এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > বেকারদের কাজ নেই, আর পুজোর আগেই ফুর্তির ঘোষণা! মমতার সিদ্ধান্ত নিয়ে কটাক্ষ বিরোধীদের!

বেকারদের কাজ নেই, আর পুজোর আগেই ফুর্তির ঘোষণা! মমতার সিদ্ধান্ত নিয়ে কটাক্ষ বিরোধীদের!


 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নাকি অসুস্থ! তার পায়ে চোট লেগেছে, তাই বিদেশ থেকে আসার পর তিনি নবান্ন পর্যন্ত যাননি। আজ নিজের বাড়িতে মন্ত্রীসভার বৈঠক করার পর ভার্চুয়ালি দেবী পক্ষ পড়ার আগেই পুজোর উদ্বোধন শুরু করে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সেই ভার্চুয়ালি পুজো উদ্বোধনের অনুষ্ঠান থেকেই পুজো কার্নিভালের ঘোষণা করে দিলেন তিনি। বলা বাহুল্য, এখন প্রতিমা বিসর্জন না করে জেলার বাছাই করা পুজো কমিটিগুলোকে তাদের প্রতিমা নিয়ে কলকাতায় আসতে বলে রাজ্য সরকার। একদিন সেখানে কার্নিভাল অনুষ্ঠিত হয়। সেই মতো এবারের কার্নিভালের তারিখ ঘোষণা করে দিয়ে ফের বিরোধীদের প্রশ্নের মুখে পড়লেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান। বিরোধীদের কটাক্ষ, বেকাররা পড়ে পড়ে কাঁদছে। তাদের উৎসব বলতে কিছু নেই। অথচ বাড়ি থেকে ভার্চুয়ালি পুজোর উদ্বোধন করে দিয়ে কার্নিভালের ঘোষণা পর্যন্ত করে দিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। বিন্দুমাত্র লজ্জা থাকলে সেই বেকারদের চোখের জল মোছানোর জন্য উদ্যোগী হতেন তিনি। কিন্তু সেদিকে নজর না দিয়ে ফুর্তিতে মুজেছেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান বলেই কটাক্ষ একাংশের।

প্রসঙ্গত, আজ নিজের কালিঘাটের বাড়ি থেকেই ভার্চুয়ালি বিভিন্ন জেলার পূজা উদ্বোধনের প্রক্রিয়া শুরু করে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ইতিমধ্যেই এই বিষয় নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে বিরোধীরা। তারা দাবি করছে যে, শাস্ত্র জ্ঞান না থাকলে একজন মুখ্যমন্ত্রী কি করে এই ধরনের পূজা উদ্বোধন করতে পারেন? এখন পিতৃপক্ষ চলছে। সেই সময় কি দেবীপক্ষের সূচনা করা যায়? মুখ্যমন্ত্রী কি সমস্ত কিছুকেই অমান্য করার পথে হাঁটছেন? তবে বিরোধীদের এই বক্তব্য সরকারের কাছে কাকস্য পরিবেদনা।বিরোধীদের দাবি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেটা বলবেন, সেটাই এই রাজ্যে ঠিক। তার কথার বাইরে কেউ বেরোতে পারবে না। এটাই দিদিমনির আমলে নতুন নিয়ম হয়ে গিয়েছে। কিন্তু রাজ্যে আপার প্রাইমারি থেকে শুরু করে টেটের যারা সফল চাকরিপ্রার্থী, তারা বিক্ষোভ করছেন। তারা চাকরি পাচ্ছেন না। সরকারের কাছে তাদের দাবি পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করছেন। কিন্তু পুলিশ তাদেরকে লাঠি দিয়ে তুলে দিচ্ছে, গ্রেপ্তার করছে। অথচ তাদের চাকরি দেওয়ার দিকে দৃষ্টি পর্যন্ত দিচ্ছেন না রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান।

আজ তিনি ঘোষণা করে দিলেন পূজা কার্নিভাল হবে। আর সেই ছেলেমেয়েগুলো, যারা রাস্তায় বসে চাকরির আওয়াজ তুলছেন, কান্নাকাটি করছেন, তাদের কি জীবনে পুজো, আনন্দ কিছুই নেই? কেন এতটুকু সহানুভূতি মুখ্যমন্ত্রীর মধ্যে দেখতে পাওয়া গেল না? যেভাবে মুখ্যমন্ত্রী বেকার যুবকদের কাঁদিয়ে ফুর্তি দিয়ে রাজ্যবাসীকে ভুলিয়ে দিতে চাইছেন, তাতে তিনি খুশি থাকতে পারেন। কিন্তু রাজ্যের সাধারণ মানুষ তার সরকারের বুজরুকি ধরে ফেলেছে বলেই দাবি বিরোধী শিবিরের। পর্যবেক্ষকদের মতে, যারা চাকরির দাবিতে আন্দোলন করছেন, যারা রাস্তায় বসে রয়েছেন, তাদের জন্য যদি একটি বাক্যও আজকের ভার্চুয়ালি পুজো উদ্বোধন থেকে ব্যায় করতেন মুখ্যমন্ত্রী, তাহলে তারা অনেক বেশি খুশি হতেন। তারা আশায় বুক বাধতেন যে, মুখ্যমন্ত্রী তাদের নিয়ে সহানুভূতিশীল। কষ্ট হত তাদের চাকরি না পেয়ে। কিন্তু তবু তারা একটা ব্যাপারে আশ্বস্ত হতেন যে, এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তাদের নিয়ে ভাবছেন। কিন্তু সেই চাকরি প্রার্থীদের নিয়ে কথা বলার মত সময় হল না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।

অথচ পুজো কার্নিভালের ঘোষণা করে দিলেন তিনি। অর্থের অভাবে ডিএ নাকি দিতে পারেন না, অথচ এই বিপুল অর্থ যে কার্নিভালের পেছনে ব্যয় হবে, তার ঘোষণা করে দিতে তার কুন্ঠাবোধ বোধ হয় না বলেই দাবি একাংশের। বিরোধীদের অভিযোগ, এই রাজ্য সরকার দুর্গাপূজোটাকে সাংস্কৃতিক উৎসবে পরিণত করেছেন। শাস্ত্রজ্ঞান না মেনে আজকে পশ্চিমবঙ্গে হিন্দু সংস্কৃতিকে ধ্বংসের মুখে ফেলে দেওয়া হচ্ছে। তাই কেউ কাঁদছে, আর সেই কান্নাকে উৎসবের মেকআপ দিয়ে, কার্নিভালের আনন্দ দিয়ে ভুলিয়ে রাখতে চাইছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!