তৃণমূলের ধর্না, অথচ খাবারের প্যাকেট দিচ্ছে রাজ্য পুলিশ! বোমা ফাটালেন শুভেন্দু! তৃণমূল বিজেপি রাজনীতি রাজ্য February 10, 2024 প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-এমনি এমনি বিরোধীরা এই রাজ্যের পুলিশকে মমতা পুলিশ বলে আক্রমণ করে না। তার যথেষ্ট কারণ রয়েছে। বিভিন্ন সময় সেই পুলিশের বিভিন্ন আচরণ নিয়ে তাদের গোপন খবর ফাঁস করে দিয়েছেন এই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। অস্বস্তিতে পড়েছেন এই রাজ্যের পুলিশ মন্ত্রী। এমনকি এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে যখন কালীপুজো হয়, তখন সেই কালীপুজোয় রান্নাবাড়ির দেখাশোনা থেকে শুরু করে প্যাকেট বিতরণ করার কাজেও নাকি সেই পুলিশকে লাগানো হয়েছিল। একসময় এই বিস্ফোরক তথ্যও শোনা গিয়েছিল শুভেন্দু অধিকারীর মুখ থেকে। আর এবার রেড রোডে তৃণমূলের যে নাটুকে ধর্না চলছে, সেখানেও পুলিশি সহযোগিতা লক্ষ্য করা গিয়েছে। এমনিতেই তো পুলিশ তৃণমূলের বেলায় আইন কানুন কিছুই দেখতে পায় না। এটা তো সাধারণ বিষয় হয়ে গিয়েছে। কিন্তু পুলিশের গাড়ি থেকে সেই ধর্নায় আসা তৃণমূলের নেতা কর্মীদের নাকি খাবারের প্যাকেট বিতরণ করা হচ্ছে। না, এই ভয়ংকর অভিযোগ আমরা করছি না। এই অভিযোগ করছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তার কাছে কিভাবে এই তথ্য এসে পৌঁছেছে, সেটা তিনিই বলতে পারবেন। কিন্তু রাজ্য পুলিশের বিরুদ্ধে তার এই মারাত্মক অভিযোগ ঘিরে রীতিমত তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। প্রসঙ্গত, এদিন আরাবুল ইসলামকে গ্রেফতার করে রাজ্যের প্রশাসন রাজধর্ম পালন করেছে বলে সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে একটি প্রশ্ন করা হয়। আর সেই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে এসব ভাবা যে অমূলক, মমতা পুলিশ যে কোনো রাজধর্ম পালন করবে না, তা স্পষ্ট করে দেন শুভেন্দু অধিকারী। পাশাপাশি এই পুলিশ কতটা ফ্যাসিস্ট এবং কতটা দলদাসে পরিপূর্ণ হয়েছে, সেই ব্যাপারেও একটি ভয়ংকর তথ্য দেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। তার দাবি, তথাকথিত তৃণমূলের যে ধর্না চলছে, সেই ধর্নাতে যারা আসছেন, তাদের কলকাতা পুলিশের মোবাইল ক্যান্টিনের গাড়ি থেকে ফুড প্যাকেট দেওয়া হচ্ছে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, বিরোধী দলনেতা তো এত বড় মারাত্মক অভিযোগ করলেন। কিন্তু পুলিশ মন্ত্রী হিসেবে কি এই অভিযোগ নস্যাৎ করতে পারবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়? এখনও পর্যন্ত এই বিষয়ে তিনি শুভেন্দু অধিকারীর অভিযোগকে খন্ডন করা তো দূরের কথা, একটি বক্তব্যও রাখেননি। তাহলে কি ধরে নিতে হবে যে, রাজ্যের বিরোধী দলনেতা পুলিশকে নিয়ে যে কথা বলেছেন, তা সত্যি? যদি তাই হয়, তাহলে কিভাবে এই রাজ্যের প্রশাসনের মেরুদন্ডটা ভেঙে দিচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তা তো আরও একবার স্পষ্ট হয়ে গেল। বোঝা গেল যে, আইনের শাসন তো দূরের কথা, শাসকের আইনটুকুও এই রাজ্যে বলবৎ নেই বলেই দাবি একাংশের। ইতিমধ্যেই গোটা বিষয়ে কটাক্ষ করতে শুরু করেছে বিজেপি। তাদের দাবি, যদি শুভেন্দুবাবুর এই অভিযোগ সত্যি হয়, তাহলে মুখ খুলুন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের পুলিশ মন্ত্রী হিসেবে তো তার বক্তব্য জানতে চায় জনতা। কিন্তু তিনি নীরবতা পালন করে রয়েছেন। তাহলে বোঝাই যাচ্ছে যে, শুভেন্দু অধিকারী ঠিক কথা বলেছেন। আসলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আশেপাশে যারা থাকেন, তারা সব খবর এই রাজ্যের বিরোধী দলনেতাকে পৌঁছে দেন। কারণ তিনি মানুষের কথা বলেন। তাই এই সরকার কিভাবে পুলিশকে ব্যবহার করছে, কিভাবে প্রশাসনের মেরুদন্ড ভেঙ্গে দিচ্ছেন, তা বোঝাই গেল। তবে এসব আর বেশিদিন চলবে না। পুলিশ নিয়ে এই অহংকার, এই ঔদ্ধত্য খুব তাড়াতাড়ি বিনাশ হবে। কারণ রাজ্যের মানুষ এই সরকারকে বিদায় জানাতে তৈরি বলেই দাবি গেরুয়া শিবিরের। পর্যবেক্ষকদের মতে, তৃণমূলের সভায় এখন ভিড় বাড়ানোর কাজ এবং দায়িত্ব এই রাজ্যের প্রশাসনের। কারণ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের পুলিশকে দিয়েই সমস্ত রাজনৈতিক কাজকর্ম করাচ্ছেন। তা না হলে প্রতি পদে পদে বিরোধীদের এভাবে বাধা দিত না পুলিশ। তবে এবার সেই পুলিশের উচ্চতা এবং গরিমাকে যেভাবে নিচে নামিয়ে আনছে এই রাজ্যের সরকার, তা কিন্তু সত্যিই বাঙালি হিসেবে সকলের রুচিকেও ম্লান করে দিচ্ছে। প্রশ্ন উঠছে যে, রাজ্যবাসীর তো এতে যথেষ্ট অপমান হচ্ছে। কিন্তু সেই সমস্ত পুলিশরা, যারা সব কথা সহ্য করে শুধুমাত্র নিজেদের চাকরি বাঁচানোর জন্য এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সমস্ত অর্ডার সহ্য করছেন, তারা কি একবারের জন্যও চেঁচিয়ে বলতে পারছেন না যে, তারা এই কাজ করতে পারবেন না! তারা এই কাজ করার জন্য নয়! তারা আইন শৃঙ্খলা রক্ষা করার জন্য! তাদের সেই মেরুদন্ড কোথায় গেল? বিরোধীদের আটকানোর জন্য তো এই পুলিশ অনেক শক্তি প্রয়োগ করেন। তাহলে শাসকের বিরুদ্ধে শুধুমাত্র নিজেদের চাকরিটা বাঁচানোর জন্য নিজেরা ভালো থাকবেন, সুখে থাকবেন জন্য এসব করে নিজেরাই কি নিজেদের পরিবারের কাছে প্রশ্নের মুখে পড়ে যাচ্ছেন না? শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্যের পর তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা। আপনার মতামত জানান -