এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > ব্রিগেডে সভা, মোদীকে গালি দিয়ে ডুববেন মমতা! সোচ্চার দিলীপ!

ব্রিগেডে সভা, মোদীকে গালি দিয়ে ডুববেন মমতা! সোচ্চার দিলীপ!


 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বুঝি জনতার পালস বুঝতে পারছেন না। তা না হলে এই সময় সন্দেশখালি সমস্যাকে না মিটিয়ে কেউ বিগ্রেডে সভা করতে যায়? রাজ্যে তার প্রশাসন রয়েছে, অথচ পুলিশ শাহজাহানকে গ্রেফতার করতে পারছে না! যার ফলে মানুষের ক্ষোভ বাড়ছে। আর সেই সময় কেন্দ্রের বিরুদ্ধে আন্দোলন তৈরি করে আগামী মার্চ মাসের 10 তারিখে ব্রিগেডে সভা করতে চলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠছে যে, প্রতিবার লোকসভা ভোটের আগে এই ধরনের নাটক কেন করেন এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী? এর আগেও তো 2019 সালে অনেক নেতাকে নিয়ে এসে তিনি ব্রিগেডে সভা করেছিলেন। কিন্তু তার ফল কি হয়েছে? বরঞ্চ 12 টি সিট এই তৃণমূল কংগ্রেসের কমে গিয়েছিল। স্বাভাবিকভাবেই এবার রাজ্যের মানুষের যখন যন্ত্রণা বেড়েছে, যখন সকলেই তৃণমূলের উপর বিরক্ত, তখন এই ধরনের সভা করে তৃণমূল নেত্রী নিজেই নিজের বিপদ ডেকে আনছেন না তো? দিলীপ ঘোষ যে কথা বললেন, তারপর এই প্রশ্নই উঠতে শুরু করেছে বিভিন্ন মহলে।

প্রসঙ্গত, এদিন এই তৃণমূলের ব্রিগেড সভা নিয়ে দিলীপ ঘোষকে একটি প্রশ্ন করা হয়। আর সেই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে তিনি বলেন, “এর আগেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সভা করেছিলেন। তার ফল কি হয়েছে, 12 টি সিট কমে গিয়েছে। এবার যদি আরও 12 টি সিট কমে যায়, তাহলে ওদেরকে কে মান্যতা দেবে! তখন অস্তিত্বই খুঁজে পাওয়া যাবে না।” একাংশ বলছেন, রাজ্যের যে পরিস্থিতি, তাতে সকলেই চাইছেন যে, তৃণমূল সরকার বিদায় নিক। তাই সামনে যখন লোকসভা নির্বাচন, তখন বিজেপির বিরুদ্ধে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তার দল যত চিৎকার চেঁচামেচি করবে, ততই মানুষ বিজেপির প্রতি সমর্থন দেবেন। কারণ তৃণমূলের আমলে রাজ্য যে পরিমাণ সর্বনাশের মুখে দাঁড়িয়ে আছে, যেভাবে সন্দেশখালীর মা-বোনেরা আওয়াজ তুলছেন, তাতে এই সরকারের কি রুচি এবং এরা কতটা বাংলার সর্বনাশ করেছে, তা চোখের সামনে সকলেই দেখছেন। তাই বাধ্য হয়েই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের ভাবমূর্তি ঠিক রাখার জন্য, খবরের শিরোনাম টিকে থাকার জন্য এবং সন্দেশখালি ইস্যুকে ঘুরিয়ে দেওয়ার জন্য হয়ত ব্রিগেডে সভার ডাক দিয়েছন। কিন্তু এর ফলে মানুষের মধ্যেও একটা চাপা ক্ষোভ কাজ করবে। একের পর এক কেন্দ্রের বিরুদ্ধে মিথ্যা কথা বলার যে রাজনীতি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় করছেন, তার বিরুদ্ধে মানুষ ভোটবাক্সে উপযুক্ত জবাব দেবে তৃণমূল কংগ্রেসকে বলেই মনে করছেন একাংশ।

পর্যবেক্ষকদের মতে, কোন বিষয়ে তৃণমূল কংগ্রেস ব্রিগেডে সভা করছে? না, তাদের বিষয় হচ্ছে, কেন্দ্র নাকি রাজ্যের টাকা দিচ্ছে না। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার তো স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিয়েছে যে, আগে যে সমস্ত টাকা রাজ্যকে দেওয়া হয়েছে, তার হিসাব তারা পায়নি। তাই হিসাব দিয়ে রাজ্য টাকা নিয়ে যাক। কিন্তু গরিব মানুষের টাকা লুট করা হয়েছে, সেই ভয়ে তৃণমূল ধরা পড়ে যাবে জন্যে তারা কেন্দ্রের কাছে হিসাব দিতে পারছে না। আর বড় বড় গলায় সেই কেন্দ্রের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তুলে আন্দোলনে নামার চেষ্টা করছে। ফলে মানুষের কাছেও এটা পরিষ্কার যে, তৃণমূল কতটা মিথ্যাবাদী রাজনৈতিক দল।

স্বাভাবিক ভাবেই এই বিষয় নিয়ে যদি সেই তৃণমূল কংগ্রেস আন্দোলনে নামে এবং ব্রিগেডে সভা করে, তাহলে হয়তো মাঠ ভরতে পারে কিন্তু মানুষের মন এই রাজ্যের শাসক দল ভরাতে পারবে না। পুলিশ প্রশাসনকে কাজে লাগিয়ে তারা হয়ত লোকসভা ভোটের আগে এই সভায় প্রচুর লোক নিয়ে যেতে সক্ষম হবে। তবে দিনের শেষে মানুষের যে রাগ, যেভাবে মানুষ এই তৃণমূলের দ্বারা অত্যাচারিত হয়েছেন, তাতে তার বহিঃপ্রকাশ হবে ভোটবাক্সে। আর তার ফলেই এবারের লোকসভা নির্বাচনে প্রচুর আসনে পরাজয়ের মুখ দেখতে হবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। দিলীপ ঘোষের বক্তব্যের পর তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!