করোনা আবহে বন্ধ MPLAD-এর টাকা, MP-দের বেতন কমল ৩০% – তীব্র বিরোধিতায় দিল্লিতে ঝড় তৃণমূলের! জাতীয় September 16, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – এবার নতুন বিতর্ক সংসদে। দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর সংসদ বাদল অধিবেশনের হাত ধরে সোমবার খুলেছে। বর্তমানে করোনার জেরে সংসদের হাজিরার ক্ষেত্রে বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। বর্তমানে সংসদে উপস্থিতি জানানোর জন্যও কোনরকম পেনের ব্যবহার করা হচ্ছেনা। সে জায়গায় অ্যাপের মাধ্যমে উপস্থিতি জানানো যাচ্ছে। উপরন্তু সরকারি নির্দেশ, যেসব সাংসদদের বয়স 65 বছরের বেশি এবং বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত, তাঁরা এই সময়ে সংসদে উপস্থিত না হলেও কোন অসুবিধা নেই। প্রসঙ্গত, সংসদে উপস্থিত হলেই এমপিদের হাতে আসে দৈনিক 2000 টাকা। এবার দেশের ভাঁড়ার তলানিতে এসে ঠেকায় এমপি ল্যাডের টাকা বন্ধ করে দেওয়া হল। সেইসঙ্গে সাংসদদের বেতন এখন থেকে এক বছরের জন্য 30% হারে কমানো হল। আর এই নিয়েই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক কোলাহল। বিরোধীরা তীব্র বিরোধিতা করে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে বলতে শুরু করেছেন, করোনাকে ঢাল করে কেন্দ্রীয় সরকার মানুষের উন্নয়ন বন্ধ করে দিচ্ছে। কিন্তু শত বিরোধিতা সত্ত্বেও আটকানো যায় নি ‘দ্য স্যালারি অ্যালাওয়েন্স অ্যান্ড পেনশন অফ মেম্বার অফ পার্লামেন্ট (সংশোধনী) বিল 2020’। শুধুমাত্র ধ্বনি ভোটের মাধ্যমে এই বিল পাস হয়ে গেল সংসদে। আর এরপরই তৃণমূলের লোকসভার মুখ্য সচেতক কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, করোনা এলাকার মানুষের জন্য এমপি ল্যাড থেকে এক কোটি টাকা দেওয়ার প্রসঙ্গ তুলেছিলেন তিনি। কিন্তু তাঁর কথা মানা হয়নি। এবং তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছেন, জনসাধারণের উন্নয়নের টাকা বন্ধ করে দেওয়া কোনমতেই মানা যায়না। একইভাবে তৃণমূলের সৌগত রায় এদিন কেন্দ্রীয় সরকারকে রীতিমতো কটাক্ষ করে বলেন, কোভিডের সুযোগ নিয়ে মানুষের উন্নয়ন বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - অথচ কোটি কোটি টাকা খরচ করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জন্য বিদেশ থেকে বিমান আসছে। শুধু তাই নয়, 24 হাজার কোটি টাকার নতুন সংসদ ভবন তৈরি হচ্ছে বলে তিনি বিদ্রুপ করেন। কংগ্রেসের পক্ষ থেকে অধীর রঞ্জন চৌধুরী, কে সুরেশের মতো এমপিরাও এই বিলের বিরোধিতা করেন। কিন্তু কোন লাভ হয়নি শেষ পর্যন্ত। সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশীর হাত ধরে এই বিল পাস হয়ে যায়। অন্যদিকে সংসদে এদিন সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার জন্য এমপিদের সতর্ক করলেন স্পিকার। প্রসঙ্গত করণা সংক্রমণ এড়াতে দু’দফায় ভাগ হয়ে চলছে লোকসভা ও রাজ্যসভার অধিবেশন। বিশেষজ্ঞদের মতে, সামনেই আসছে বিভিন্ন রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন। সে জায়গায় আগামী 6 মাসের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের নাম আসছে। বিধানসভা নির্বাচনে উন্নয়নকে হাতিয়ার করেই এগোচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস। সে জায়গায় এমপিদের যদি উন্নয়নের টাকা দেওয়া বন্ধ করে দেওয়া হয়, তা যথেষ্ট চাপে ফেলবে রাজ্য সরকারগুলিকে বলে মনে করা হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে উন্নয়ন চালিয়ে নিয়ে যেতে বিভিন্ন রাজ্য কি ব্যবস্থা গ্রহণ করে, এখন সেদিকেই নজর থাকবে ওয়াকিবহাল মহলের। আপনার মতামত জানান -