অত্যাচারী তৃণমূল, মমতাকে চরম গাড্ডায় ফেললেন হেভিওয়েট! উত্তাল রাজ্য রাজনীতি! তৃণমূল বিজেপি রাজনীতি রাজ্য March 15, 2024 প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- 2019 সালে লোকসভা নির্বাচনের আগে বিজেপিতে যুক্ত হয়ে বিজেপির টিকিটের সাংসদ হয়েছিলেন অর্জুন সিংহ। তবে তার কিছুদিন পরেই তিনি আবার তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে যুক্ত হন। তবে এখন আবার তৃণমূলের প্রতি মোহভঙ্গ হয়েছে তার। যে কারণে তিনি আবার ভারতীয় জনতা পার্টির সঙ্গে নিজেকে যুক্ত করে নিলেন। তবে এতদিন কিভাবে তিনি তৃণমূলে ছিলেন, কতটা মুখ বুজে ছিলেন এবং কত কষ্ট সহ্য করেছেন, সেটা বিজেপিতে যোগ দিয়েই আবার স্পষ্ট করলেন অর্জুনবাবু। শুধু তাই নয়, ২০২১ এর ভোট পরবর্তী সন্ত্রাস নিয়ে তৃণমূল অনেক মিথ্যে কথা বলে। তারা বলে যে, এরকম কোনো সন্ত্রাসই নাকি হয়নি! বিজেপির কোনো কর্মীই নাকি আক্রান্ত হয়নি! কিন্তু সেই সময় অর্জুন সিংহ তৃণমূলে ছিলেন। তাই তিনি দেখেছেন যে, তৃণমূল কিভাবে মানুষের ওপর অত্যাচার করেছে! কিভাবে মার খেয়েছেন বিজেপি কর্মীরা! তাই সেই সময়কার কথা তুলে ধরে তৃণমূলকে এমন এক গাড্ডায় ফেললেন অর্জুন সিংহ, যার ফলে লোকসভা ভোটের মুখে চরম অস্বস্তি তৈরি হল রাজ্যের শাসক দলের মধ্যে। প্রসঙ্গত, এদিন দিল্লিতে বিজেপিতে যোগদান করেন অর্জুন সিংহ। আর তারপরেই ভোট পরবর্তী সন্ত্রাসের কথা উঠে আসে তার মুখে। তিনি বলেন, “২০২১ সালের ভোটে বাংলা জুড়ে ভোট পরবর্তী সন্ত্রাস হয়েছে। ৫০ এর ওপর লোক খুন হয়েছেন। হাজার হাজার কার্যকর্তাদের চাকরি চলে গিয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে সিবিআই তদন্ত শুরু হলো। তৃণমূল চরম অত্যাচার শুরু করেছে। আমার এলাকাতেই সবথেকে বেশি মানুষকে ভোট পরবর্তী হিংসার স্বীকার হতে হয়েছে।” অর্থাৎ বোঝাই যাচ্ছে যে, চাপের মুখে পড়েই হয়ত অর্জুন সিংহ দল পরিবর্তন করেছিলেন। কিন্তু তৃণমূল দল কতটা ভয়ংকর সাধারণ মানুষের জন্য, তা বিজেপিতে যুক্ত হয়েই তিনি ফাঁস করে দিলেন। আর অর্জুন সিংহের কথায় কেন বিশ্বাস করতে হবে! রাজ্যের মানুষ তো দেখছে, সন্দেশখালীর মত ঘটনা। তারা দেখতে পাচ্ছে তো, বেকার যুবকদের চাকরি কিভাবে নেতারা টাকার বিনিময়ে বিক্রি করে দিয়েছেন! সেই কারণে আজকে জেলে রয়েছেন তারা। স্বাভাবিকভাবেই তৃণমূল যেখানেই হাত দেবে, সেখান থেকেই যে দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়ছে, তা নতুন করে বলতে হবে না। তবে বর্তমান সময়ে দাঁড়িয়ে লোকসভা ভোট যখন ঘোষণা হওয়া শুধু সময়ের অপেক্ষা, তখন অর্জুন সিংহ তৃণমূল ত্যাগ করে বিজেপিতে যুক্ত হয়ে ভোট পরবর্তী সন্ত্রাসের কথা বলার কারণে তৃণমূলের নতুন করে বিড়ম্বনা তৈরি হলো বলেই মনে করছেন একাংশ।পর্যবেক্ষকদের মতে, তৃণমূল যে সব থেকে মিথ্যাবাদী দল, এটা নতুন করে বলতে হবে না। এই রাজ্যের মানুষ তৃণমূলকে হৃদয় দিয়ে উপলব্ধি করেছে। অনেক ভরসা তারা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তার দলের ওপর করেছিল। কিন্তু ক্ষমতায় বসে তারা মানুষের সর্বস্ব লুট করে নিয়ে, মানুষকে বিপাকে ফেলে রাজ্যের গণতন্ত্রকে ধ্বংস করেছে। রাজ্যে মতামত জানানোর অধিকার নেই সাধারণ মানুষের। সব সময় বদল চাই বলে বদলার রাজনীতি প্রয়োগ করার চেষ্টা করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। আজকে সেটা বাংলার বুকে নজর রাখলেই যে কেউ বলে দিতে পারবে। কিন্তু এরপরেও নির্লজ্জ এই রাজ্যের শাসক দল বড় বড় গলায় দাবি করে, তাদের রাজ্যে নাকি গণতন্ত্র আছে। কিন্তু এতদিন তৃণমূলে থাকার পর অর্জুন সিংহ খুব ভালো মতই উপলব্ধি করেছেন যে, ভোট পরবর্তী হিংসায় কিভাবে বিরোধী দলের কর্মীদের আক্রান্ত হতে হয়েছে। তাই ২০২১ এ জিতে তৃণমূল যে পরিমাণ হিংসা এই রাজ্যে সংঘটিত করেছিল, যেভাবে বিরোধীদের ওপর আক্রমণ নেমে এসেছিল, সেই বিষয়ে তিনি বিজেপিতে এসেই তৃণমূলের কুকীর্তির পর্দা ফাঁস করে দিলেন। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা। আপনার মতামত জানান -