এখন পড়ছেন
হোম > অন্যান্য > করোনা পরবর্তী শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেশজুড়ে

করোনা পরবর্তী শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেশজুড়ে


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – লকডাউনে স্কুল বন্ধ হওয়ার পর থেকেই শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে নানা সমস্যা তৈরি হয়েছে। সেখানে অনলাইনে পড়াশুনো থেকে শুরু করে স্কুলের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিতর্ক তৈরি হতে দেখা গিয়েছিল। সেখানেই কয়েকমাস আগে বেসরকারি স্কুলগুলি ফি বৃদ্ধি করা নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের রায়কেই মান্যতা দিতে দেখা গিয়েছিল সর্বোচ্চ আদালতকে। যার ফলে বেসরকারি স্কুলগুলিতে ২০ শতাংশ ফি কমাতেই হবে বলে জানান হয়। গত ১৩ই অক্টোবর কলকাতা হাই কোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল যে, চলতি বছরের এপ্রিল মাস থেকে যেহেতু স্কুল খোলা সম্ভব হয়নি, তাই এই পর্যন্ত সমস্ত বোর্ডের ১৪৫টি বেসরকারি স্কুলকে নূন্যতম ২০ শতাংশ ফি মকুব করতে হবে।

শুধু তাই নয়, সেইসঙ্গেই বর্তমান এই অর্থবর্ষে কোনোভাবেই সেই ফি বৃদ্ধি করাও যাবে না। বলেও জানান হয়। যেহেতু লকডাউনের মধ্যে শিক্ষার্থীরা লাইব্রেরি, ল্যাবোরেটরির মতো পরিষেবাগুলি নিতে পারেনি, তাই তার জন্য কোনওভাবেই কোনও টাকা নেওয়া যাবে না বলেই জানা যায়। সেইসঙ্গে করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে পাঁচ শতাংশের মধ্যে লভ্যাংশের হার সীমাবদ্ধ রাখতে হবে বলেও হাই কোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল। তবে এরই সঙ্গে বিভিন্ন স্কুলের বকেয়া টাকা দেওয়া নিয়েও সমস্যা তৈরি হয়েছিল বিভিন্ন ক্ষেত্রে। সেক্ষেত্রে শুধু রাজ্যের নয়, দেশের বিভিন্ন রাজ্যের স্কুলগুলির মধ্যে ও অভিভাবকদের সঙ্গে স্কুল কর্তৃপক্ষের সমস্যার কথা সামনে এসেছিল।

সম্প্রতি যেখানে উড়িষ্যা এবং পুনে সরকারকে অসহায় ছাত্র-ছাত্রীদের পাশে দাঁড়াতে দেখা গেছে অন্যদিকে উত্তরপ্রদেশের একটি স্কুলে আবার এর বিপরীত ঘটনা লক্ষ্য করা গেছে। সেখানে পুনের বিদ্যালয়ের দশম এবং দ্বাদশ শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের জন্য বোর্ড পরীক্ষার ফি পুনে মিউনিসিপ্যাল করপোরেশন প্রদান করবে বলেই জানান হয়েছে। বৃহস্পতিবার তথ্য সূত্রে জানা গেছে, পিএমসি-পরিচালিত স্কুলগুলি থেকে ১০ম এবং ১২শ শ্রেণির বোর্ড পরীক্ষায় অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের জন্য পরীক্ষার ফি প্রদান করবে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এই বিষয়ে পিএমসির তরফে জানানো হয়েছে যে, পিএমসি-পরিচালিত বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা যেহেতু দরিদ্র পরিবার থেকে আসে, তাই তাদের সবাইকে নিখরচায় শিক্ষা দেওয়া হয়। তবে বোর্ড পরীক্ষায় অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের বোর্ডে ফি দিতে হয়। তাই সেই খরচ লাঘব করতেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে পিএমসি। অন্যদিকে, উড়িষ্যা সরকার বুধবার জানিয়েছে যে, করোনা মহামারীর কারণে ২০২০-২০১২ শিক্ষাবর্ষের জন্য সকল সহায়ক ও বিনা সহায়তায় বেসরকারী বিদ্যালয়ে শিক্ষাব্যবস্থার খরচ হ্রাস করতে হবে। সেক্ষেত্রে এই হ্রাসটি সাতটি পৃথক স্তরে করা হবে বলেও জানান হয়েছে।

সেক্ষেত্রে যদি কোনো স্কুলের বার্ষিক খরচ ৬০০০ টাকা হয়, তবে ওই স্কুলগুলির জন্য কোনও ছাড় দিতে হবে না। তবে যারা বার্ষিক ৬০০১ টাকা থেকে ১২০০১ টাকার মধ্যে বার্ষিক খরচ নিয়ে থাকেন, তাদের ক্ষেত্রে ফি ৭.৫ শতাংশ হ্রাস করতে হবে। যদিও এর একেবারে বিপরীত প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে উত্তর প্রদেশে। ইউপি-র মুরাদাবাদে প্রাইভেট স্কুলে ফি না দিলে পরীক্ষা নেওয়া হবে না বলে জানিয়ে পোস্টার লাগিয়েছে। বৃহস্পতিবার উত্তর প্রদেশের মুরাদাবাদে প্রাইভেট স্কুলস অ্যাসোসিয়েশনের তরফে রাজ্যের স্কুলগুলির বাইরে কোনও ফি না দিলে পরীক্ষা নেওয়া হবে না বলেই জানিয়ে দিয়েছে।

সেইসঙ্গে ছাত্রছাত্রীদের পরবর্তী শ্রেণিতে পদোন্নতি হবে না বলেও পোস্টার লাগানো হয়েছে। এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার কারণ স্বরূপ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি জানিয়েছেন যে, করোনা পরিস্থিতিতে শিক্ষকদের বেতন পরিশোধ করতে তাঁদের বড় সমস্যা হয়েছে। সেখানে শিক্ষকরাও করণা পরিস্থিতিতে অনলাইন ক্লাস এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের পড়ানোর প্রক্রিয়া চালু রেখে গেছেন। তাই শিক্ষার্থীরা যদি পরীক্ষায় অংশ নিতে চায় তবে তাদের বাকি থাকা স্কুল ফি পরিশোধ করতে হবে

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!