উত্তরবঙ্গে দফায় দফায় কংগ্রেস-তৃণমূল সংঘর্ষ, গুলিতে মৃত ১, চূড়ান্ত উত্তেজনা পুরো এলাকায় উত্তরবঙ্গ November 6, 2018 কংগ্রেস-তৃণমূল গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে উত্তপ্ত উত্তর দিনাজপুরের চোপড়া থানা এলাকা। এদিন সকালে দফায় দফায় চোপড়া থানার লক্ষীপুরে এই দুই যুযুধান গোষ্ঠীর সংঘর্ষ হয়। প্রথমে চাকলাগছ এলাকায় দু পক্ষের সংঘর্ষের জেরে পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে। পরিনামে গুলিতে নিহত হন এক কংগ্রেস কর্মী। এরপর মিঠাপুর উত্তপ্ত হয় দু পক্ষের সংঘর্ষে। ফলশ্রুতিতে জখম হন দু পক্ষেরই কয়েকজন সদস্য। আহতদের মধ্যে একজনকে গুরুতর জখম অবস্থায় প্রথমে দলুয়া ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করা হয়। পরে শারীরিক অবস্থার অবনতি দেখে তাকে পাঠানো হয় উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে। গোটা ঘটনায় তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়েছে এলাকায়। পুলিশি টহলদারি অব্যাহত এলাকায়। পুলিশি তদন্ত এবং স্থানীয় সূত্রের খবর থেকে জানা গিয়েছে, ঘটনার দিন লক্ষীপুরে কংগ্রেসের বৈঠক ছিল। সেখানে কর্মী আসার পথেই গন্ডোগোল বাঁধে। প্রথমে বৈঠকে আসার পথে চাকলাগছে কংগ্রেস কর্মীদের সঙ্গে তৃণমূল কর্মীদের জোর তরজা শুরু হয়। এর ফলে ওখান থেকেই কয়েকজন বৈঠকে না এসে ফিরে যান। পরবর্তীতে বৈঠকে আসার পথে কংগ্রেস নেতা সমিরুল সাহেবের (৪০) সঙ্গে তৃণমূল কর্মীদের বচসা এতোটা তীব্র হয় যে দুপক্ষের ধস্তাধস্তি বেঁধে যায়। তখনই গুলিবিদ্ধ হন সলিরুল সাহেব। তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে তখনই মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। এরপর মিঠাপুরে আবু হোসেন নামের এক কংগ্রেস নেতার সঙ্গে গন্ডোগোল বাধে তৃণমূল কর্মীদের। বচসা এতো তীব্র হয় যে কথা কাটাকাটির সূত্র ধরেই একে অপরকে লক্ষ্য করে ধারালো অস্ত্র লাঠিসোটা নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে। জখম অবস্থায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এই আবু হোসেনই এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনে নির্দল প্রার্থী হিসাবে ভোটে দাঁড়িয়ে হেরে যান। এই সংঘর্ষের দায় তৃণমূলের কাঁধে চাপিয়ে কংগ্রেসের লক্ষ্মীপুর অঞ্চল সভাপতি সইদুল ইসলাম বলেন, তৃণমূলের এলাকায় প্রচুর আগ্নেয়াস্ত্র মজুত থাকার খবর জানতে পেরে পুলিশকে জানানো হয়েছিলো। কিন্তু পুলিশ এ ব্যাপারে কোনো সক্রিয়তা দেখায়নি। পুলিশ যদি সঠিক সময়ে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিত তাহলে এই সংঘর্ষের পরিস্থিতিকে এড়ানো যেতো। অভিযোগ, তৃণমূল ষড়যন্ত্র করে কংগ্রেসের উপর হামলা চালিয়েছে। এরজন্যেই একজন দলীয় কর্মী নিহত হয়েছেন এবং বাকি কয়েকজন এখনো নিখোঁজ।তবে গোটা ঘটনার সঙ্গে কোনো রাজনৈতিক যোগাযোগ নেই বলেই সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করলেন তৃণমূল কংগ্রেসের চোপড়া ব্লক সভাপতি চিত্তরঞ্জন রায়। তিনি আরো জানালেন,কংগ্রেসের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কারণেই এরকম পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। তৃণমূল এরজন্যে কোনোভাবেই দায়ী নয়। ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে ইসলামপুরের অতিরিক্ত পুলিস সুপার কার্তিক চন্দ্র মণ্ডলের সূত্র থেকে জানা গিয়েছে,ঘটনার তদন্তের জন্যে কয়েকজনকে আপাতত হেফাজতে রাখা হয়েছে। উল্লেখ্য,এই মুহূর্তে তৃণমূল-বিজেপির দ্বন্দ্বেই উত্তপ্ত বাংলার রাজনৈতিক ক্ষেত্র। তারউপর কংগ্রেস তৃণমূলের সঙ্গে প্রত্যক্ষ লড়াই-এ জড়িয়ে পরিস্থিতির উত্তাপের পারদকে আরো চড়া করল। গোটা ঘটনাতেই থমথমে হয়ে রয়েছে এলাকা। আপনার মতামত জানান -