এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > চাল চুরিতেও কারসাজি, “চোর মমতার গ্রেপ্তার চাই” বাপের ব্যাটার মত আওয়াজ তুললেন শুভেন্দু!

চাল চুরিতেও কারসাজি, “চোর মমতার গ্রেপ্তার চাই” বাপের ব্যাটার মত আওয়াজ তুললেন শুভেন্দু!


 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- রেশন বন্টন দুর্নীতি মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী এবং বর্তমান বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। বিরোধীরা অভিযোগ করছে, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে। তাদের বক্তব্য, মুখ্যমন্ত্রীর ইন্ধন ছাড়া এই কাজ হতে পারে না। তাই আসল মাথাকে গ্রেফতার করতে হবে বলে আওয়াজ উঠছে রাজ্যজুড়ে। আর এই পরিস্থিতিতে এবার একটি সভা থেকে একেবারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম করে তাকে গ্রেপ্তার করার দাবি তুললেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। অনেকেই মুখ্যমন্ত্রীর নাম না নিয়ে তাকে আক্রমণ করেন। কিন্তু এবার একেবারে শুভেন্দু অধিকারী বাপের ব্যাটার মত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে “চোর” বলে দাবি করে বসলেন। যার ফলে বোঝাই যাচ্ছে যে, শুভেন্দুবাবু কোনো কিছুরই পরোয়া করেন না। তিনি জেনে বুঝেই মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে এবং এই রাজ্যের সরকারকে উৎখাত করতে সরাসরি লড়াইয়ে নেমে পড়েছেন।

প্রসঙ্গত, এদিন একটি সভা থেকে চাল চুরি নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, “করোনার সময় চাল চুরি হয়েছে। 9 লক্ষ 25 হাজার চাল চুরি করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই আমরা দাবি করছি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করতে হবে। তাকে গ্রেপ্তার না করে জেলে পোড়া পর্যন্ত এবং এই সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত না করলে আমাদের এই লড়াই থামবে না।” একাংশ বলছেন, শুভেন্দু অধিকারী সত্যিই চোখে চোখ রেখে লড়াই করছেন। তাকে আটকানোর তো কম চেষ্টা এই সরকার করছে না। পুলিশ, প্রশাসন দিয়ে ব্যক্তিগত স্তরে তার পরিবারকে অসুবিধার মুখে ফেলে সব রকম ভাবে তাকে কাবু করার চেষ্টা হচ্ছে। কিন্তু তারপরেও শুভেন্দু অধিকারী সেটিং করছেন না। তৃণমূলের সঙ্গে তিনি চাইলেই সেটিং করে নিয়ে নিজেকে বিপদমুক্ত রাখতেই পারতেন। কিন্তু তিনি জানেন, তিনি কোনো দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত নন। আর তার লড়াই এবং রাজনৈতিক আদর্শ সবার আগে। তাই যে লড়াইয়ে তিনি নেমেছেন, তার লক্ষ্য পূরণের জন্যই এবার সরাসরি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম করে চাল চুরির অভিযোগ করে তৃণমূলের অস্বস্তি আরও বাড়িয়ে দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেই মত একাংশের।

বিরোধীদের দাবি, তৃণমূলের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথা ছাড়া একটি পাতাও পড়ে না। ফলে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী এবং প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জেলে গিয়েছেন। কিন্তু সেক্ষেত্রে যে দুর্নীতি হয়েছে, তার সবটাই জানতেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। তাই আসল চোর যদি কেউ হয়, তাহলে তিনিই‌। ফলে তাকে ধরেই কার্যসিদ্ধি করতে হবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে। তা না হলে দুর্নীতির বিরুদ্ধে শত আওয়াজ তুলেও কোনো লাভ হবে না। আর এটা শুভেন্দু অধিকারী খুব ভালো মতো বুঝেছেন বলেই মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে একেবারে নাম করে তিনি ভয়ংকর অভিযোগ করলেন। ফলে এতে যদি বিন্দুমাত্র লজ্জা হয়, তাহলে প্রতিহিংসা পরায়ণ আচরণ করা থেকে এবার অন্তত বিরত থাকবেন রাজ্যের সততার প্রতীকের প্রতিমূর্তি বলেই দাবি বিরোধীদের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, চাকরি চুরি, খাদ্য চুরি, রেশন চুরি এবং চাল চুরির মত ভয়ংকর অভিযোগ এই তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে উঠছে। সব ক্ষেত্রেই কি করে চুরি করে নিজেদের কার্যসিদ্ধি করা যায়, নিজেদের অর্থনৈতিক ভান্ডারকে আরও সমৃদ্ধ করা যায়, তার চেষ্টা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় করেই চলেছেন। যদি হিম্মত থাকে, তাহলে তিনি সততার প্রমাণ দিন। তিনি তো নিজেকে অনেক বড় নেত্রী বলে দাবি করেন। তাহলে তার বিরুদ্ধে যখন এত বড় অভিযোগ উঠছে, তখন তিনি কেন একটি কথাও বলছেন না? কেন নীরবে থেকে গোটা বিষয়টিকে এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন! তার এত ভয় কিসের? তাহলে কি সত্যি সত্যিই শুভেন্দু অধিকারী যে অভিযোগ করছেন, তা বাস্তব? রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকেই এর বিবৃতি দিতে হবে। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!