এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > সন্দেশখালি লজ্জা, অর্জুনের দলত্যাগে আরও জর্জরিত মমতা! ব্যাকফুটে তৃণমূল!

সন্দেশখালি লজ্জা, অর্জুনের দলত্যাগে আরও জর্জরিত মমতা! ব্যাকফুটে তৃণমূল!


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-পশ্চিমবঙ্গে যখন একজন মহিলা মুখ্যমন্ত্রী রয়েছে, তখন মহিলাদের ওপর এই ধরনের নির্যাতন হয় কি করে? সন্দেশখালির ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর রীতিমতো লজ্জায় মুখ ঢেকেছে গোটা দেশ। তবে যখন সকলেই সোচ্চার হয়েছিল, তখন এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী চুপ করে বসে ছিলেন। শাহজাহানকে পারলেই তার পুলিশ ঘটনা ঘটার একদিন পরেই গ্রেফতার করতে পারত। কিন্তু তা না করে তারা প্রমাণ করে দিয়েছে যে, শাহজাহান তাদের সম্পদ। ইতিমধ্যেই এই ঘটনা গোটা দেশ জুড়ে চর্চিত হয়েছে। আর এবার তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়ে সেই গোটা ঘটনায় তুলে ধরে ভোটের মুখে এই রাজ্যের অস্বস্তি প্রবলভাবে বাড়িয়ে দিলেন অর্জুন সিংহ। সন্দেশখালি যেকি পরিমান লজ্জা গোটা বাংলা এবং দেশের ক্ষেত্রে, তা তুলে ধরলেন তিনি। তবে অর্জুন সিংহের মনে এই ঘটনা নিয়ে আফসোস হলেও, কেন এই রাজ্যের শাসক দল এবং তাদের নেতারা প্রথম দিন থেকে এই ঘটনার সমালোচনা করেননি? সেই প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন একাংশ।

প্রসঙ্গত, এদিন বিজেপিতে যুক্ত হন অর্জুন সিংহ। তার পাশাপাশি ভারতীয় জনতা পার্টিতে যোগ দেন শুভেন্দু অধিকারীর ভাই দিব্যেন্দু অধিকারী। যিনি এখনও পর্যন্ত তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ। আর গেরুয়া শিবিরের পতাকা হাতে তুলে নিয়েই অর্জুন সিংহ সন্দেশখালি প্রসঙ্গ তুলে ধরেন। তিনি বলেন, “সন্দেশখালি দেশে তো দূরের কথা, দুনিয়ায় এবং বিশ্বেও কোথাও হয় না। এটা গোটা বাংলার ক্ষেত্রে লজ্জার।” অনেকে বলছেন, তৃণমূলের ক্ষেত্রে এই সন্দেশখালি ইস্যু গলার কাঁটার মত বিঁধতে শুরু করেছে। তবে ভোটের মুখে এই ইস্যু অনেকটা ধামাচাপা করে দেওয়ার চেষ্টা তৃণমূলের পক্ষ থেকে ছিল। তবে তা কোনো মতেই সম্ভব হলো না। যে লজ্জা এই গোটা ঘটনার জন্য বাংলার হয়েছে, যে ক্ষতস্থান তৈরি হয়েছে পশ্চিমবঙ্গের, তাকে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা তৃণমূল করতেই পারে। কিন্তু বাংলার মানুষ তৃণমূল নেতাদের এই অত্যাচার ভুলবে না। মহিলাদের ওপর যে অত্যাচার তৃণমূল কংগ্রেস করেছে, তা এত সহজে ভুলতে পারবে না বাঙালি। তাই সুদে আসলে এর জবাব ভোট বাক্সে ন
দেওয়ার জন্য বাংলার মা বোনেরা যে তৈরি আছেন, সেটা আবার নিজের বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েই স্পষ্ট করে দিলেন অর্জুন সিংহ।

পর্যবেক্ষকদের মতে, শেখ শাহজাহানকে এতদিন এই রাজ্যের পুলিশ রক্ষা করলেও, এখন সেই সিবিআইয়ের হেফাজতেই রয়েছে। শাহজাহান এবং তার বাহিনীর তিনটে গাড়ি বাজেয়াপ্ত করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। ভবিষ্যতে আরও অনেক কিছু অপেক্ষা করছে এই সমস্ত অত্যাচারী নেতাদের জন্য। শুধু তাই নয়, তদন্ত যে প্রক্রিয়ায় এগিয়ে যাচ্ছে, তাতে শাহজাহানের মাথার ওপর আশীর্বাদের হাত কার ছিল, সেই নিয়েও খোঁজ খবর করতে শুরু করেছে এজেন্সি বলে খবর। তাই এই পরিস্থিতিতে তৃণমূল যতই এই ইস্যুকে ভুলিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করুক না কেন, যতই তারা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কেন্দ্র করে সিমপ্যাথি মানুষের মন থেকে নেওয়ার চেষ্টা করুন, দিনের শেষে কিন্তু মানুষ তার স্মৃতিতে খুব ভালো করেই সন্দেশখালি বেদনাকে তুলে রেখেছে। যে যন্ত্রনা হয়েছে মা-বোনেদের, তাতে গোটা রাজ্য জুড়েই সন্দেশখালির প্রতিবাদ ভোট বাক্সে দেখতে পাবে ফ্যাসিস্ট তৃণমূলের নেতারা। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!