এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > উত্তরবঙ্গেও রাজ্যপালের সঙ্গে চরম অসভ্যতা! তৃনমূলের ঔদ্ধত্যকে কটাক্ষ বিজেপির!

উত্তরবঙ্গেও রাজ্যপালের সঙ্গে চরম অসভ্যতা! তৃনমূলের ঔদ্ধত্যকে কটাক্ষ বিজেপির!


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস এবং তাদের নেতারা বড় বড় গলায় অনেক কথা বলেন। তারা বলেন, তারা নাকি সৌজন্যের রাজনীতি করেন। তারা নাকি শিষ্টাচার মেনে লড়াই, আন্দোলন করেন। কিন্তু এ কোন শিষ্টাচার! রাজ্যপাল উত্তরবঙ্গের ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতি দেখতে সেখানে গিয়েছেন। আর সেই রাজ্যপালের সঙ্গে এমন এক অসভ্যতা করতে দেখা গেল তৃণমূলের কর্মীদের, যা দেখে সমালোচনায় সরব হয়েছে বিরোধীরা। অনেকে বলছেন, তৃনমূল তো মানুষের পাশে দাঁড়াতে পারেন না। সেখানে রাজ্যপাল উত্তরবঙ্গে গিয়ে মানুষের অভাব অভিযোগ শুনছেন। আর তা নিয়েও তৃণমূলের এত মাথাব্যথা? আসলে সবেতেই রাজনীতি করা তৃণমূলের উদ্দেশ্য। তাই রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধানের সঙ্গেও তাদের এই অসভ্যতা বলেই কটাক্ষ একাংশের।

প্রসঙ্গত, উত্তরবঙ্গের বন্যা পরিস্থিতি যখন ভয়াবহ, তখন দিল্লি থেকে সোজা শিলিগুড়িতে পৌঁছে যান রাজ্যপাল। দার্জিলিংয়ের বিপর্যয় খতিয়ে দেখেন তিনি। পাশাপাশি সাধারণ মানুষদের সঙ্গেও কথা বলেন তিনি। ইতিমধ্যেই নিজের সাধ্যমত ক্ষতিগ্রস্তদের হাজার টাকা করে আর্থিক সাহায্য প্রদান করেছেন রাজ্যপাল। কিন্তু আশ্চর্য জনকভাবে যখন রাজ্যপাল শিলিগুড়ি সার্কিট হাউসে প্রবেশ করছিলেন, ঠিক তখনই তার গাড়ির সামনে চূড়ান্ত অসভ্যতা করতে দেখা যায় তৃণমূলের কর্মীদের। অভিযোগ, কালো পতাকা দেখানো থেকে শুরু করে গো ব্যাক স্লোগান, রাজ্যপালের উদ্দেশ্যে কিছু করতেই বাকি রাখেননি শাসক দলের কর্মীরা।

তবে সব ব্যাপারেই তৃণমূলের এই মাতব্বরি, এই গাজোয়ারি দেখে কটাক্ষ করতে শুরু করেছে বিজেপি। গেরুয়া শিবিরের দাবি, এই ভয়ঙ্কর ঔদ্ধত্যের লীলা থেকে সরে আসা উচিত তৃণমূলের। তাদের কিসের এত গাত্রদাহ! রাজ্যপাল তো তাদের কোনো পাকা ধানে মই দেননি। তিনি মানুষের পাশে দাঁড়াতে গিয়েছেন উত্তরবঙ্গে। সেখানে কেন তৃণমূলের কর্মীরা রাজ্যপালকে কালো পতাকা দেখাবেন? এটা কোন শিষ্টাচারের নমুনা দিচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলের কর্মীরা? একজন সাংবিধানিক প্রধান, যিনি নিজের মতো করে রাজ্যের বন্যা পরিস্থিতি দেখতে গিয়েছেন, সেখানে তৃণমূল কর্মীদের এই প্রতিবাদ, আন্দোলন কেন? যদি রাজ্যপাল এবার পাল্টা জব্দ করার পথে হাঁটেন, তখন তৃণমূল তা সামাল দিতে পারবে তো? তাই এই ধরনের কাণ্ড কলাপ থেকে বিরত থাকা উচিত শাসক দলের বলেই সতর্ক করছে বিরোধীরা।

পর্যবেক্ষকদের মতে, রাজ্যপালকে এমনিতেই যা ইচ্ছে তাই বলে আক্রমণ করেন তৃণমূলের হেভিওয়েট নেতা-মন্ত্রীরা। এদিন রাজভবন চলো অভিযানের ডাক দিয়ছিল তৃনমূল। কিন্তু রাজ্যপালকে সেখানে না পেয়ে তৃণমূলের একাধিক জনপ্রতিনিধিরা একাধিক মন্তব্য করেছেন। যা দেখে অনেকে বলছেন, তৃনমূলের একবারও লজ্জা করল না? সাধারণ মানুষের পাশে তো তারা দাঁড়াতে পারেন না, কিন্তু রাজ্যপাল তা করছেন। তাতেও তাদের এই কটাক্ষ, বেলাগাম আক্রমণ এমনিতেই শেষ সীমায় পৌঁছে গিয়েছে বলেই দাবি বিরোধীদের। আর তার মাঝেই এবার উত্তরবঙ্গে তৃণমূলের কর্মীদের রাজ্যপালের উদ্দেশ্যে চরম অসভ্যতা বঙ্গ সংস্কৃতিকে ধুলোয় মিশিয়ে দিল। দিনের শেষে তেমনটাই দাবি রাজনৈতিক সমালোচকদের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!