এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেশের সমস্ত মুখ্যমন্ত্রীর ভিডিও বৈঠকের পরেই লকডাউন নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত?

প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেশের সমস্ত মুখ্যমন্ত্রীর ভিডিও বৈঠকের পরেই লকডাউন নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত?

পৃথিবীর অন্যান্য সব দেশের সঙ্গে ভারতেও মাত্রাছাড়া করোনার ব্যাপক প্রসারতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে বর্তমানে। এই পরিস্থিতি থেকে বাঁচার জন্য ইতিমধ্যে দেশজুড়ে চলছে দীর্ঘকালীন লকডাউন পরিস্থিতি। মানুষকে গৃহবন্দী করে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার ওপরই জোর দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। অন্যদিকে লকডাউনের মধ্যেও ভারতে সংক্রামিত হয়ে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা এবং মৃতের সংখ্যা ক্রমাগত লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। আর এই পরিস্থিতিতে করোনা রোগীরা ভিড় জমাচ্ছেন সরকারি হাসপাতালগুলিতে।

যদিও সরকারী হাসপাতালের পাশাপাশি বেসরকারি হাসপাতালগুলোতেও করোনার চিকিৎসা হচ্ছে বলে জানা যাচ্ছে। কিন্তু তা সত্বেও প্রতিদিন প্রচুর মানুষ সরকারি হাসপাতালগুলোতে আসছেন করোনা আক্রান্ত হয়ে। কারণ অনুসন্ধান করে দেখা যাচ্ছে, সরকারি এবং বেসরকারি হাসপাতালগুলির মধ্যে সবথেকে বেশি ফারাক হয়ে যাচ্ছে টাকার। এই মুহূর্তে মানুষের হাতে কোন কাজ নেই, তাই হাতে টাকাও সীমিত। অতএব বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়ে ব্যাপক মাত্রায় টাকা খরচ করার অভিসন্ধি এই মুহূর্তে কারোরই নেই বলেই মনে করা হচ্ছে।

এই প্রসঙ্গে খোঁজ নিয়ে দেখা যাচ্ছে, বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা করতে গেলে খরচ করতে হচ্ছে কুড়ি থেকে পঁচিশ হাজার টাকা। অন্যদিকে রোগী কতদিনে সুস্থ হবেন তার ওপরে এই টাকার মাত্রা দিন দিন বেড়ে যাবে বলেই মনে করা হচ্ছে। ফলে খুব স্বাভাবিকভাবেই সেই টাকা কোন মধ্যবিত্তের পক্ষে দেওয়া সম্ভব হবেনা। অন্যদিকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন ইতিমধ্যেই, এই টাকার সঙ্গে ভেন্টিলেশনের খরচ এবং অন্যান্য সরঞ্জাম খরচ যোগ হচ্ছে না। সেগুলো যদি কোনসময় ব্যবহার করতে হয়, তাহলে কিন্তু খরচের বহর আরো বাড়বে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

হিসাব করলে দেখা যাচ্ছে, যদি কোন করোনা রোগী 14 দিনের জন্য বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হন, তাহলে তাঁকে খরচ করতে হতে পারে 2 লক্ষ 80 হাজার থেকে শুরু করে 3 লক্ষ 50 হাজার পর্যন্ত, যা এই মুহূর্তে কোনো মধ্যবিত্তই খরচ করতে রাজি নন। সাধারণত দেখা যাচ্ছে, তিন থেকে পাঁচটি টেস্ট হয় করোনার। পরপর প্রত্যেকটি টেস্ট যদি নেগেটিভ আসে তাহলে রোগীকে ছেড়ে দেওয়া হয়। কিন্তু যদি তা না হয়, তাহলে কিন্তু হাসপাতালে ভর্তি হতে হবে এবং কত দিনের জন্য ভর্তি থাকতে হবে সে ব্যাপারেও স্পষ্ট কোনো ইঙ্গিত নেই।

ইতিমধ্যেই ভারতবর্ষে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় কুড়ি হাজারের সীমারেখা ছাড়িয়ে গেছে। অন্যদিকে নতুন করে আবার আলোচনা শুরু হয়েছে লকডাউন এর মেয়াদ বাড়ানো নিয়ে। যদিও সূত্রের খবর, লকডাউন বাড়লেও এবার হয়তো কিছু কিছু ক্ষেত্রে লকডাউনে ছাড় দেওয়া হবে। এমনকি যেসব গ্রীন জোন আছে, সেখানে লকডাউন উঠে যেতে পারে। তবে প্রতিটি সিদ্ধান্তই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে আলোচনা করেই গ্রহণ করবেন বলে জানা গেছে। আর সেই কারণেই আগামী 27 এপ্রিল আবারও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী মুখোমুখি হবেন ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অন্যান্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে।

আশা করা হচ্ছে, এবারের বৈঠকে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উপস্থিত থাকতে পারেন। অন্যদিকে জানা গেছে, উক্ত ভিডিও কনফারেন্সে ভারতের রাজ্যগুলির বর্তমান করোনা পরিস্থিতি এবং লকডাউন তোলার পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা হবে। সুতরাং বোঝাই যাচ্ছে, আগামী দিনের বৈঠক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অন্যদিকে দেশে ইতিমধ্যেই উপসর্গহীন করোনার প্রভাব লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা সামনের দিনে গোষ্ঠী সংক্রমণের আশঙ্কা উড়িয়ে দিচ্ছেননা। এই পরিস্থিতিতে লকডাউন কিভাবে সফল হবে আগামীদিনে এবং পরবর্তীতে লকডাউন আরো বাড়বে কিনা, সে দিকেই এখন নজর ওয়াকিবহাল মহলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!