মুখ্যমন্ত্রী মাঝে মাঝে হাস্যকর কাণ্ডকারখানা করেন’ বিস্ফোরক হেভিওয়েট লিডার বামফ্রন্ট রাজনীতি রাজ্য November 10, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – আলু এবং পেঁয়াজের দাম নিয়ে রীতিমতো হাঁসফাঁস অবস্থা মধ্যবিত্তের। দিনকে দিন তা বাড়তে শুরু করেছে। আর এই পরিস্থিতিতে সোমবার আলু এবং পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি নিয়ে কেন্দ্রকে চিঠি লিখলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে প্রধানমন্ত্রীকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই লেখা চিঠিকেই এবার “হাস্যকর” বলে দাবি করলেন রাজ্যের বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তীর। যাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। হঠাৎ করেই কেন প্রধানমন্ত্রীকে লেখা মুখ্যমন্ত্রীর এই চিঠিকে “হাস্যকর” বললেন সুজনবাবু! এদিন এই প্রসঙ্গে রাজ্যের বাম পরিষদীয় দলনেতা বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী মাঝেমধ্যে হাস্যকর কাণ্ডকারখানা করেন। এটাও তেমনই। সারাদেশে জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে। এর জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের নীতি দায়ী। কিন্তু নতুন কৃষিনীতি হবার আগেই বাংলায় চন্দ্রমুখী আলুর দাম 38 টাকা হয়ে গিয়েছিল। আর সেটা 45 ঠেকেছে। তাই মুখ্যমন্ত্রী দায় এড়াতে পারেন না।” এদিকে রাজ্যে টাস্কফোর্সের নামে তোলাবাজি তুলছে বলেও সরব হন এই সিপিএম বিধায়ক। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - তিনি বলেন, “রাজ্যে টাস্কফোর্সের নামে তোলাবাজি তুলছে। শাসক দলের নেতারা টাকা খাচ্ছে। আর মুখ্যমন্ত্রী লোক দেখাতে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখছেন। কেরল সরকার সবজির দাম বেঁধে দিয়েছে। পাঞ্জাব, রাজ্যস্থানের মত রাজ্য সরকারি বিকল্প বিল এনে কেন্দ্রীয় আইনকে এড়িয়ে যাওয়ার পদক্ষেপ করেছে। চিঠি দিয়ে বলা সত্বেও মুখ্যমন্ত্রী বিধানসভার অধিবেশন ডাকলেন না।” স্বভাবতই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন এই পদক্ষেপ গ্রহণ করলেন, ঠিক তখনই তাকে পাল্টা কটাক্ষ করে সরব হলেন সিপিএমের সুজন চক্রবর্তী বলে মত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের। একাংশের মতে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রকে মূল্যবৃদ্ধির জন্য চিঠি লিখে সরব হয়েছিলেন। যার ফলে তিনি মানুষের অসুবিধা উপলব্ধি করছেন বলে বোঝাতে চেয়েছেন বলে দাবি অনেকের। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী এই ব্যাপারে কেন্দ্রকে চিঠি দিলেও পাল্টা যেভাবে দুই সরকারকেই কটাক্ষ করলেন এই সিপিএম নেতা, তাতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা এই চিঠি বড় প্রশ্নের মুখে পড়ে গেল বলেই মত বিশেষজ্ঞদের। এখন গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের। আপনার মতামত জানান -