এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > যুবকদের কাজ কই? সারা জীবন প্যারাটিচার-সিভিক বানিয়ে রাখা! তৃণমূলের রাজনীতি নিয়ে বিস্ফোরক দিলীপ

যুবকদের কাজ কই? সারা জীবন প্যারাটিচার-সিভিক বানিয়ে রাখা! তৃণমূলের রাজনীতি নিয়ে বিস্ফোরক দিলীপ


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –বিশেষজ্ঞরা বলেন, যে দলে ছাত্র এবং যুবদের সংগঠন সবথেকে বেশি শক্তিশালী সেই দল সাফল্য পায় দ্রুত। বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল এবং বিজেপির মধ্যে সেয়ানে সেয়ানে টক্কর চলছে। 2021 এর বিধানসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করে একে অপরের ঘর ভাঙতে উদ্যোগী হয়েছে। আর এমত পরিস্থিতিতে যুবসমাজকে নিজেদের দিকে আরও বেশি করে টানতে উদ্যোগী হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস।

ইতিমধ্যেই তৃণমূলের রাজনৈতিক পরামর্শদাতা প্রশান্ত কিশোরের উদ্যোগে রবিবার রাজ্যজুড়ে যুব কর্মীদের যোগদান কর্মসূচী পালন করেছে তৃণমূল নেতৃত্ব। জেলায় জেলায় যুব তৃনমূলের সভাপতিরা একটি অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে যুব সংগঠনকে নিজেদের দলে যোগদান করানোর উদ্যোগ নিয়েছেন। আর এই পরিস্থিতিতে তৃণমূল যখন যুবদের ময়দানে নামাতে উদ্যোগী, ঠিক তখনই পাল্টা সেই যুবকদের কর্মসংস্থানের ব্যাপারে প্রশ্ন তুলে দিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসকে চাপে ফেলে দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।

 

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

 

সূত্রের খবর, রবিবার সকালে বিধাননগরের বিজেপির বিধায়ক সব্যসাচী দত্তের উদ্যোগে গণেশ পূজোয় উপস্থিত হন দিলীপবাবু। আর সেখানেই তৃণমূল যুব কর্মীদের নিয়ে প্রশ্নের জবাবের উত্তর দেন তিনি। দিলীপ ঘোষ বলেন, “পশ্চিমবঙ্গের যুব সমাজ রাজনীতি থেকে বিমুখ হচ্ছে কারণ এখানে আদর্শ নীতি নেই। এখানে শুধুমাত্র কাটমানি আর সিন্ডিকেট রাজ। চাকরি না দিয়ে এসব দেওয়া হচ্ছে যুবকদের। দুর্নীতি যেমন ব্যাপক জায়গায় পৌঁছেছে, যুবসমাজের হতাশা রয়েছে। চাকরির জন্য পশ্চিম ভারতের দিকে যেতে হবে। পশ্চিমবঙ্গ চাকরির আশা নেই। তাই এখানে বেআইনি পথে কাজ করতে হচ্ছে। সার্বিকভাবে এটা বাংলার ভবিষ্যতের জন্য খারাপ। যুবকদের কাজ না দিয়ে সারা জীবন রাজনীতির কাজে ব্যবহার করা, সিভিক পুলিশ করে রেখে দেওয়া, প্যারাটিচার করে রেখে দেওয়া, পার্ট টাইম টিচার করে রেখে দেওয়া। ফলে যুবকের না ভবিষ্যতের স্বপ্ন সফল হল, না পরিবারের প্রতি সঠিকভাবে সে তার দায়িত্ব পালন করতে পারল।”

এই ধরনের লক্ষ লক্ষ যুবক আজকে পশ্চিমবঙ্গে হতাশায় ভুগছেন বলেও দাবি করেছেন মেদিনীপুরের বিজেপি সাংসদ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যখন যুবসমাজকে তৃণমূল কংগ্রেস নিজেদের দিকে টানতে চাইছে, ঠিক তখনই বিজেপির রাজ্য সভাপতি এই ধরনের কথা বলে বুঝিয়ে দিতে চাইলেন যে, পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল কংগ্রেস সরকার যুবকদের জন্য কোনো কিছুই করেনি।

অর্থাৎ সিভিক ভলেন্টিয়ার থেকে শুরু করে প্যারাটিচারের মত কর্মসংস্থানের কথা বলে আদতে বেকার যুবকদের সমস্যার সমাধান হচ্ছে না বলে তৃণমূল কংগ্রেসকে পাল্টা চাপে ফেলে দিলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এখন গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, দিলীপ ঘোষের এই মন্তব্যতে বঙ্গ রাজনীতিতে আবার নতুন করে রাজনৈতিক পারদ চড়ে কিনা, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!