এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > সস্তার নাটক তৃনমূলের, আইন ভেঙে ধর্নায় যুবরাজ? শুভেন্দুর তীক্ষ্ণ বানে উত্তাল রাজ্য!

সস্তার নাটক তৃনমূলের, আইন ভেঙে ধর্নায় যুবরাজ? শুভেন্দুর তীক্ষ্ণ বানে উত্তাল রাজ্য!


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- কেন্দ্রীয় বঞ্চনার প্রতিবাদে দিল্লিতে আন্দোলনের নামে তৃণমূলের অশান্তির পটচিত্র গোটা রাজ্যের মানুষ দেখেছে। তাই দিল্লির পর এবার পশ্চিমবঙ্গেও রাজ্যপালের দপ্তরের সামনে তৃণমূল যা করছে, তা একেবারেই বেআইনি বলেই দাবি করেছিল বিরোধীরা। কিন্তু রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপির বিরোধী দলনেতা কি বলেন, তার দিকে নজর ছিল সকলের। অবশেষে সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই ব্যাপারে মুখ খুলে তৃণমূলকে আরও চাপে ফেলে দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। কেন্দ্রীয় বঞ্চনার প্রতিবাদে রাজভবনের সামনে যে ধর্না শুরু করেছেন বাংলার যুবরাজ, তাকে কার্যত সস্তার রাজনৈতিক নাটক বলেই দাবি করলেন তিনি। স্বাভাবিক ভাবেই তৃণমূল যখন এই ধরনের আন্দোলন করে রাজনৈতিক ফায়দা তুলতে ব্যস্ত, তখন শুভেন্দু অধিকারীর এই তীক্ষ্ণ বান তাদের বেকায়দায় ফেলে দিল বলেই মনে করছেন একাংশ।

প্রসঙ্গত, শুক্রবার তৃণমূলের পক্ষ থেকে রাজভবন চলো অভিযানের ডাক দেওয়া হয়। সেই মতো তারা মিছিল করে রাজভবন পর্যন্ত পৌঁছয়। কিন্তু রাজ্যপাল উত্তরবঙ্গের বন্যা পরিস্থিতি দেখতে যাওয়ার কারণে রাজভবনে ছিলেন না। আর তার প্রতিবাদে যতক্ষণ না রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা হবে, ততক্ষণ তাদের এই ধর্না চলবে বলে জানিয়ে দেন বাংলার যুবরাজৃ যাকে আর একটা নাটক বলেই দাবি করেন একাংশ। তবে এই পরিস্থিতিতে কার্যত সোশ্যাল মিডিয়ায় যুক্তিসঙ্গত প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী।

এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লেখেন, “রাজভবনে 150 মিটার পর্যন্ত 144 ধারা জারি থাকে। পুলিশের সঙ্গে যোগসাজশে সেখানে নিজেদের মিছিল নিয়ে ঢুকে শুধু 144 ধারা লঙ্ঘনই করেননি, সেখানে ক্যাম্পও করেছে। রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধানের নিরাপত্তা সস্তার রাজনৈতিক নাটকের জন্য বিপন্ন হচ্ছে। আর এতে পুলিশ সহযোগিতা করছে।” একাংশের দাবি, রাজ্যের পুলিশ যে কতটা নির্লজ্জ, তা এই ঘটনায় আবার প্রমাণ হয়ে গিয়েছে। রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধানের নিরাপত্তাকেও কার্যত প্রশ্নের মুখে ফেলে দিয়েছে তারা। যতই তারা তৃণমূলের দলদাস হোক, অন্তত রাজভবনের সামনে তৃণমূল এই ধরনের আন্দোলনে বসবে, আর তা নীরবতার সহকারে মেনে নেবে প্রশাসন, এটা তাদের কাছ থেকে আশা করা যায় না। তাই এক্ষেত্রে তৃণমূলের পাশাপাশি রাজ্য পুলিশেরও মুখোশটা টেনে খুলে ফেলে দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেই দাবি সমালোচকদের।

বিরোধীদের দাবি, এই রাজ্যে তৃণমূলের জন্য আইন এক এবং সাধারণের জন্য আইন আর এক। তৃণমূল যা খুশি তাই করতে পারে। রাজ্য পুলিশ যে একেবারে তৃণমূলের দলদাস হয়ে গিয়েছে, তা তো রাজ্যপালও বুঝিয়ে দিয়েছেন। কেননা রাজ্যপালের নিরাপত্তারক্ষী হিসেবে আর পুলিশকে রাখা হয়নি। কিন্তু এত কিছুর পরেও এই প্রশাসনের লজ্জা নেই। তারা রাজভবনের মত হাইসিকিউরিটি জোনের সামনেও তৃণমূলকে ধর্না করতে অনুমতি দেয়। তবে এর ফল এদেরকে ভুগতেই হবে। আইন ভাঙ্গার যে খেলা শাসক দলের নেতারা শুরু করেছেন, তার চরম পরিনতি পোহাতে হবে মা মাটি মানুষের দলকে বলেই কটাক্ষ বিরোধী শিবিরের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, রাজ্যে আইনের শাসন বলে আর কিছু নেই। সবটাই চলছে শাসকের আইন। দিল্লিতে তৃণমূল বিজেপির প্রভাব থাকা সত্ত্বেও, সভা করতে পারে। তাদের পুলিশ অনুমতি দেয়। কিন্তু বাংলায় এই তৃণমূল সরকারের পুলিশ রাজ্যপালের নিরাপত্তাটুকু দিতে পারে না। 144 ধারা থাকা সত্ত্বেও রিজভবনের সামনে ধর্না করতে অনুমতি দেয় শাসক দলকে। যা দেখে তৃণমূলের বিরুদ্ধে তো বটেই, পুলিশের বিরুদ্ধেও আইন ভাঙ্গার ভয়ঙ্কর অভিযোগ তুললেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। তাই তার এই অভিযোগ বর্তমানে তৃণমূলের অস্বস্তি অনেকটাই বাড়িয়ে দিল। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!