এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > বর্ধমান > গেরুয়া গোষ্ঠীকোন্দলে লাগল আগুন, সরব জেলা নেতৃত্বের সামনে- রাজনৈতিক মহলে তীব্র সমালোচনা

গেরুয়া গোষ্ঠীকোন্দলে লাগল আগুন, সরব জেলা নেতৃত্বের সামনে- রাজনৈতিক মহলে তীব্র সমালোচনা


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – রাজ্য রাজনীতিতে এই মুহূর্তে আলোচ্য বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল। বিভিন্ন সময়ে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কারণে দল থেকে বেরিয়ে যাচ্ছেন নেতাকর্মীরা। এই পরিস্থিতিতে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ঘিরে তীব্র কটাক্ষ ভেসে আসছে বিরোধীদের। কিন্তু এবার রাজ্যের অন্যতম বিরোধীদল গেরুয়া শিবিরের অন্দরেও শুরু হলো তীব্র গোষ্ঠীকোন্দল। যার আঁচ পাওয়া গেল আজ বর্ধমানে এবং আসানসোলে। দলের শীর্ষ নেতাদের সামনে গোষ্ঠী কোন্দল জড়িয়ে পড়লেন জেলা স্তরের নেতারা যা তীব্র অস্বস্তির মুখে দাঁড় করিয়েছে গেরুয়া শিবিরকে। দীর্ঘদিন ধরেই গেরুয়া শিবিরের আদি ও নব্যদের মধ্যে চলছে দ্বন্দ্ব।

আর সেই তরজাই এদিন অগ্নিসম রূপ ধারণ করলো বর্ধমান জেলার বিজেপির কার্যালয়ে। আজ পুরনো এবং নতুন বিজেপি কর্মীদের মধ্যে বর্ধমানে চলল খণ্ডযুদ্ধ। মুহূর্তের মধ্যে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হলো দাঁড়িয়ে থাকা বেশ কয়েকটি গাড়িতে। পরিস্থিতি এতটাই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে সেখানে, যে শেষ পর্যন্ত পুলিশ বাহিনীকে এসে লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতি আয়ত্তে আনতে হয়। সূত্রের খবর, বর্ধমান সদর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি সন্দীপ নন্দীর বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরেই সরব বিজেপির একটি গোষ্ঠী। তাঁদের অভিযোগ, বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা বর্ধমান শহরে এসে যে দলীয় কার্যালয় উদ্বোধন করে গিয়েছিলেন, সেখানে অনৈতিক কাজকর্ম হচ্ছে।

আর এই নিয়েই ক্ষোভে ফেটে পড়েন বিজেপির কর্মীরা। তাঁরা দলীয় কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। এর পরেই জানা যায়, বিজেপির নব্য কর্মীরা দলীয় কার্যালয়ের ছাদ থেকে বিক্ষোভকারীদের লক্ষ্য করে ইঁট ছোঁড়ে। যথারীতি পাল্টা ইঁটের আঘাতে দলীয় কার্যালয়ের জানলা ভেঙে যায়। পরিস্থিতি এতটাই নিয়ন্ত্রনহীন হয়ে পড়ে, যেখানে দাঁড়িয়ে থাকা কয়েকটি গাড়িতে বিক্ষোভকারীরা আগুন ধরিয়ে দেয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে বর্ধমান থানার বিশাল পুলিশবাহিনী এসে পৌঁছায়। লাঠি উঁচিয়ে বিক্ষোভকারীদের হটিয়ে দেওয়া হয়। বর্ধমান থানার পাশাপাশি অগ্নিকাণ্ড সামাল দিতে দমকল বাহিনীও ঘটনাস্থলে আসে বলে জানা গেছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অন্যদিকে একই ভাবে আজ আসানসোলের জেলা বিজেপি কার্যালয়ে মন্ডল কর্মীদের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন অরবিন্দ মেনন এবং বাবুল সুপ্রিয়। তাঁদের সামনেই জেলা কার্যালয়ে বারাবনি ও কুলটি মন্ডলের কর্মীরা গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে জড়ালেন। বৈঠক বৈঠক চলাকালীন জেলা বিজেপির যুব মোর্চা সভাপতি অরিজিৎ রায়কে নিয়ে শুরু হয় গন্ডগোল। গেরুয়া শিবিরের একাংশের অভিযোগ, সম্প্রতি জেলা বিজেপির যুব কমিটি থেকে বাদ পড়েছেন দলের পুরোনো নেতারা। ক্রমশ গুরুত্ব পাচ্ছে তৃণমূল থেকে আসা আগত নতুন কর্মীরা।

বৈঠকে গন্ডগোল এতটাই বেড়ে যায়, যে তাড়াতাড়ি জেলা কার্যালয়ের শাটার বন্ধ করে দেওয়া হয়। কিন্তু তাতেও এই গোষ্ঠীকোন্দলের খবর আটকানো যায়নি। শেষ পর্যন্ত বাবুল সুপ্রিয় এবং অরবিন্দ মেনন পরিস্থিতি সামাল দেন। তবে গেরুয়া শিবিরের অন্দরের ফাটল যে ক্রমশ চওড়া হচ্ছে, সে ব্যাপারে কিন্তু ক্রমশ নিঃসন্দেহ হচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। অন্যদিকে ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব থেকে কিন্তু বার্তা দেওয়া হচ্ছে, দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বন্ধ করার। এই অবস্থায় গেরুয়া শিবিরকে যে কার্যত চাপের মুখে দাঁড় করালো আজকের ঘটনা, সে কথা বলাইবাহুল্য।

 

আপনার মতামত জানান -

ট্যাগড
Top
error: Content is protected !!