এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > “নেড়ি” শব্দেও কি লজ্জা নেই কুনালের? শেষমেষ শিশিরকে নিয়ে প্রশ্ন ! ধ্বংসের হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর !

“নেড়ি” শব্দেও কি লজ্জা নেই কুনালের? শেষমেষ শিশিরকে নিয়ে প্রশ্ন ! ধ্বংসের হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর !


 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- এক সময় শিশির অধিকারী, শুভেন্দু অধিকারী এবং সর্বোপরি অধিকারী পরিবারের ওপর ভরসা করেই নন্দীগ্রামের আন্দোলন করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু এখন সেই শুভেন্দু অধিকারী বিজেপির পক্ষ থেকে লড়াই করছেন বলে তার পরিবারকে বদনাম করার জন্য উঠেপড়ে লেগেছে তৃণমূল কংগ্রেস। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তার অনুগত তৃণমূল নেতা কুনাল ঘোষকে দিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করিয়ে শিশির অধিকারীর কি করে সম্পত্তি বৃদ্ধি হলো, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন। তবে লজ্জা থাকলে এই ধরনের কাজ তৃণমূল নেত্রী করতে পারতেন না। শিশির অধিকারীর মত প্রবাদপ্রতিম ব্যক্তিকে নিয়ে কুনাল ঘোষের মত জেল খাটা আসামীকে দিয়ে এই ধরনের প্রশ্ন তোলা দুর্ভাগ্য ছাড়া আর কিছুই নয়। বিরোধীরা অবশ্য তেমনটাই বলছেন।

আর এই পরিস্থিতিতে এবার যারা শিশির অধিকারীকে নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন, তারা অদূর ভবিষ্যতে ধ্বংস হয়ে যাবেন বলে হুঁশিয়ারি দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বুঝিয়ে দিলেন, তৃণমূলের যে মুখপাত্র এই কথা বলেছেন, তিনি “নেড়ি পোষ্য” ছাড়া আর কিছুই নন।প্রসঙ্গত, এদিন একটি সভা থেকে নাম না করে তৃণমূলের সেই মুখপাত্রকে আক্রমণ করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, “আজকেও একজন নেড়িকে দিয়ে শিশির অধিকারীকে নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। আমি সেই নেড়ি পোষ্য সম্পর্কে কিছু বলতে চাই না। এই যে রাস্তায় দেখেন না, গা থেকে লোম উঠে যাওয়া কিছু ঘুরে বেড়ায়। এদের সম্পর্কে কিছু বলতে চাই না। কিন্তু শিশির অধিকারী একটা লেজেন্ড। তাকে নিয়ে যারা প্রশ্ন তুলবে, কাউকে কিছু করতে হবে না। ভগবান শ্রীকৃষ্ণ তাদের ধ্বংস করে দেবেন।”

অনেকে বলছেন, শিশির অধিকারী তো অনেক দূরের কথা, শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গেও তৃণমূলের সেই মুখপাত্রের কোনো তুলনাই চলে না। তৃণমূলের সেই মুখপাত্র দীর্ঘদিন জেল খেটে এসেছেন। এখন তিনি দলের প্রিয় পাত্র হয়েছেন বটে। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভুলে গিয়েছেন, অধিকারী পরিবার তাকে মুখ্যমন্ত্রী করতে কি অবদান রেখেছেন। আজকে ক্ষমতা পেয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই পরিবর্তন হয়েছে। কিন্তু শিশির অধিকারী সম্পর্কে বাম সরকারের মত শক্তিশালী সরকারও কোনো প্রশ্ন তুলতে পারেননি। তবে তৃণমূল এসে নিজেদের জেলখাটা এক নেতাকে দিয়ে যে প্রশ্ন তুললো, তাতে বাংলার রাজনীতিতে তৃণমূল আরও অস্তিত্ব সংকটে পৌঁছে যাবে বলেই মনে করছেন একাংশ।

বিজেপির দাবি, ক্ষমতা পেতে এখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সব সীমা অতিক্রম করছেন। তিনি খুব ভালো করে বুঝে গিয়েছেন, শুভেন্দু অধিকারীর কাছে হেরে গিয়ে তার রাজনৈতিক অস্তিত্ব এখন সংকটের মুখে। একের পর এক নেতা জেলে যাচ্ছেন। তাই এখন ব্যক্তিগত স্তরেও অধিকারী পরিবারকে বদনাম করতে প্রবাদ প্রতীম নেতা শিশির অধিকারীকে নিয়েও মিথ্যাচার শুরু করে দিয়েছে তৃণমূল। তবে সবকিছুর একটা কোয়ালিটি থাকা উচিত। যাকে দিয়ে তারা শিশির অধিকারী সম্পর্কে মিথ্যা কথা বলাচ্ছে, সেই ব্যাক্তির শিশির অধিকারীর মত শীর্ষ নেতার নাম মুখে আনার মত যোগ্যতাটুকু নেই। একটা জেল খাটা আসামি আজকে স্বাধীনতা সংগ্রামী পরিবারের এক বয়জ্যেষ্ঠ মানুষকে নিয়ে প্রশ্ন তুলছে। সে ভুলে গিয়েছে যে, তার দলের নেত্রী যিনি আজকে মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন, সে সেই প্রবাদ প্রতিম ব্যক্তির ওপর ভর করেই আজকে ক্ষমতা দখল করেছেন। তাই সুবিধাবাদী এই সমস্ত মুখপাত্ররা বড় বড় কথা বললেই তা বাস্তব হয়ে যাবে না। সময় ঠিক জবাব দিয়ে দেবে তৃণমূলকে বলেই দাবি বিরোধীদের ।

পর্যবেক্ষকদের মতে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক চরিত্রের মধ্যে একটা জিনিস বিদ্যমান। তিনি শুধু মানুষকে ব্যবহার করে নেন। প্রত্যেকটি সময় নিজের রাজনৈতিক স্বার্থসিদ্ধি করতে তিনি বহু রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বকে ব্যবহার করে ছুড়ে ফেলে দিয়েছেন। এক্ষেত্রে অধিকারী পরিবার এখন যখন তার বিরুদ্ধে লড়াই করছে, তখন তাদের বদনাম করতে এক নীচুস্তরের নেতাকে দিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করাচ্ছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। তবে এসব করে তৃণমূল নিজেরাই নিজেদের হাসির পাত্র হচ্ছে। রাজ্যের মানুষের কাছে আরও স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে, দুর্নীতি ধামাচাপা দিতে একজন জেল খাটা আসামীকে দিয়ে অধিকারী পরিবারকে বদনাম করার চেষ্টা করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে কালের নিয়মে যেভাবে বামেরা ধ্বংস হয়ে গিয়েছে, ঠিক একই পরিণতি হবে তৃণমূলের। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!