয়ায়!

বিজেপি-যোগেই কি নারদ-মুক্তি? মুকুল-শোভন নিয়ে ইডির পদক্ষেপে চূড়ান্ত বিতর্ক সোশ্যাল মিডিয়ায়!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –কথায় আছে, সব তীর্থ বার বার, গঙ্গাসাগর একবার। একবার যদি কেউ গঙ্গাসাগরে গিয়ে পুণ্যস্নান করে নেন, তাহলে তার জীবন সার্থক। মুনিঋষি থেকে বেদ বেদান্ত অন্তত সেই কথাই বলেছে। তবে প্রাত্যহিক জীবনে গঙ্গাসাগর পুণ্যস্নানের অন্যতম মাধ্যম হলেও, বঙ্গ রাজনীতিতে কি পুন্যতা পেতে হলে বিজেপিতে যোগদান অবশ্যম্ভাবী? তাহলেই কি দোষ গুণ সম্পূর্ণরূপে মাফ হয়ে যায়! এই বক্তব্য আমাদের নয়, সোশ্যাল মিডিয়ায় নারদা কান্ডে বেশকিছু হেভিওয়েট নেতা নেত্রীদের কাছে আয়-ব্যয়ের হিসাব ইডির পক্ষ থেকে চাওয়ার পরেই এই জল্পনা তৈরি হতে শুরু করেছে।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, 2014 সালের লোকসভা নির্বাচনের সময় কালে বিজেপির পক্ষ থেকে একটি ভিডিও প্রকাশ করা হয়। যেখানে দেখা যায়, তৃণমূলের সিংহভাগ হেভিওয়েট নেতা, মন্ত্রী, সাংসদ প্রকাশ্যে টাকা নিচ্ছেন। তদানীন্তন সময়ে তৃণমূলেই ছিলেন মুকুল রায় এবং শোভন চট্টোপাধ্যায়।

তবে তারপর বঙ্গ রাজনীতি দিয়ে অনেক জল গড়িয়ে গেছে। এখন সেই মুকুল রায় এবং শোভন চট্টোপাধ্যায় ভারতীয় জনতা পার্টিতে রয়েছেন। দীর্ঘদিন এই নারদ কাণ্ডের তদন্ত প্রক্রিয়া বন্ধ ছিল। কিন্তু হঠাৎ করেই ভিডিওতে যাদের যাদের টাকা নিতে দেখা দিয়েছে, তাদের ইমেইলে জানানো হয়েছে, অবিলম্বে তাদের আয়-ব্যয়ের হিসাব দাখিল করতে হবে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

কিন্তু এই ব্যাপারে ইমেইলে কোনো বার্তা যায়নি বিজেপি নেতা মুকুল রায় এবং শোভন চট্টোপাধ্যায়ের কাছে। যার পরে তীব্র বিতর্ক শুরু হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে। অনেকেই বলতে শুরু করেছেন, মুকুল রায় এবং শোভন চট্টোপাধ্যায় এখন বিজেপির নেতা। তাই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার পক্ষ থেকে এই ঘটনায় যাদের টাকা নিতে দেখা গেছে, তাদের সকলের কাছে ইমেইল গেলেও, তা যায়নি মুকুলবাবু এবং শোভনবাবুর কাছে। আর এটাতেই পরিস্কার যে, বিজেপিকে গেলেই সে যত দোষই করুক না কেন, তার সমস্ত কিছু মাফ হয়ে যাবে।

আর সোশ্যাল মিডিয়ায় এই চর্চা শুরু হতেই এখন বিজেপি যে ব্যাপক চাপে পড়েছে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। তবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের পক্ষ থেকে অবশ্য বলা হয়েছে, শোভন চট্টোপাধ্যায়কে কিছুদিন আগেই জেরা করা হয়েছে। আর তখন তিনি তার সমস্ত নথি জমা দিয়েছেন। তাই তাকে এই ব্যাপারে কিছু পাঠানো হয়নি। কিন্তু যে যাই বলুন না কেন, অতীতেও নানা ঘটনায় কেন্দ্রের বিজেপি সরকার তাদের তদন্তকারী সংস্থা দিয়ে বিরোধীদের প্রতি প্রতিহিংসাপরায়ন আচরণ করছে বলে অভিযোগ উঠেছিল।

আর এবার বাংলার রাজনীতিতে মোড় ঘুরিয়ে দেওয়া নারদা কান্ডে টাকা নিতে দেখে যাওয়া নেতা-নেত্রীদের ইমেইল পাঠানো থেকে দুই বিজেপি নেতা বাদ থাকায় তীব্র চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। তাহলে কি সত্যি সত্যিই বিজেপিতে যোগ দিলে সমস্ত পাপ ধুয়ে মুছে সাফ হয়ে যায়! নাকি এর পেছনে তদন্তকারী সংস্থা অন্য কোনো সমীকরণ নিয়ে এগোতে চাইছে? সেদিকেই নজর থাকবে প্রত্যেকের। তবে বিধানসভা নির্বাচনের আগে এই ঘটনা যে নিঃসন্দেহে চরম বিতর্ক সৃষ্টি করেছে বঙ্গ রাজনীতিতে, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত সকলেই।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!