সন্দেশখালিতে বড় রহস্য, ধরা পড়বে রাঘব বোয়াল? বড় ইঙ্গিত দিলীপের! তৃণমূল বিজেপি রাজনীতি রাজ্য March 15, 2024 প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- যে রাজ্যের মহিলা মুখ্যমন্ত্রীর নাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, সেই রাজ্যে যে এরকম ঘটনা ঘটতে পারে, তা সত্যিই কল্পনা করা যায় না। সন্দেশখালি সকলের চোখ খুলে দিয়েছে। সেখানকার মাতৃশক্তির গর্জন, সেখানকার মা বোনেরা এতদিন কোন বিপদের মুখে ছিলেন, সেটা তারা প্রকাশ্যে বলে দিয়েছেন। আর তারপর এই লজ্জা রাখার মত জায়গা নেই বাংলার। তবে দিনের শেষে অপরাধীদের শাস্তি হয়। তাই এখন শেখ শাহজাহান এবং তার বাহিনীরা যত সম্পত্তি করেছিল, তা ধীরে ধীরে বাজেয়াপ্ত করতে শুরু করেছে কেন্দ্রীয় এজেন্সি। ইতিমধ্যেই তাদের বিলাসবহুল তিনটি গাড়ি বাজেয়াপ্ত করে হয়েছে। তবে এখানেই কি থেমে যাবে তদন্ত? শুধুমাত্র শাহাজাহান এবং তার বাহিনীরা মিলেই কি এই অত্যাচার করেছে! নাকি এর পেছনে আরও বড় কোনো মাথা ছিল! এই সমস্ত রহস্য যখন ঘনীভূত হচ্ছে, ঠিক তখনই বড় ইঙ্গিত দিলেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ। তিনি এদিন যে কথা বললেন, তা নির্বাচনের আগে চরম সংকটে ফেলে দিল এই রাজ্যের শাসক দলকে। এমনিতেই সন্দেশখালি এবং শাহজাহানকে নিয়ে তৃণমূল যথেষ্ট চাপে রয়েছে। এবারের ভোটে এই ঘটনার কি প্রভাব পড়বে ভোটবাক্সে, তা তারাও জানে না। তাই করুন ফলাফলের আশঙ্কা মাথা ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে শাসক দলের মধ্যে। আর তার মধ্যেই দিলীপ ঘোষের এই মন্তব্য তৃণমূলের যারা এতদিন মানুষের ওপর অত্যাচার করেছিলেন, তাদের টেনশন অনেকটাই বাড়িয়ে দিল। কিন্তু কি এমন বললেন দিলীপ ঘোষ? প্রসঙ্গত, এদিন কেন্দ্রীয় এজেন্সির পক্ষ থেকে তিনটি গাড়ি বাজেয়াপ্ত করা নিয়ে দিলীপ ঘোষকে প্রশ্ন করা হয়। আর সেই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে তিনি ইঙ্গিতবাহী মন্তব্য করেন। হেভিওয়েট এই বিজেপি নেতা বলেন, “সন্দেশখালি একটি বড় ঘটনা। এখানে মানুষের ওপর অত্যাচার করা হয়েছে। এর পেছনে অনেকে জড়িত। অনেকে ধরা পড়বেন। অনেক ঘটনা ঘটবে। তাই কেন্দ্রীয় এজেন্সি যে তদন্ত করছে, তারা ঠিক পথেই তদন্তকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।” সকলের একটাই প্রশ্ন যে, শাহজাহান এবং তার বাহিনীরা মিলে মানুষের ওপর এই পরিমাণ অত্যাচার করার সাহস পেলেন কি করে? ওপর থেকে যদি তাদের কেউ প্রশ্রয় না দেয়, তাহলে তারা মহিলাদেরকে এইভাবে ডেকে অসম্মান করবেন! এত ক্ষমতা তাদের? নিশ্চয় তাদের এই ক্ষমতা দেওয়া হয়েছিল। নিশ্চয়ই তাদেরকে এই এলাকার অঘোষিত সেনাপতি হিসেবে ঘোষণা করে দিয়েছিল কোনো বড় মাথা। তাই সেই মাথাটা কে? তাকে কেন ধরা হচ্ছে না! এটাই প্রধান প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে সকলের কাছে। তবে এক্ষেত্রে বড় রাঘববোয়ালকে ধরতে গেলে একটু ধৈর্য রাখতে হবে। তাই সবে গাড়ি, সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার পালা শুরু হয়েছে। ভবিষ্যতে যে এই সন্দেশখালি নিয়ে আরও বড় কিছু হতে চলেছে, সেই সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছেন না একাংশ। পর্যবেক্ষকদের মতে, সন্দেশখালিতে যে অত্যাচার হয়েছে, তা নন্দীগ্রামের কথা মনে করিয়ে দিচ্ছে। বিগত বাম আমলে এই নন্দীগ্রামে যেভাবে মহিলাদের সম্ভ্রম কেড়ে নেওয়া হয়েছিল, যেভাবে জমি লুট করা হয়েছিল, সেই একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হয়েছে সন্দেশ খালিতে। তাই আজকের শাসক যদি ভেবে নেয় যে, তারা এই কাজ করে নিশ্চিন্তে ক্ষমতা ভোগ করে যাবেন, তাহলে তারা মূর্খের স্বর্গে বাস করছেন। যে অপরাধ হয়েছে, সেই অপরাধের শাস্তি পেতেই হবে। বিগত বাম সরকারকেও এইরকম নন্দীগ্রামের জন্য ক্ষমতা থেকে বিদায় নিতে হয়েছিল। আর সন্দেশখালি রাজ্যের সাধারণ মানুষকে অত্যাচারের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে শিখিয়ে দিয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই মানুষ যখন আর পুলিশ থেকে শুরু করে শাসকের চোখ রাঙানিকে ভয় পাচ্ছেন না, তখন বোঝাই যাচ্ছে যে, আবার একটা পরিবর্তন রাজ্যের দরজায় কড়া নাড়ছে। আর সেটা লোকসভা নির্বাচন থেকেই শুরু হবে। তবে ক্ষমতার অদল বদল স্বাভাবিক নিয়মে চলতেই থাকবে। কিন্তু যারা সন্দেশখালির মা-বোনেদের ওপর নির্যাতন করেছেন, যারা এই এলাকার বাঘ হিসেবে পরিচিত ছিলেন, তাদের মাথার ওপর কত বড় রাঘববোয়াল রয়েছে, সেটাই এখন দেখতে চাইছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা। তাই ধীরে ধীরে যে ট্রেলার দেখা যাচ্ছে, তা ভবিষ্যতে একটি বড় সিনেমার আকার নেবে। যার ফলে জালে উঠে আসতে পারে বড় মাপের কোনো রাঘব বোয়াল। দিলীপ ঘোষের বক্তব্যের পর তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা। আপনার মতামত জানান -