এখন পড়ছেন
হোম > অন্যান্য > বিয়ের পরে সম্পর্ক মধুর রাখতে লজ্জা ঝেড়ে আগেই খোলাখুলি এই বিষয়গুলি অবশ্যই আলোচনা করে নিন!

বিয়ের পরে সম্পর্ক মধুর রাখতে লজ্জা ঝেড়ে আগেই খোলাখুলি এই বিষয়গুলি অবশ্যই আলোচনা করে নিন!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বিয়ে মানুষের জীবনে একটা অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ। ভারতীয় বিবাহের ধারা অনুযায়ী বেশিরভাগ সময়ই অ্যারেঞ্জ ম্যারেজকেই যোগ্য বিবাহের উপায় হিসাবে মনে করা হয়। সেক্ষেত্রে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হতে চলা নারী এবং পুরুষের পারিবারিক পছন্দের সুবাদেই বিবাহ স্থির হয়।

তবে বিয়ের আগে আলাদা করে তাদের কথোপকথনে সুযোগ বিশেষ ভাবে থাকে না বললেই চলে। বিয়ের পরবর্তী জীবনে একেবারে আপনার অচেনা মানুষটি কেমন হবে সেই নিয়ে সংশয় তৈরি হয় বহু দম্পতির মধ্যেই। তাই বিশেষজ্ঞদের মতে বিবাহের আগে ছেলে এবং মেয়েটির একে অপরের সম্পর্কে বিশেষ কিছু জিনিস জেনে রাখা সমীচীন।

এর ফলে বিবাহ পরবর্তী জীবনে তাদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি নাও হতে পারে। তবে সেক্ষেত্রে কেবলমাত্র অ্যারেঞ্জ ম্যারেজ না লাভ ম্যারেজের ক্ষেত্রেও একে অপরের এই বিষয়গুলো লক্ষ্য রাখলে পরবর্তীকালে সমস্যা হয় না বলেই মনে করা হয়।

প্রথমত:- বিবাহ মানে কেবল একটি মানুষের সঙ্গে মানুষের বিবাহ নয়, দুটি পরিবারের মেলবন্ধনও বটে। তাই বিবাহের আগে একে অপরের পারিবারিক গঠন, আদর্শ, রীতিনীতি সম্পর্কে জেনে নেওয়া অত্যন্ত প্রয়োজন। কারণ বিয়ের পর বিশেষ করে মেয়েটিকে ছেলেটির পরিবারে গিয়েই সেই পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নিতে হয়।এক্ষেত্রে, সেই পরিবার যদি তার বাবার বাড়ির পরিবারের থেকে আলাদা হয়, তবে অনেক ক্ষেত্রেই মানিয়ে নিতে সমস্যা হতে দেখা যায়।

তাছাড়া কোনো কোনো ক্ষেত্রে স্বামীর পরিবার জয়েন্ট ফ্যামিলি হলেও মেয়েটির পরিবার হয়তো নিউক্লিয়ার ফ্যামিলি। এমন পরিবেশ থেকে বড় সংসারে মানিয়ে নিতে মেয়েদের সমস্যা হয়। তাই সবার প্রথমে পরিবারের ধরন বুঝে নিয়ে বিয়ের আগে থেকেই সেই মানসিক প্রস্তুতি নিয়ে রাখলে বিবাহ পরবর্তী সময়ে অনেক বেশি সুবিধা হয় বলে মনে করা হয়।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

দ্বিতীয়ত:- আপনি যে মানুষটিকে বিবাহ করতে চলেছেন, কিছু সময় পরে সেই মানুষদুটির শারীরিক বা যৌন মিলন হবে এটাই কাম্য। কারণ বিবাহ শব্দটির একটি অন্যতম উদ্দেশ্য হলো সন্তান উৎপাদন এবং তাকে সামাজিক স্বীকৃতি প্রদান। তাই সে ক্ষেত্রে যৌন মিলন একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।

তাই বিবাহের আগেই আপনার যদি সন্তান সম্পর্কে বা ফ্যামিলি প্লানিং সম্পর্কে কোন ধারনা থাকে তাহলে সঙ্গীর সঙ্গে অবশ্যই কথা বলে নেওয়া উচিত। সেই সঙ্গে কোনো শারীরিক সমস্যা থাকলেও তাও আপনার সঙ্গীকে জানানটা আপনার কর্তব্য বলে মনে করা হয়।

তৃতীয়ত:- কোনো সংসারই অর্থ ছাড়া চলতে পারে না। সংসারের ক্ষুদ্র থেকে বৃহত্তর খরচই অর্থের মাধ্যমেই চলে। তাই আপনি কেমন ভাবে লাইফস্টাইল লিড করেন বা বিবাহ পরবর্তীকালে সংসারে আপনার কন্ট্রিবিউশন কতখানি হলে সংসার সুন্দর ভাবে চলতে পারবে সেই সম্পর্কেও আগে থেকে কথা বলে নেওয়া অত্যন্ত প্রয়োজন বলে মনে করা হয়।

চতুর্থত:- প্রতিটা মানুষই স্বভাবের দিক থেকে আলাদা হয়। যদিও বিবাহের আগে সঙ্গীর সঙ্গে স্বভাব বা মনের মিল খোজাই মানুষের অন্যতম উদ্দেশ্য হয়, তবুও অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায় বিবাহের জন্য নির্বাচিত ব্যক্তিটির অনেক কিছুর সঙ্গেই আপনার মিল হচ্ছে না। সেক্ষেত্রে অস্থির না হয় ধৈর্য ধরে বিবাহের আগে থেকেই নিজের মনকে প্রস্তুত করে নিলে বিবাহ পরবর্তী সময়ে এই নিয়ে বিশেষ পড়তে হয় না বলেই মনে করেন অনেকে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!