এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > “তৃণমূল আগে ছিল কোমায়, আর এখন….” শাসকের বিদায় ঘন্টা বাজালেন শুভেন্দু!

“তৃণমূল আগে ছিল কোমায়, আর এখন….” শাসকের বিদায় ঘন্টা বাজালেন শুভেন্দু!


 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- ক্ষমতায় থাকলেই যে সবকিছু করা যায় না, গায়ের জোরে কিছু করতে গেলে যে মানুষের মতামতকে একটু হলেও মান্যতা দিতে হয়, সেটা হয়ত ভুলে গিয়েছিল এই রাজ্যের শাসক দল এবং তাদের মুখ্যমন্ত্রী। তারা ধরাকে সরা জ্ঞান করতে শুরু করেছিলেন। যার কারণে আজকে তাদের এই করুন পরিণতি। কেন করুন পরিণতি বলা হচ্ছে? কেন সেটা বলা হচ্ছে, তা খুব ভালোই বুঝতে পারছেন এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এবং তার দলের নেতারা। কারণ আজকে তৃণমূলের যে পরিস্থিতি, তাতে সঠিকভাবে ভোট হলে তৃণমূলকে আর খুঁজে পাওয়া যাবে না। একের পর এক নেতা, মন্ত্রীর বাড়িতে টাকা উদ্ধার থেকে শুরু করে সন্দেশখালির ঘটনা, তৃণমূল কার্যত ক্ষমতায় থেকেও অপ্রাসঙ্গিক করে দিয়েছে। মানুষ বিরক্ত এই দলের প্রতি। তাই সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে লোকসভা ভোটের দিন ঘোষণার আগে শুভেন্দু অধিকারী সেই তৃণমূলকে নিয়ে এক ভয়ংকর কথা বললেন। যার ফলে ভোটের ময়দানে নামার আগে বিজেপি কর্মীরা যথেষ্ট উজ্জীবিত হয়ে গেল। কিন্তু কি এমন বললেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা?

প্রসঙ্গত, এদিন খেজুরিতে পুলিশি অত্যাচারের বিরুদ্ধে বিজেপির পক্ষ থেকে একটি মিছিল ছিল। আর সেই মিছিলেই উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। মিছিল শেষে বক্তব্য রাখেন তিনি। আর সেখানেই তৃণমূলের করুণ পরিণতি নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন শুভেন্দুবাবু। তিনি বলেন, “তৃণমূল এখন আর নেই। তৃণমূলকে আর খুঁজে পাওয়া যাবে না। পার্থ-অপার পরে, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক জেলে যাওয়ার পরে এবং সন্দেশখালির শাহজাহানের অত্যাচারের বিরুদ্ধে মাতৃশক্তির গর্জনের পরে তৃণমূল কোমায় চলে গিয়েছে। তাদেরকে আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।”অনেকে বলছেন, তৃণমূলের প্রতি মানুষ কতটা বিরক্ত, তা এবারের ভোটেই স্পষ্ট হয়ে যাবে। যারা একটু মেরুদন্ড রেখে বাঁচতে চান, যারা গণতন্ত্রকে শ্রদ্ধা করেন, তারা কেউ এই সরকারকে আর ক্ষমতায় দেখতে চাইছেন না। বেকার ছেলেমেয়েরা পথে বসে কাঁদছে, মহিলাদের মান সম্মান প্রশ্নের মুখে, তৃণমূল নেতারা নামি দামি গাড়িতে চরে ঘুরে বেড়াচ্ছেন, অত্যাচার চলছে সাধারণ মানুষের ওপর! এসব কোন সভ্য দেশের মানুষ মেনে নেবে? তাই সন্দেশখালির মা-বোনেরা দীর্ঘ অত্যাচার সহ্য করার পর যেভাবে পথে নেমেছে, গোটা বাংলা সেই কায়দাতেই পথে নামতে তৈরি। আর এটাই শাসক দলকে ভয় পাইয়ে দিয়েছে। তারা জীবনেও ভাবতে পারেননি যে, তাদেরকে ভয় পাবেন না সাধারণ নিরীহ মানুষরা। সন্দেশখালি জেগে ওঠার পর তৃণমূল নেতাদের মনে ভয় এমন ভাবে বাসা বেধেছে, তাদের এবার ভোট বাক্সে পর্যন্ত খুঁজে পাওয়া যাবে না বলেই দাবি একাংশের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, বিগত বাম আমলে যেভাবে নন্দীগ্রাম জেগে উঠেছিল, ঠিক একই কায়দায় তৃণমূল আমলে জেগে উঠেছে সন্দেশখালি। সেখানকার মাতৃমণ্ডলীর গর্জন বুঝিয়ে দিয়েছে, এবার পরিবর্তন আসন্ন। শুভেন্দু অধিকারীকে মানুষ তাদের কাছের জন হিসেবে ভাবতে শুরু করেছেন। একসময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও এই জায়গাটা দিয়েছিলেন রাজ্যের জনসাধারণ। কিন্তু তিনি তা ধরে রাখতে পারেননি বলেই আজকে তার দলের বিরুদ্ধে এত বিক্ষোভ চারিদিকে সংগঠিত হয়েছে। আর দীর্ঘদিন ধরে শাসকের বিরুদ্ধে লড়াই করে আসা শুভেন্দু অধিকারী খুব ভালো করেই জানেন মানুষের পালস। আর সেটা ধরতে পেরেই তিনি আজ খেজুরির সভা থেকে তৃণমূল যে বিদায়ের পথে, তার আভাস দিয়ে দিলেন। আর এটাই লোকসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূলকে প্রবল চিন্তায় রাখছে। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!