এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > মমতার চুরির পর্দাফাঁস? স্বাস্থ্যের দুর্নীতি প্রকাশ্যে! গর্জে উঠলেন শুভেন্দু!

মমতার চুরির পর্দাফাঁস? স্বাস্থ্যের দুর্নীতি প্রকাশ্যে! গর্জে উঠলেন শুভেন্দু!


 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- রাজ্যকে যেভাবে শেষ করে দিতে হয়, সংস্কৃতির রাজ্যের টুটি চেপে ধরে যেভাবে ধ্বংস করতে হয়, ঠিক সেভাবেই সব জায়গায় দুর্নীতি করে রাজ্যের মানুষকে বিপদের মুখে ঠেলে দিয়েছে তৃণমূল সরকার। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, অর্থনীতি সমস্ত পদ্ধতিকে তারা ধ্বংস করেছে। যার ফলস্বরূপ আজকে দেখা যাচ্ছে, একের পর এক জায়গায় দুর্নীতি এবং একের পর এক নেতা, মন্ত্রী জেলে যাচ্ছেন। তবে বিরোধীরা দাবি করছে, শিক্ষা এবং খাদ্য জেলে গিয়েছে। তবে স্বাস্থ্যের যে দুর্নীতি হয়েছে, তাতে এবার স্বাস্থ্য জেলে গেলেই পশ্চিমবঙ্গের মানুষের স্বপ্ন পূরণ হবে। আর বিরোধীদের সেই বক্তব্যকে মান্যতা দিয়ে এবার প্রকাশ্য সভা থেকে স্বাস্থ্য দপ্তরের দুর্নীতি নিয়ে বড় তথ্য ফাঁস করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। করোনার সময় যেভাবে স্বাস্থ্য দপ্তরের দুর্নীতি হয়েছে, তার তথ্য তুলে ধরে তিনি চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে দিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে।

প্রসঙ্গত, এদিন একটি বিজয়া সম্মেলনের অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে পশ্চিমবঙ্গের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে সোচ্চার হন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। সেখানেই তিনি দাবি করেন, “খাদ্য এবং শিক্ষা জেলে গিয়েছে। তবে পশ্চিমবঙ্গের মানুষ স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে জেলে দেখতে চায়। তাই করোনার সময় যে কোটি কোটি টাকার দুর্নীতি স্বাস্থ্য দপ্তরে হয়েছে, তার সমস্ত তথ্য আমি যোগাড় করছি। একটু অপেক্ষা করুন। সব সামনে আনব। করোনার সময় কিট, মাস্ক থেকে শুরু করে সমস্ত ক্ষেত্রে দুর্নীতি হয়েছে।”

একাংশের মতে, গোটা রাজ্য জুড়ে স্লোগান উঠছে, “অনেক হলো চুনোপুটি, এবার ধরা পড়ুক হওয়াই চটি।” অর্থাৎ নাম না করে অনেকেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করছেন, বিরোধীরাও বলছেন, কবে আসল মাথাকে ধরা হবে! তবে আসল মাথা তখনই ধরা পড়বে, যখন স্বাস্থ্য দপ্তরের দুর্নীতি প্রকাশ্যে আসবে এবং তা নিয়ে তদন্ত শুরু হবে। কারণ স্বাস্থ্য দপ্তর রয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর হাতে। স্বাভাবিক ভাবেই সেই বিষয় তুলে ধরেই এবার শুভেন্দু অধিকারী এক ভয়ঙ্কর তথ্য দিয়ে আগামীর জন্য তৃণমূলের যন্ত্রণা বাড়িয়ে দিলেন বলেই মনে করছেন একাংশ।

বিরোধীদের দাবি, পশ্চিমবঙ্গে এমন কোনো জায়গা নেই, যেখানে দুর্নীতি হয়নি। আর শুভেন্দু অধিকারী তো দীর্ঘদিন তৃণমূলের সঙ্গে ছিলেন। তাই তিনি জানেন, কিভাবে কোন জায়গায় কতটা দুর্নীতি করেছে এই রাজ্যের শাসক দল! চুনোপুটিরা গ্রেপ্তার হচ্ছেন, একের পর এক মন্ত্রীরা জেলে যাচ্ছেন। কিন্তু আসল মাথা ধরা পড়লেই এই রাজ্যে তৃণমূল সরকারের পতন হবে। তাই সেই দিনের জন্য অপেক্ষায় রয়েছেন গোটা রাজ্যবাসীও। যারা দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই চাইছেন, তারা এবার দাবি করছেন, হাওয়াই চটিকে ধরতে হবে। সেদিক থেকে শুভেন্দু অধিকারী স্বাস্থ্য দপ্তরের দুর্নীতি নিয়ে ভবিষ্যতে ভয়ংকর তথ্য প্রকাশ করবেন বলে যে কথা বললেন, তাতে সকলেই আশায় বুক বাঁধছেন। অবিলম্বে আসল মাথাকে গ্রেপ্তার করার পথে হাটুক কেন্দ্রীয় সংস্থা বলেই দাবি বিরোধী শিবিরের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, বর্তমানে স্বাস্থ্য দপ্তর রয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর হাতে। তবে তৃণমূল দল এমন একটা দল, যেখানে কোনো নিয়ম শৃঙ্খলা নেই। এখানে একজনের কথা মতই সবকিছু হয়। আর তিনি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিভিন্ন ব্যবস্থায় যে দুর্নীতি হয়েছে, তাতে তার ইন্ধন না থাকলে সেই দুর্নীতি করার সাহস কেউ পেতেন না। ফলে এমনিতেই মুখ্যমন্ত্রীর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। এমনিতেই বিরোধীরা তাকে “চোর, চোর” বলে আক্রমণ করছেন। আর এই পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্য দপ্তরের দুর্নীতি যদি সত্যিই সামনে আসে, তাহলে মুখ্যমন্ত্রীর মুখ পুড়বে। সততার প্রতীকের যে দাবি তিনি করেন, নিজেকে সৎ বলে যে দাবি তিনি করেন, তা নিয়ে সন্দেহ তো এমনিতেই তৈরি হয়েছে রাজ্যের মানুষের মধ্যে। তবে সেই মুখোশ খুলে যেতে আর দু মিনিট সময় লাগবে না। তাই শুভেন্দু অধিকারী স্বাস্থ্য দপ্তরের দুর্নীতি প্রকাশ্যে আনার হুঁশিয়ারি দেওয়ার পর হৃদ কম্পন শুরু হয়ে গিয়েছে গোটা তৃণমূল দলের। তারা ভাবছেন, এবার তাদের খেলা শেষের পথে। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!