এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > তৃনমূলের শুধুই ভাষন! মানুষ বিপদে, আসল কাজ তো করলেন রাজ্যপাল! খুশি বিরোধীরা!

তৃনমূলের শুধুই ভাষন! মানুষ বিপদে, আসল কাজ তো করলেন রাজ্যপাল! খুশি বিরোধীরা!


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-রাজ্যের ক্ষমতায় রয়েছে তৃণমূল, মানুষকে রক্ষা করা তৃণমূলের কর্তব্য। কিন্তু তারা রাজনৈতিক কাজে ব্যস্ত। কেন্দ্রীয় বঞ্চনার প্রতিবাদে বিজেপির বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে হবে, তাই রাজভবন চলো ডাক দিয়ে সেখানে ধর্না করছেন তৃণমূলের যুবরাজ। যাতে সাথ দিচ্ছেন নেতা-মন্ত্রীরা। কিন্তু সেই সময় রাজভবনে না থেকে কার্যত মানুষের পাশে থেকে রাজ্যপাল বুঝিয়ে দিলেন, তিনিই রাজ্যের অতন্দ্র প্রহরী। লোক দেখানোর জন্য তিনি এই উত্তরবঙ্গ সফর করেননি, বন্যায় মানুষের কি বিপদ, তা দেখার জন্যই তার এই সফর, দিনের শেষে তা স্পষ্ট করে দিলেন পশ্চিমবঙ্গের সাংবিধানিক প্রধান।

প্রসঙ্গত, তৃণমূল এদিন রাজভবনে রাজ্যপালকে না পেয়ে দাবি করছে যে, রাজ্যপাল নাকি ভয়ে উত্তরবঙ্গ পালিয়ে গিয়েছেন! কিন্তু তৃণমূল তো মানুষের সমস্যা বুঝবে না। তাই তারা এই ধরনের বৃথা দাবি করে রাজনৈতিক ফায়দা তুলতে ব্যস্ত থাকবে বলেই কটাক্ষ একাংশ।পাশাপাশি তারা এটাও বলছেন যে, রাজ্যপালকে দেখে রাজ্যের প্রশাসন এবং তৃণমূল সরকারের শিক্ষা নেওয়া উচিত। যেটা তাদের কাজ, সেটা করে দেখালেন রাজ্যপাল। তিনি উত্তরবঙ্গে গেলেন, ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতি পরিদর্শন করলেন। পাশাপাশি যারা ক্ষতিগ্রস্ত, তাদের হাজার টাকা করে আর্থিক সাহায্য দিলেন। হ্যা, হতে পারে এই সাহায্য খুবই সামান্য। তাতে হয়ত কিছুই হয় না। কিন্তু রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধানের তো এটা কাজ নয়। এই কাজ তো সরকারের ছিল। কিন্তু সরকারের নেতা-মন্ত্রীরা ব্যাস্ত ধরনা দিতে। তাই রাজ্যপাল অল্প অর্থ দিয়েও ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়িয়ে প্রকৃত মানবদরদী ভাবমূর্তি তুলে ধরলেন বলেই দাবি বিরোধীদের।

ইতিমধ্যেই রাজ্যপালের এই বন্যায় যারা ক্ষতিগ্রস্ত, তাদের পাশে দাঁড়ানো দেখে সন্তুষ্টি প্রকাশ করছে বিরোধীরা। তাদের পক্ষ থেকে এটাও বলা হচ্ছে যে, রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধানকে দেখে শিক্ষা নেওয়া উচিত সরকারের। যখন বন্যার ভ্রুকুটি তৈরি হয়েছিল, তখন দিল্লিতে কেন্দ্রীয় বঞ্চনার প্রতিবাদের রাজনীতি করতে ব্যস্ত ছিলেন এই সরকারের নেতা-মন্ত্রীরা। এখন তারা রাজ্যপালের ভবনের সামনে ধর্না দিতে ব্যস্ত। সেচমন্ত্রী অবশ্য দিল্লিতে দিল্লি থেকে উত্তরবঙ্গে গিয়েছেন। কিন্তু রাজ্যপালের চেষ্টাকে রাজ্য সরকার প্রতিমুহূর্তে খাটো করে দেখানোর চেষ্টা করছে। অনেক মন্ত্রীরা তাকে টুরিস্ট বলেও আখ্যা দিয়েছেন। তবে এই সমস্ত কিছুতে কিছুই যায় আসে না বাংলার সংবিধানিক প্রধানের, তা আবার প্রমাণ করে দিয়ে সরকারকে কার্যত লজ্জায় ফেলে দিলেন সিভি আনন্দ বোস বলেই দাবি সমালোচকদের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, এই সরকারের লাজ লজ্জা কিছুই নেই। রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা হলো না এ জন্য এখন তারা সেই রাজ্যপালকে আক্রমণ করতে ব্যস্ত। কিন্তু তারা একবারও ভাবছে না যে, রাজ্যপাল কতটা স্পর্শকাতর বিষয়ে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য উত্তরবঙ্গে গিয়েছেন‌। এই সময় যদি তারা রাজ্যপালকে এইভাবে আক্রমণ করেন, তাহলে সাধারণ মানুষের মধ্যে তৃণমূলের অবস্থান নিয়েও প্রশ্ন উঠতে পারে। কিন্তু তাদের রাজনীতি করতে হবে। তাই সেই নির্লজ্জ রাজনীতি করতে গিয়ে এবং রাজ্যপালকে আক্রমণ করতে গিয়ে মানুষের থেকেই দূরে সরে যাচ্ছে রাজ্যের শাসক দল। অন্যদিকে জনতার পরিত্রাতা হিসেবে রাজ্যপালের ভূমিকায় প্রশংসা ধ্বনীত হচ্ছে বিরোধীদের তরফেও। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!