এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > সন্দেশখালি শিক্ষা দিল রাজ্যকে, ভুল শোধরাবেন মমতা? খোঁচা বিরোধীদের!

সন্দেশখালি শিক্ষা দিল রাজ্যকে, ভুল শোধরাবেন মমতা? খোঁচা বিরোধীদের!


 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-সব জায়গায় পুলিশকে দিয়ে বিরোধীদের কণ্ঠরোধ করা, মানুষকে ভয় দেখানো কার্যত অভ্যাস হয়ে গিয়েছিল এই রাজ্য সরকারের। একটা পুলিশি রাজ এই রাজ্যে তৈরি করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যা তার কাছ থেকে এই রাজ্যের মানুষ কোনোদিনই আশা করতে পারেননি। তবে এবার কিন্তু সন্দেশখালি পথ দেখাতে শুরু করেছে। সেখানে এতদিন এত অত্যাচার হওয়ার পর অবশেষে মানুষজন তাদের প্রতিবাদ জানাচ্ছেন। আর তারপর সেই প্রতিবাদীদের মুখ বন্ধ করতে আবার শুরু হয়েছে পুলিশি ষড়যন্ত্র এবং গুন্ডাদের অত্যাচার। কিন্তু এসব করে আর কত ভুল করবে এই রাজ্যের শাসক দল! কেন এখনও পর্যন্ত দুষ্কৃতীদের গ্রেপ্তার না করে তাদের আশ্রয় দিচ্ছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশ! তা নিয়ে যখন প্রশ্ন উঠছে, তখন এই সরকারকে বড় বার্তা দিলেন আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী। তিনি এই সরকারকে ভবিষ্যৎ নিয়ে একটি ইঙ্গিতপূর্ন মন্তব্য করে সচেতন করে দিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু আদৌ কি এরা সচেতন হওয়ার মত মানসিকতা রাখেন! নাকি এরা ভাবছেন যে, সংখ্যার জোর আছে বলে যা খুশি তাই করা যাবে! তবে সন্দেশখালির পরেও যদি এই সরকারের শিক্ষা না হয়, তাহলে বুঝতে হবে যে, এদের ক্ষমতার নেশা এতটাই বৃদ্ধি পেয়েছে যে, ধরাকে সরা জ্ঞান করতে শুরু করেছেন। যার ফলে আগামী দিন অত্যন্ত সংকট জনক হয়ে উঠতে পারে তৃণমূলের পক্ষে বলেই মনে করছেন একাংশ। কিন্তু কি এমন বললেন আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী?

প্রসঙ্গত, এদিন এই বিষয়ে আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকীকে একটি প্রশ্ন করা হয়। আর সেই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে তিনি বলেন, “এই ঘটনা থেকে রাজ্য সরকারের শিক্ষা নেওয়া উচিত। কিন্তু এর পরেও যদি এরা শিক্ষা না নেয়, তাহলে দিকে দিকে সন্দেশখালি হবে।” অর্থাৎ বোঝাই যাচ্ছে যে, বিরোধীরা কিন্তু বুঝতে পারছে যে, এই সরকারের বিরুদ্ধে মানুষজন ক্ষেপে উঠেছে। তারা এখন প্রতিবাদ করতেও ভয় পাচ্ছেন না। কিন্তু শাসক দল কেন এখনও পর্যন্ত এটা মাথায় ঢুকিয়ে নিতে পারছে না! কেন তারা নিজেদের শুধরে নিতে পারছেন না! কেন এই রাজ্যের পুলিশ মন্ত্রী বুঝতে পারছেন না যে, তার সরকারের বিরুদ্ধে, তার পুলিশের বিরুদ্ধে, গুন্ডাদের বিরুদ্ধে মানুষ আর প্রতিবাদ করতে ভয় পায় না! যদি সন্দেশখালির মানুষ সুবিচার না পায়, যদি এখনও পর্যন্ত শেখ শাহজাহান, শিবু হাজরাদের মত নেতাকে পুলিশ ছেড়ে রেখে দেয়, তাহলে কিন্তু সন্দেশখালীর এই প্রতিবাদ গোটা রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় তৈরি হবে। যে সমস্ত জায়গায় তৃণমূল নেতারা মানুষের কন্ঠরোধ করছেন, এবার সেখানেও বিপদের মুখে পড়তে হবে এই ফ্যাসিস্ট দলকে। তাই এখন থেকেই তারা নিজেদের শুধরে নিক। তা না হলে ভবিষ্যৎ তৃণমূলের কাছেই অত্যন্ত ভয়ংকর হয়ে উঠবে। তাই শত বিরোধিতা করলেও এই বিষয়ে স্মরণ করিয়ে দিয়ে সরকারকে শুধরে যাওয়ার বার্তা দিলেন নওশাদ সিদ্দিকী বলেই মনে করছেন একাংশ।

বিরোধীদের দাবি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষমতা ভোগ করতে ভালোবাসেন। তাই ক্ষমতার নেশায় তিনি এখন এমন কিছু পদক্ষেপ নিচ্ছেন, যার ফলে তার সরকারের ভূমিকা নিয়েই প্রশ্ন উঠে যাচ্ছে। তিনি ভাবছেন যে, তার সরকারের যথেষ্ট জনপ্রিয়তা রয়েছে। কিন্তু মানুষের এই প্রতিবাদ তিনি দেখেও না দেখার ভান করছেন। তাই এর ফল কি ভয়ংকর হতে পারে, প্রতিবাদকে যদি তৃণমূল পুলিশ দিয়ে আটকে দিতে চায়, তাহলে মানুষ যে আগামী দিনে ভোটবাক্সে জবাব দেবে, এটা হয়ত বুঝতে পারছেন না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে নিজের ভালো সকলেই বোঝে। তাই সাময়িক ক্ষমতা দখল করবার জন্য মানুষকে ক্ষেপিয়ে না তুলে এতদিন যে ভুল করেছেন এই রাজ্যের পুলিশ মন্ত্রী, তা থেকে নিজেদের শুধরে নেওয়া উচিত বলেই দাবি বিরোধী শিবিরের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, সন্দেশখালির ঘটনা থেকে শিক্ষা নেওয়ার হলে প্রথম দিনেই নিতে পারত এই রাজ্য সরকার। কিন্তু এখন সাধারণ মানুষ যখন জেগে উঠতে শুরু করেছেন। মহিলারা যখন প্রতিবাদ করছেন, তখন রাজ্যের হাতের বাইরে সব কিছু চলে গিয়েছে। তারা এখন চেষ্টা করবে পুলিশ দিয়ে আবার ভয় দেখানো, মানুষের উপর অত্যাচার করা। কিন্তু এসব যত হবে, ততই সরকারের বিরুদ্ধে মানুষের রাগ বাড়তে শুরু করবে। যার প্রতিফলন আগামী দিনে ভোটবাক্সে হাতেনাতে পেয়ে যাবে এই রাজ্যের শাসক দল। তাই শুধুমাত্র ক্ষমতা দখল করার জন্য এলাকা দখলে রাখতে এবং নিজের ভোট লুট করা নেতাদের খুশি রাখতে এবার অন্তত পুলিশি নির্যাতনকে বন্ধ করুন এই রাজ্যের পুলিশ মন্ত্রী। তাহলে তার যেমন মঙ্গল, ঠিক তেমনই রাজ্যের মানুষ একটু হলেও স্বস্তির মুখ দেখবেন। নওশাদ সিদ্দিকীর বক্তব্যের পর তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!