পুলিশ যেন নিকটাত্মীয় কুনালের, আদালত ঝামা ঘষতেই সাত দিনের সময়সীমা! সোচ্চার বিরোধীরা! তৃণমূল রাজনীতি রাজ্য February 26, 2024 প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- তৃণমূল নেতাদের কথামতই যে এই রাজ্যের পুলিশ চলে, সেটা আজকে নতুন করে বলতে হবে না। তা না হলে সন্দেশখালির মত ঘটনা ঘটত না, আর শেখ শাহজাহান এতদিনে গ্রেপ্তার হয়ে যেতেন। তবে স্বনামধন্য ভাইপো গতকাল আদালতকে অসম্মান করে যে কথা বলেছিলেন, তারপর আদালত যে শিক্ষা দিয়েছে, তাতে নড়েচড়ে বসা ছাড়া কোনো উপায় ছিল না তৃণমূল কংগ্রেসের। কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি আজকে স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিয়েছেন, শাহজাহানকে গ্রেফতার করতে কোনো বাধা নেই। আর তারপরেই সাড়ে তিন বছর জেল খেটে আসা তৃণমূলের এক মুখপাত্র যে কথা বললেন, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে বিরোধীরা। সরকার এবং দল দুটো যে আলাদা বিষয়, এটা কেন এই অশিক্ষিত তৃণমূল নেতারা বুঝতে পারছেন না! সেই নিয়ে প্রশ্ন তুলে তুলেও বিরোধীদের মুখব্যাথা হয়ে গিয়েছে। কিন্তু আজ তৃণমূলের এক মুখপাত্র যে কান্ডটা ঘটালেন, তারপর আবার প্রশ্ন উঠছে যে, এরা এতটা নির্লজ্জ কি করে! কি করে এরা প্রশাসনকে এইভাবে ব্যবহার করার ক্ষমতা দেখায়? প্রসঙ্গত, গতকাল এই রাজ্যের ভাইপো তৃণমূলের যুবরাজ, তিনি পকেটে হাত দিয়ে বড় বড় কথা বলেছিলেন। বলেছিলেন, শাহজাহানকে নাকি আদালত গার্ড করছে! রাজ্য পুলিশকে দায়িত্ব দিলে নাকি পুলিশ গ্রেফতার করে দেখিয়ে দিত। আর তারপরেই আজ আদালতের পক্ষ থেকে স্পষ্ট ভাষায় প্রধান বিচারপতি জানিয়ে দিয়েছেন যে, শাহজাহানকে গ্রেফতার করতে কোনো বাধা নেই। আর এখানেই সকলে প্রশ্ন করছেন, এবার রাজ্য পুলিশের মুরোদ দেখতে হবে তো। কি করে রাজ্য পুলিশ ভাইপো? গতকাল তো অনেক বড় বড় গলায় কথা বলেছিলেন ভাইপো। তাহলে এবার গ্রেপ্তার করা হোক শেখ শাহজাহানকে। দেখি, রাজ্য পুলিশের ক্ষমতা! আর এসবের মধ্যেই তৃণমূলের মুখপাত্র কুনাল ঘোষ একটি পোস্ট করেছেন। তিনি আবার কলকাতা হাইকোর্টকে ধন্যবাদ জানিয়ে সাত দিনের সময়সীমা দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, সাত দিনের মধ্যে শাহজাহানকে গ্রেফতার করবে পুলিশ। আর এখানেই প্রশ্ন যে, কুনাল ঘোষ সরকারের কোনো ছোটখাটো পোস্টে রয়েছে বলেও তো খবর নেই। তাহলে তিনি এই ধরনের কথা বলেন কি করে? তাহলে এই পুলিশ খুব ভালো মতই জানে, শেখ শাহজাহান কোথায় রয়েছে। এতদিন তারা ইচ্ছাকৃতভাবেই ধরেনি। তাদের আশ্রয়েই এই শাহজাহানকে রাখা হয়েছে। আর দ্বিতীয়ত, পুলিশ না জানলেও কুনাল ঘোষের মত নেতারা নিশ্চয়ই জানে। সেই কারণেই সাত দিনের সময়সীমা দিয়ে নিজেদের মূর্খামির পরিচয় নিজেরাই দিয়ে ফেললেন। আবার প্রমাণ করে দিলেন যে, এই সরকার এবং তাদের দল কিভাবে পুলিশকে ব্যবহার করে! ইতিমধ্যেই গোটা বিষয়ে সোচ্চার হতে শুরু করেছে বিরোধীরা। তাদের দাবি, কুনাল ঘোষ ভাইপো পন্থী নেতা হিসেবেই পরিচিত। তাই নিজের নম্বর বাড়ানোর জন্য এখন এই ধরনের পোস্ট করতে শুরু করেছেন। তবে তৃণমূল নেতারা বারবার করে প্রমাণ করে দিচ্ছেন যে, তাদের আশ্রয়েই শেখ শাহজাহান রয়েছে এবং রাজ্য পুলিশ এতদিন জানা সত্ত্বেও তাকে ধরেনি। কারণ ওপরতলার নির্দেশ ছিল না। তাই এখন আদালত কড়া নির্দেশ দেওয়ার পর হাত-পা বাঁধা সকলের। ফলে বাধ্য হয়েই এই রাজ্য পুলিশ কতটা নিরপেক্ষ, তা দেখানোর জন্য দলদাস পুলিশকে বীরপুঙ্গব হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করলেন তৃণমূলের এই দীর্ঘদিন জেল খেটে আসা মুখপাত্র। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা। আপনার মতামত জানান -