এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > সিভিক ভলান্টিয়ারের আত্মীয়রা বিরোধী দলের টিকিটে পঞ্চায়েতে প্রার্থী হওয়ায় হেনস্থার অভিযোগ

সিভিক ভলান্টিয়ারের আত্মীয়রা বিরোধী দলের টিকিটে পঞ্চায়েতে প্রার্থী হওয়ায় হেনস্থার অভিযোগ


তৃণমূল কংগ্রেস ক্ষমতায় আসার পর থেকেই রাজ্য জুড়ে বহু মানুষ সিভিক ভলেন্টিয়ারের কাজ পেয়েছে। এর মধ্যে পশ্চিম মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রামের জঙ্গলমহলের বহু যুবক সিভিক ভলেন্টিয়ারের  কাজে নিযুক্ত। মূলত এলাকার নজরদারি, স্থানীয় এলাকার খবর থানায় পৌঁছে দেওয়া এই সমস্ত কাজ করে থাকে এরা। কিন্তু এদের নিয়েই এখন শাসক শিবিরের কপালে চিন্তার ভাঁজ। ঝাড়গ্রামে তৃণমূলের আধিপত্য থাকলেও বেলপাহাড়ির বাঁশপাহাড়ি, ভুলাভেদা ও শিমূলপাল গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় আদিবাসী-ভূমিজ সংগঠনের নেতারা ক্ষোভ উস্কে দিচ্ছে মাঝে মাঝেই। আর সিভিক ভলেন্টিয়ারদের বেশিরভাগই এই আদিবাসী ভূমিজ সম্প্রদায়ের।

আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

এই কারণেই পঞ্চায়েত ভোটের আগে তৃণমূল শিবির নিশ্চিন্ত থাকতে পারছে না বলে খবর। জানা গেছে সম্প্রতি জনজাতি সম্প্রদায়ের এক সিভিক ভলেন্টিয়ারকে থানায় ডেকে এনে ‘নির্বাচনের আগে কোনোভাবে রাজনৈতিক কার্যকলাপে যুক্ত থাকা যাবে না’ এমন মুচলেখা লেখানো হয়। আবার চুবকা পঞ্চায়েত এলাকার এক সিভিক ভলেন্টিয়ারের শাশুড়ি বিরোধী দলের প্রার্থী হওয়ায় সেই সিভিক ভলেন্টিয়ার এখন কোপের মুখে। মানিকতলা পঞ্চায়েত এলাকায় দুই বিজেপি প্রার্থীর ভাই সিভিক ভলেন্টিয়ার হওয়ায় তাদেরকে কাজ থেকে সরানো হয় বলে অভিযোগ। এদিন ঝাড়গ্রামের বিজেপি জেলা সভাপতি সুখময় শতপথী অভিযোগ সহকারে জানান, “যে সব সিভিক ভলান্টিয়ারের আত্মীয়রা আমাদের প্রার্থী হয়েছেন, তাঁদের বেছে বেছে এলাকার দায়িত্ব থেকে সরিয়ে থানায় অথবা ক্যাম্পে আটকে দেওয়া হচ্ছে।” এই সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে ঝাড়গ্রামের তৃণমূল জেলা সভাপতি অজিত মাইতি বলেন, “হেরে যাওয়ার ভয়ে বিরোধীরা এখন থেকেই অজুহাত খাড়া করছে।” বিষয়টি সম্পূর্ণভাবে অস্বীকার করে ঝাড়গ্রামের জেলা পুলিশ সুপার অমিতকুমার ভরাট রাঠৌর বলেন, “এলাকার ক্যাম্পগুলি বিভিন্ন সময়ে সিভিক ভলান্টিয়াররা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করেন। এটা লাগাতার প্রক্রিয়া।”

 

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!