এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > এই বয়সেও ভীমরতি? সন্দেশখালি নিয়ে বিতর্কিত সৌগত! ধুয়ে দিলেন দিলীপ!

এই বয়সেও ভীমরতি? সন্দেশখালি নিয়ে বিতর্কিত সৌগত! ধুয়ে দিলেন দিলীপ!


 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- নতুন যারা রাজনীতিতে এসেছেন বা যারা তৃণমূলের বিরুদ্ধে মত পোষণ করেন, তারা সকলেই কিছু কিছু রাজনীতিবিদকে শ্রদ্ধার আসনে বসিয়ে রাখেন। যার মধ্যে অন্যতম তৃণমূলের সৌগত রায়। তাকে সংসদের সকলেই কম বেশি শ্রদ্ধা করেন। কিন্তু সেই সৌগত রায় সন্দেশখালির ঘটনা নিয়ে এমন কথা বলবেন, তা সত্যি কেউ ভাবতেও পারেননি। আসলে দলের তল্পিবাহকতা করতে গিয়ে এই বয়সেও একটা ভীমরতি দেখা গেল এই তৃণমূল সাংসদের মধ্যে। তার বক্তব্য, সন্দেশখালি নাকি সংবাদমাধ্যমের তৈরি করা। কিন্তু বাড়িতে বসে এই সমস্ত অনেক বড় বড় কথা বলা যায়।

তবে সন্দেশখালি মানুষের যন্ত্রণা উপলব্ধি করলে এই বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ বুঝতে পারতেন, তারা কতটা কষ্টের মধ্যে রয়েছেন। পায়ের উপর পা তুলে বাড়িতে বসে থেকে সন্দেশখালির ঘটনা নিয়ে মন্তব্য না করে তাই সেখানে গিয়ে যদি ক্ষমতা থাকে সৌগতবাবুর এই সমস্ত কথা বলা উচিত। তবে এত বড় ক্ষমতা বা মুরোদ এই তৃণমূল সাংসদের নেই। তাই শুধুমাত্র দলের কাছে ভালো থাকার জন্যই তিনি সন্দেশখালিতে যে আগুন জ্বলছে, সেই প্রতিবাদের বিরুদ্ধেই একটা আলটপকা মন্তব্য করে বসলেন। আর তার পরিপ্রেক্ষিতেই বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ যে কথা বললেন, তাতে সকলেই বলছেন যে, এবার অন্তত সৌগতবাবুর লজ্জা থাকা উচিত।

প্রসঙ্গত, তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়ের মন্তব্য নিয়ে এদিন দিলীপ ঘোষকে প্রশ্ন করা হয়। আর সেই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে তিনি বলেন, “সৌগতবাবুর যদি ক্ষমতা থাকে, তাহলে যান না একবার সন্দেশখালিতে। এখানে বসে অনেক বড় বড় কথা বলা যায়। দমদমে বসে কথা বললে হবে না। ওখানকার মানুষরা যে যন্ত্রনা সহ্য করেছেন, তার বিরুদ্ধেই তারা প্রতিবাদে গর্জে উঠেছেন। একবার গিয়ে দেখুন সন্দেশখালিতে। সেখানে গিয়ে যদি ক্ষমতা থাকে, এই ধরনের কথা বলুন। দেখবেন, মানুষ জামা প্যান্ট না খুলে নেয়।” এখন দিলীপ ঘোষের এই বক্তব্যকে হাতিয়ার করে তৃণমূল অনেক কথা বলতে পারে। তারা বলতে পারে যে, শালীনতার সীমা লংঘন করেছেন এই বিজেপি নেতা। কিন্তু বাস্তবের মাটিতে দাঁড়িয়ে ভাবলে বোঝা যাবে যে, সত্যিই কতটা অপমানজনক কথা বলেছেন এই সৌগত রায়। এত কিছুর পরে তৃণমূলের শুভ বুদ্ধির উদয় হচ্ছে না কেন? কেন তাদের লজ্জা হচ্ছে না এই সন্দেশখালি নিয়ে! যদি তাদের লজ্জা হত, তাহলে অন্তত বর্ষিয়ান রাজনীতিবিদ হিসেবে সৌগতবাবুর মুখ থেকে এই ধরনের কথা শুনতে পাওয়া যেত না।

পর্যবেক্ষকদের মতে, শুধুমাত্র সংসদে দুটো ভালো বক্তৃতা দিলেই নেতা হওয়া যায় না। বর্ষিয়ান সাংসদ এই বয়সেও ভীমরতি হয়তো ছাড়তে পারেনি। তিনি হয়তো বুঝতে পেরেছেন যে, এবার বয়সের কারণে তার দল আর তাকে টিকিট দেবে না। তাই আবার ক্ষমতার লোভ তাকে ঘিরে বসেছে। আর সেই কারণেই সন্দেশখালিতে এত বড় ঘটনা ঘটে যাওয়ার পরেও সব কিছু বোঝা সত্ত্বেও সৌগত রায় একটা মন্তব্য করে বিতর্কের কেন্দ্রে চলে গেলেন। এমন একটা ভাব দেখানোর চেষ্টা করলেন যে, সন্দেশখালিতে কিছুই হয়নি। বরঞ্চ তার দল একদম স্বচ্ছ, পরিষ্কার।

তবে এসব বলে তিনি হয়ত টিকিট পেতে পারেন। কিন্তু পরের বার যদি ভোটে তাকে তার দল টিকিট দেয়ও, তাহলে তিনি জিতবেন তো? আর সব থেকে বড় প্রশ্ন, বাড়িতে বসে এসব কথা বলে কি লাভ আছে! একেবারে গ্রাউন্ড জিরোতে পৌঁছে যান না সৌগতবাবু। তাহলেই বোঝা যাবে, তার কত ক্ষমতা! সন্দেশখালির মানুষদের যন্ত্রণা উপলব্ধি করার মতো মানসিকতা হয়ত তৃণমূলের নেই। তবে সংবাদ মাধ্যমের সামনে যখন এত বড় বড় কথা বলছেন, তখন সন্দেশখালির সেই মা-বোনেদের সামনে গিয়ে এই কথা বলার মতো ক্ষমতা হবে তো বর্ষিয়ান তৃণমূল সাংসদের? দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!